ঢাকা: ‘জেনোভ্যালি পিংক সিটি’র কয়েকশ’ গ্রহীতা তাদের ফ্লাট বুকিং এর টাকা ফেরত পেতে রবিবার প্রতিষ্ঠানটির কার্যালয়ের সামনে ভীড় করেন।
এসময় ক্ষোভ প্রকাশ করে তারা বলেন, ‘আর ওয়াদা নিতে চাইনা।
ফ্লাট গ্রহীতারা জানান, জেনোভ্যালি পিংকসিটির প্রতারণা সংক্রান্ত সংবাদ বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত হওয়ার পর দেশে-বিদেশে থাকা অনেক ফ্লাট ক্রেতা টাকা ফেরত চাইছেন।
পিংক সিটি’র চুক্তি অনুযায়ী পুরো টাকা পরিশোধ করেও ফ্লাট পাওয়া যাচ্ছে না বলে বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম.বিডি’র কাছে অভিযোগ করেন একজন গ্রহীতা। নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, ‘পিংক সিটি আমাদের সাথে প্রতারণা শুরু করেছে। ’
নাম প্রকাশ করলে একেবারেই টাকা ফেরত না পেতে পারেন এমন আশঙ্কাও প্রকাশ করেন তিনি।
এদিকে, পিংক সিটি’র কলাবাগানস্থ কার্যালয়ের সামনে এ সময় ফ্লাট গ্রহীতাদের ভিড়ে রাস্তায় যানজটের সৃষ্টি হয়।
এব্যাপারে জেনোভ্যালি পিংক সিটি’র ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. সালাউদ্দিন এর সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি কথা বলতে রাজি হননি।
অভিযোগ রয়েছে, বিগত জোট সরকারের আমলে রাজউকের নিয়ম-নীতির তোয়াক্কা না করেই শুরু হয় পিংক সিটি প্রকল্প। ওই সময় প্রশাসনে জামাতপন্থি কর্মকর্তা হিসেবে পরিচিত সাবেক স্বরাষ্ট্র সচিব ওমর ফারুক, সাবেক শিক্ষা সচিব শহিদুল আলমসহ কর্মকর্তাদের কয়েকজনের পৃষ্টপোষকতায় মো. সালাউদ্দিন এ কার্যক্রম শুরু করেন।
ফ্লাট বিক্রির সময় দেয়া প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী ২০০৮ সালের মধ্যে আমাদের প্লট বুঝিয়ে দেওয়ার কথা।
অন্য একজন ফ্লাট গ্রহীতা বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম.বিডিকে জানান, আগামী দুই মাসের মধ্যে ফ্লাট বুঝে না পেলে আইনের আশ্রয় নিবেন।
পিংক সিটি মিডিয়া বিভাগে কর্মরত আব্দুল হালিম বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম.বিডিকে বলেন, নিয়মানুযায়ী বুকিং এর তিন বছরের মধ্যে ফ্লাট বুঝিয়ে দেওয়ার কথা।
নিয়ম থাকলেও কেন তা করা হলো না জানতে চাইলে তিনি আর কথা বলতে রাজি হননি।
বাংলাদেশ স্থানীয় সময়: ১৩৩২ ঘণ্টা, আগস্ট ২৯, ২০১০