ঢাকা, শুক্রবার, ১৫ চৈত্র ১৪৩০, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৮ রমজান ১৪৪৫

জাতীয়

‘মৃত ভেবে মরদেহের সারিতে ফেলে রাখা হয়েছিল’

| বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৫৫৩ ঘণ্টা, অক্টোবর ১০, ২০১৮
‘মৃত ভেবে মরদেহের সারিতে ফেলে রাখা হয়েছিল’ মাহাবুবা পারভীন।  ছবি: বাংলানিউজ

ঢাকা (সাভার): মৃত ভেবে মরদেহের সারিতে ফেলে রাখা হয়েছিল। শরীরে স্প্লিন্টারের যন্ত্রণা নিয়েও নৃশংস গ্রেনেড হামলা মামলার বিচারের আশায় বেঁচে আছি। এ সব কথা বলছিলেন ২০০৪ সালের ২১ আগস্ট আওয়ামী লীগের সমাবেশে অংশ নেওয়া গ্রেনেড হামলায় আহত সাভার স্বেচ্ছাসেবক লীগের নেত্রী মাহাবুবা পারভীন।  

দীর্ঘ ১৪ বছর অপেক্ষার পর বুধবার (১০ অক্টোবর) ভয়াল ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা মামলার রায় ঘোষণা হবে।  

লোমহর্ষক ঘটনা ওই দিনের কথা স্মরণ করে মাহাবুবা বাংলানিউজকে বলেন, হামলার পর আমাকে মৃত ভেবে মরদেহের সারিতে ফেলে রাখা হয়েছিল দীর্ঘ সময়।

পরের দিন পত্রিকায় মৃতদের তালিকায় আমার ছবিও ছাপা হয়েছিল।

তিনি বলেন, কিন্তু স্বেচ্ছাসেবক লীগের কেন্দ্রীয় নেতা আশিষ কুমার মজুমদার তাকে হাসপাতালে ভর্তি করায় আইসিউতে ৭২ ঘণ্টা থাকার পর বেঁচে গেলেও। শরীরে বয়ে চলছি স্প্লিন্টারের যন্ত্রণা। এ ব্যথ্যা অন্য কেউই অনুভব করতে পারবে না। শরীরের স্প্লিন্টারের যন্ত্রণায় এখনও রাতে ঘুমাতে পারি না।

তিনি আরও বলেন, আহতবস্থায় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএসএমএমইউ) হাসপাতাল এবং বাংলাদেশ মেডিকেলে চিকিৎসা দেওয়া হয় তাকে। অবস্থার উন্নতি না হলে বঙ্গবন্ধু কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সহযোগীতায় কলকাতার পিয়ারলেস হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখানে ২৫ দিন চিকিৎসা দেওয়ার পর তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ব্যাংককে নেওয়ার পরামর্শ দেন চিকিৎসকরা। তবে অর্থাভাবে তা সম্ভব হয়ে ওঠেনি।

চৌদ্দ বছর অপেক্ষার পর ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা মামলার রায় হচ্ছে। সেদিনের হামলাকারী, নির্দেশদাতা ও পরিকল্পিত হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িতদের সর্বোচ্চ শাস্তির দাবি জানান ভ্যাগ্যক্রমে বেঁচে যাওয়া সাভারের মাহাবুবা পারভীন।

২০০৪ সালের ২১ আগস্টে রাজধানীর বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ে তৎকালীন বিরোধীদলীয় নেতা আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনার সমাবেশে ভয়াবহ গ্রেনেড হামলা চালানো হয়। এতে আওয়ামী লীগ নেত্রী আইভি রহমানসহ প্রাণ হারান ২৪ জন। অল্পের জন্য বেঁচে যান শেখ হাসিনা।

বাংলাদেশ সময়: ১১৫০ ঘণ্টা, অক্টোবর ১০, ২০১৮
আরআইএস/

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।