ঢাকা, শুক্রবার, ৬ বৈশাখ ১৪৩১, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ০৯ শাওয়াল ১৪৪৫

জাতীয়

সিঁদুর মেখে ‘দেবী বরণ’

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৭৩৯ ঘণ্টা, অক্টোবর ১৯, ২০১৮
সিঁদুর মেখে ‘দেবী বরণ’ বিজয়া দশমীতে সিঁদুর মেখে দেবী বরণ ছবি: ডিএইচ বাদল

ঢাকা: মেয়ে যাচ্ছে স্বামীর বাড়ি। তাই বরণ করে নেওয়া। আর দ্রুতই যেন ফিরে আসে এই কামনায় সিঁদুর পরানো। সেখান থেকে নিজেও পরে নেওয়া।

সনাতন ধর্মাবলম্বীদের সবচেয়ে বড় উৎসব শারদীয় দুর্গা পূজায় এভাবে করা হয় ‘দেবী বরণ’। বিজয়া দশমীতে দেবী বরণ শুরু হয় সিঁদুর পরানোর মাধ্যমে।

সধবা নারীরাই এতে অংশ নেন। মূলত স্বামী ও সংসারের মঙ্গল কামনায় তারা এ আয়োজনে অংশ নেন।

**দেবীর বিদায় শুভক্ষণে সিঁদুর খেলায় মেতেছেন রমনীরা

প্রায় ৪শ’ বছর আগে এই বরণ বা সিঁদুর খেলার প্রচলন শুরু হয়। সধবা নারীরা মা দুর্গাকে পরিয়ে দেওয়ার পর নিজেও মেখে নেন সিঁদুর। সে হাত গিয়ে পড়ে অন্যের গায়েও। এভাবেই সিঁদুর মাখামাখির মাধ্যমে এক আনন্দঘন পরিবেশে নেচে গেয়ে স্বামী-সংসারের মঙ্গল কামনায় মেতে ওঠেন তারা। হাল আমলে শুধু সধবাই নন, কিশোরী-যুবতীরাও অংশ নেন এতে।
বিজয়া দশমীতে সিঁদুর মেখে দেবী বরণ | ছবি: ডিএইচ বাদলশুক্রবার (১৯ অক্টোবর) ঢাকেশ্বরী মন্দিরে গিয়ে দেখা গেল, দুর্গা মা কি জয়ধ্বনি তুলে সব বয়সী নারীরা নাচে গানে মেতে উঠেছেন।

সকালে শীতল ভোগের আয়োজন করা হয় দেবীর জন্য। প্রথা অনুযায়ী, এই ভোগ হয় পান্তা, কচুশাক এবং ইলিশ মাছ দিয়ে। এরপর শুরু হয় পূজা। পূজা শেষ হলেই প্রস্তুতি শুরু হয়ে যায় দেবী বরণের। সিঁদুর, পান ও মিষ্টি নিয়ে লম্বা লাইন করে দাঁড়িয়ে যান নারীরা। দেবীকে সিঁদুর মাখানোর পরই শুরু হয় সিঁদুর খেলা।
সিঁদুর খেলায় মেতেছেন তরুণীরা | ছবি: ডিএইচ বাদলসব বয়সী নারীরা যখন সিঁদুর খেলায় মত্ত, তখন অন্য ধর্মাবলম্বীদের দেখা গেছে মন্দির প্রাঙ্গণে। এমনকি বিদেশিরাও এসেছেন উপভোগ করতে।

ইয়াসমিন আরা নামের এক নারী বাংলানিউজকে জানান বাড়ির কাছেই এত সুন্দর আয়োজন তাই দেখতে এসেছেন। সিঁদুর খেলা আয়োজনটিই আসলে রঙের খেলা, সিঁদুর রাঙা। তাই এ সময় আগতদের মাঝে এমনকি আইন-শৃঙ্খলা রক্ষায় নিয়োজিতদের চোখে মুখেও আনন্দের ঝিলিক ফুটে ওঠে।

বাংলাদেশ সময়: ১৩৩০ ঘণ্টা, অক্টোবর ১৯, ২০১৮
ইইউডি/এমজেএফ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।