ঢাকা, বুধবার, ৩ বৈশাখ ১৪৩১, ১৭ এপ্রিল ২০২৪, ০৭ শাওয়াল ১৪৪৫

জাতীয়

শ্রীমঙ্গলে দুর্গাপূজায় ভাস্কর্যে চা নারীদের সম্মাননা

| বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২০০৮ ঘণ্টা, অক্টোবর ১৫, ২০১৮
শ্রীমঙ্গলে দুর্গাপূজায় ভাস্কর্যে চা নারীদের সম্মাননা শ্রীমঙ্গল সবুজবাগ যুব পরিষদের দুর্গোৎসব। ছবি : বাংলানিউজ

মৌলভীবাজার: চল্লিশটি চা বাগানের সৌন্দর্যকে একত্রে বোঝাতে ‘চায়ের রাজধানী’ বলা হয় শ্রীমঙ্গলকে। সেসব চা বাগানের বিশাল একটি জনগোষ্ঠী নারী শ্রমিক। এসব চা শ্রমিকরা এবার যুক্ত হয়েছেন স্থানীয় দুর্গোৎসবে। এবার ভাস্কর্য প্রতীকে সম্মানিত হলেন তারা।

‘চা-কন্যা’ ভাস্কর্য হলো লাখ লাখ চা-শ্রমিক নারী শ্রমশক্তির প্রতিবিম্ব। সেই চায়ের নারীদের সম্মাননা জানিয়ে ‘চা-কন্যা’ ভাস্কর্যকে উৎসব প্রাঙ্গণে ঠাঁই দিলো ‘সবুজবাগ যুব দুর্গাপূজা উদযাপন পরিষদ’।

এবার তাদের দশম উদযাপন বৎসর। ভিন্নধর্মী এ আয়োজনে দর্শণার্থী সংখ্যা বেশি হবে বলে দাবি করেছেন আয়োজকরা।
 
শুধু তাই নয় পার্শ্ববর্তী দেশে পাড়ি দেওয়া ঢাকিদের (বাদ্যযন্ত্র শিল্পী) যথোপোযুক্ত পারিশ্রমিকে দেশে ফিরিয়ে তাদের শিল্প পরিবেশনে অনুপ্রাণিত করছেন তারা। যাতে করে সেসব বাদ্যযন্ত্রীরা আমাদের দেশে বিশেষ ধর্মীয় অনুষ্ঠানগুলোতে তাদের পরিবেশনাগুলো স্বাচ্ছন্দ্যে প্রদর্শন করতে পারেন।
 
সোমবার (১৫ অক্টোবর) দুপুরে সবুজবাগ যুব দুর্গাপূজা উদযাপন পরিষদ প্রাঙ্গণে গিয়ে দেখা গেল শেষ মুহূর্তের প্রস্তুতি চলছে। মৃৎশিল্পী জয়ন্ত পাল শেষের ব্যস্ততম টানগুলোতে প্রতিমা দেবীকে বর্ণিল করে তুলছেন। প্রবেশপথের দু’পাশ ককসিটের উপর নান্দনিক কারুকাজের মাধ্যমে দুর্গাদেবীর ব্যবহৃত বস্তুগুলো প্রতীকরূপ সংযোজন করা হয়েছে। যা বহুলাংশে দৃষ্টিনন্দন এবং মণ্ডপের শোভাবর্ধনসূচক।  

শ্রীমঙ্গল সবুজবাগ যুব পরিষদের চা-কন্যা ভাষ্কর্য।  ছবি : বাংলানিউজ
সবুজবাগ যুব দুর্গাপূজা উদযাপন পরিষদের সাধারণ সম্পাদক ছোটন চৌধুরী বাংলানিউজকে বলেন, শ্রীমঙ্গলের প্রতীক চা-কন্যা ভাস্কর্য। আমাদের শ্রীমঙ্গলে অবস্থিত বিপুল সংখ্যক নারী চা শ্রমিকদের সম্মান জানিয়ে আমরা এটি স্থাপন করেছি। কারণ এসব নারী চা শ্রমিকরাই তাদের কঠোর শ্রম দিয়ে পর্যটননগরী শ্রীমঙ্গলের নামকে উজ্জ্বল করে চলেছেন। আর শ্রীমঙ্গলে আসা পর্যটকদের কাছেও এর বিশেষ আকর্ষণ রয়েছে।
 
তিনি আরও বলেন, আমাদের এবারের স্পেশালিটি হলো বাজনা। শিশু-কিশোরদের মধ্যে আরতির (নৃত্য) উৎসাহ ও ব্যাপকতা ছড়িয়ে দিতে বাংলাদেশি সাতজন এবং ভারতীয় পাঁচজন মোট ১২ জন বিশেষ ঢাকির (বাদ্যযন্ত্রী) সমন্বয়ে একটি বিশেষ দল গঠন করা হয়েছে। বিশেষ ঢাকিদের বাজনায় স্থানীয় শিশু-কিশোরদের নৃত্যশৈলী পরিবেশন করা হবে। এছাড়া ভারতীয় ঢাকিদের চমকপ্রদ পরিবেশনায় উৎসাহ দেওয়া হয়েছে।
 
সবুজবাগ যুব দুর্গাপূজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি উমাপদ দাশ রাজীব জানান, এবার আমাদের দশম আয়োজন। প্রতিবছরই আমরা প্রতীমাকে বৈচিত্র্যপূর্ণ করার নিরন্তর চেষ্টা করি। থিমনির্ভর ব্যতিক্রম পরিবেশনগুলোর সংযোজনের ফলেই আমরা আগত দর্শনার্থীদের মনে স্থান করে নিয়েছি। এবারও বিপুল মানুষের পদচারণায় মুখরিত হবে আমাদের উৎসবপ্রাঙ্গণ।
 
শ্রীমঙ্গল উপজেলায় ১৩টি ব্যক্তিগত এবং ১৫৫টি সার্বজনীনসহ মোট ১৬৮টি দুর্গাপূজা অনুষ্ঠিত হচ্ছে বলে জানান বাংলাদেশ পূজা উদযাপন পরিষদ শ্রীমঙ্গল উপজেলার সাধারণ সম্পাদক সুশীল শীল।
 
 বাংলাদেশ সময়: ১৬০৬ ঘণ্টা, অক্টোবর ১৫, ২০১৮
বিবিবি/আরআর

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।