ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১২ বৈশাখ ১৪৩১, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১৫ শাওয়াল ১৪৪৫

জাতীয়

রংপুরে মণ্ডপে মণ্ডপে চলছে পূজার প্রস্তুতি

| বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৪৩৫ ঘণ্টা, অক্টোবর ১২, ২০১৮
রংপুরে মণ্ডপে মণ্ডপে চলছে পূজার প্রস্তুতি প্রতিমায় তুলির ছোঁয়া দেয়া হচ্ছে

রংপুর: রংপুরে আনন্দঘন পরিবেশে বিভিন্ন মন্দিরের মণ্ডপে মণ্ডপে বেশ আমেজেই এগিয়ে চলছে শারদীয় দুর্গোৎসবের প্রস্তুতি। হিন্দু ধর্মালম্বীদের সবচেয়ে বড় এ ধর্মীয় উৎসবের রঙ ছড়িয়ে দিতে ব্যস্ত সময় পার করছেন মৃৎশিল্পের কারিগররা। পাশাপাশি সার্বিক আয়োজন সুষ্ঠভাবে সফল করার জন্য পূজা উদযাপন কমিটির সদস্যরা দিনরাত তৎপরতা চালিয়ে যাচ্ছেন।

এদিকে বিভাগের আটটি জেলায় প্রায় সাড়ে পাঁচ হাজার পূজামণ্ডপে অপ্রীতিকর পরিস্থিতি এড়াতে ও নির্বিঘ্নে পূজা কার্যক্রম শেষ করতে সতর্কাবস্থানে রয়েছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। এ লক্ষ্যে রোববার (৭ অক্টোবর) রংপুর রেঞ্জ ডিআইজি পূজা উদযাপন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে মতবিনিময় করেছেন।



সরেজমিনে নগরীর শ্রী শ্রী করুণাময়ী কালীবাড়ি, আনন্দময়ী সেবাশ্রম, ধর্মসভা, গুপ্তপাড়া, মাহিগঞ্জ মন্দিরসহ বিভিন্ন এলাকার মন্দির ঘুরে দেখা গেছে, ছোট বড় সব মন্দিরেই এখন চলছে উৎসবের প্রস্তুতি। প্রতিমার পাশাপাশি আকর্ষণীয় মণ্ডপ তৈরির কাজে ব্যস্ত সময় পার করছেন সংশ্লিষ্টরা। ছোট বড় এমনকি বিশ্ববিদ্যালয় পড়ুয়া শিক্ষার্থীরা নিজেদের উদ্যোগে মণ্ডপ তৈরিতে সহযোগিতা করছে। এসব প্রতিমা তৈরি দেখতে ভিড় জমাচ্ছেন সাধারণ মানুষ।  

বাংলাদেশ পুলিশের রংপুর রেঞ্জ ও পূজা উদযাপন পরিষদ সূত্রের তথ্য মতে, এ বছর রংপুর বিভাগের ৮ জেলায় ৫ হাজার ২৬৫টি মণ্ডপে দুর্গোৎসবের প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে মেট্টোপলিটন ছাড়া রংপুর জেলায় ৭৩৪টি, গাইবান্ধায় ৬১০, কুড়িগ্রাম ৫২৫, লালমনিরহাট ৪৩২, নীলফামারী ৮৫৪, দিনাজপুরে ১২১৪, ঠাকুরগাঁও জেলাতে ৪৫৪ এবং পঞ্চগড়ে ২৭৫টি পূর্জা মণ্ডপ থাকবে।  

এছাড়াও রংপুর মহানগরে ১৬৭টি মণ্ডপে পূজা অনুষ্ঠিত হবে। গতবারের চেয়ে পূজা মণ্ডপের সংখ্যা বৃদ্ধি পেয়েছে। এসব পূজা মণ্ডপের মধ্যে অধিক গুরুত্বপূর্ণ ১২৯০টি এবং গুরুত্বপূর্ণ ১৩৭৮টি মণ্ডপ। এ বছর রংপুর বিভাগের এসব পূজা মণ্ডপে প্রায় ৩০ হাজারের মত আনসার সদস্য দায়িত্ব পালন করবেন। এছাড়া সর্বোচ্চ সতর্ক অবস্থানে থাকবেন পুলিশ, র‌্যাবসহ সাদা পোশাকে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী।  

নগরীর ডিমলা কালিবাড়ি মন্দিরে প্রতিমা কারিগর উত্তম কুমার পাল বাংলানিউজকে বলেন, প্রতিমা তৈরি প্রায় শেষের দিকে। মাটির ঘোলা লাগানোর কাজ শেষ। এখন শুধু রঙ লাগালেই প্রতিমা প্রস্তুত হয়ে যাবে। আর তিন চারদিনের মধ্যে তা সম্পন্ন হবে।  

এ বিষয়ে মহানগর পূজা উদযাপন পরিষদের সাধারণ সম্পাদক ধনজিত ঘোষ তাপস বাংলানিউজকে বলেন, দুর্গোৎসবকে সফল করার লক্ষ্যে আমরা সব প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি। আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী আমাদের সর্বাত্মক সহযোগিতা করছেন।  

সার্বিক বিষয়ে রংপুর মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার মোহাম্মদ আব্দুল আলীম মাহমুদ বাংলানিউজকে বলেন, আমরা সর্বোচ্চ সতর্ক অবস্থানে রয়েছি। কোনো অপ্রীতিকর ঘটনার আশঙ্কা নেই। প্রশাসনের কয়েকটি বাহিনী বিভিন্ন ভাবে পূজার সময় নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে কাজ করবে। প্রত্যেকটি পূজা মণ্ডপে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা উপস্থিত থাকবে।  

বাংলাদেশ সময়: ১০২৮ ঘণ্টা, অক্টোবর ১২, ২০১৮
এপি/এসএইচ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।