ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১২ বৈশাখ ১৪৩১, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১৫ শাওয়াল ১৪৪৫

জাতীয়

সংস্থাপন মন্ত্রণালয়ের দুর্নীতিবিরোধী জনমত গঠন ও মানসম্মত শিক্ষা চালুর উদ্যোগ

উবায়দুল্লাহ বাদল, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৩০০ ঘণ্টা, আগস্ট ২৯, ২০১০
সংস্থাপন মন্ত্রণালয়ের দুর্নীতিবিরোধী জনমত গঠন ও মানসম্মত শিক্ষা চালুর উদ্যোগ

ঢাকা: সর্বস্তরে মানসম্মত শিক্ষা নিশ্চিত, তৃণমূল পর্যায়ে নাগরিকসেবা পৌঁছানো এবং দুর্নীতিবিরোধী জনমত গড়ার উদ্যোগ নিয়েছে সংস্থাপন মন্ত্রণালয়। এ সংক্রান্ত একটি রূপরেখা এরই মধ্যে প্রস্তুত করা হয়েছে।



এই রূপরেখা জেলা প্রশাসকদের (ডিসি) কাছে পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে। কর্মসূচীর অগ্রগতি জানিয়ে প্রতিমাসে ডিসিদের সংস্থাপন মন্ত্রণালয়ে প্রতিবেদন পাঠাতে হবে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কর্মসূচীর অগ্রগতি পর্যালোচনা করতে নভেম্বরে বিভাগীয় পর্যায়ে ডিসিদের সঙ্গে বৈঠকে বসবেন।

সংস্থাপন মন্ত্রণালয়ের চিঠি পাওয়ার কথা স্বীকার করে কক্সবাজারের জেলা প্রশাসক মো. গিয়াসউদ্দিন আহমেদ বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম.বিডিকে জানান, চিঠিতে মানসম্মত শিক্ষা নিশ্চিত করতে, নাগরিকসেবা তৃণমূল পর্যায়ে পৌঁছে দিতে এবং দুর্নীতির বিরুদ্ধে জনমত গড়ে তোলার কথা বলা হয়েছে। শিক্ষার্থীদের ‘ড্রপআউট’ রোধে বিশেষ করে ২০১২ সালের মধ্যে সব শিশুকে স্কুলে নিতে কি ধরনের কার্যক্রম চালু করা যায় সে সম্পর্কিত প্রতিবেদন পাঠাতে বলা হয়েছে।    

ঠাকুরগাঁও জেলা প্রশাসক মুহাম্মদ শহীদুজ্জামান জানিয়েছেন, চিঠিতে দুর্নীতি প্রতিরোধ, মানসম্মত শিক্ষা ও সরকারের বিভিন্ন সেবা প্রতিষ্ঠানের কর্মকাণ্ডের বিষয়ে জনগণকে সচেতন করার কথা বলা হয়েছে। শিগগিরই তৃণমূল পর্যায়ে সমাজের বিভিন্ন স্তরের প্রতিনিধিদের নিয়ে কমিটি গঠন করা হবে।

আগামী অক্টোবর কিংবা নভেম্বরে বিভাগীয় পর্যায়ে বিষয়টি নিয়ে জেলা প্রশাসকদের সঙ্গে প্রধানমন্ত্রীর বৈঠকের কথা জানিয়ে তিনি আরও বলেন, সংস্থাপন সচিব ইকবাল মাহমুদ বিভাগীয় কমিশনারদের ডিও লেটার দিয়েছেন। এর কপি ডিসিদের কাছেও পাঠানো হয়েছে।
 
গাজীপুরের জেলা প্রশাসক মো. কামালউদ্দিন তালুকদার জানিয়েছেন, জনপ্রতিনিধি, সরকারি-বেসরকারি কর্মকর্তা, সুশীল সমাজের প্রতিনিধিদের নিয়ে কমিটিও গঠন করা হয়েছে।  

মন্ত্রণালয় সূত্র জানিয়েছে, জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে গঠিত কমিটি প্রতিমাসে কমপক্ষে একটি সভা করবে। সভায় বাধ্যতামূলকভাবে ডিসি’র প্রতিনিধি থাকবেন। ইউনিয়ন ও ওয়ার্ড পর্যায়েও ইউপি চেয়ারম্যান ও ওয়ার্ড কমিশনারদের নিয়ে কমিটি গঠন করা হবে।

এ কর্মসূচির মাধ্যমে জনপ্রতিনিধিদের মাঝেমধ্যে উপস্থিত করার দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানকে। শিক্ষার্থীদের নিয়মিত উপস্থিতি ছাড়াও সেবার মনোভাব গড়ে তোলার ওপরও জোর দেওয়া হয়েছে। স্থানীয় শিক্ষা অফিসের সঙ্গে প্রশাসন ও স্থানীয় জনসাধারণকে সম্পৃক্ত করার কাজ করবে এ কমিটি।

সেবাপ্রদানকারী প্রতিষ্ঠান সম্পর্কে সাধারণ মানুষকে সচেতন করার কাজও করবে কমিটি। মাঠ পর্যায়ে এসব প্রতিষ্ঠানকে জনগণের সেবায় উদ্বুদ্ধ করার প্রচার চালানোর পাশাপাশি প্রতিষ্ঠানগুলোর সেবা সম্পর্কেও জনগণকে অবহিত করবে কমিটি।

কমিটির মাধ্যমে দুর্নীতিবিরোধী জনসচেতনতা বাড়াতে মাঠ পর্যায়ে ব্যাপক কার্যক্রম নেওয়া হবে। বিশেষ করে দুর্নীতিবিরোধী আইনের ব্যাপারে সকলকে সচেতন করা হবে। থাকবে পোস্টার, ব্যানার, মাইকিংয়ের ব্যবস্থা।

মানসম্মত শিক্ষা প্রসার, জনসেবা সম্পর্কে অবহিত করা ও দুর্নীতিবিরোধী জনসচেতনতা বৃদ্ধি সম্পর্কিত কাজের অগ্রগতির প্রতিবেদন প্রতিমাসে সংস্থাপন মন্ত্রণালয়ে পাঠাতে বলা হয়েছে জেলা প্রশাসকদের। প্রতিবেদনে কমিটির সভা সংখ্যাসহ অন্যান্য বিষয়ও উল্লেখ করতে হবে।

বাংলাদেশের সময় ১৪৪৬ ঘণ্টা, ২৯ আগস্ট, ২০১০

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
welcome-ad