ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১২ বৈশাখ ১৪৩১, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১৫ শাওয়াল ১৪৪৫

জাতীয়

লরি নয় ঢাকায় তেল আসবে পাইপে, একনেকে উঠছে প্রকল্প

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৩০৩ ঘণ্টা, অক্টোবর ৯, ২০১৮
লরি নয় ঢাকায় তেল আসবে পাইপে, একনেকে উঠছে প্রকল্প ভূগর্ভস্থ পাইপলাইন। ছবি: ফাইল ফটো

ঢাকা: আর কোস্টাল ট্যাংকার যোগে নয়, এবার ভূগর্ভস্থ পাইপলাইনের মাধ্যমে চট্টগ্রাম থেকে হোয়াইট পেট্রোলিয়াম আনা হবে ঢাকা, কুমিল্লা ও চাঁদপুরে। 

সিস্টেম লস কমানো ও নিরবচ্ছিন্ন পরিবহনের জন্যই প্রথমবারের মতো এমন উদ্যোগে বাস্তবায়ন করতে যাচ্ছে সরকার। ২ হাজার ৮৬১ কোটি ৩১ লাখ টাকা ব্যয়ে প্রকল্পটি ২০১৮ সালের অক্টোবর থেকে ২০২০ সালের ডিসেম্বরে বাস্তবায়ন করা হবে।

মঙ্গলবার (০৯ অক্টোবর) শেরে বাংলা নগর এনইসি সম্মেলনে জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) সভায় প্রকল্পটি উপস্থাপন করা হবে।

জানা যায়, চট্টগ্রাম থেকে নারায়ণগঞ্জের গোদনাইল পর্যন্ত ১৬ ইঞ্চি ব্যাসের ২৩৮ কিলোমিটার পাইপলাইন নির্মাণ করা হবে। এছাড়া গোদলাইন থেকে ফতুল্লা পর্যন্ত ১০ ইঞ্চি ব্যাসের ৮ কিলোমিটার এবং কুমিল্লা থেকে চাঁদপুর পর্যন্ত ৬ ইঞ্চি ব্যাসের ৫৯ কিলোমিটার ভূগর্ভস্থ পাইপলাইন নির্মাণ করা হবে। মোট ৩০৫ কিলোমিটার পাইপলাইন নির্মাণ করা হবে।

এ প্রসঙ্গে পরিকল্পনা কমিশনের শিল্প ও শক্তি বিভাগের যুগ্ম-প্রধান (তৈল, গ্যাস ও প্রাকৃতিক সম্পদ উইং) মহসীন আলী খন্দকার বাংলানিউজকে বলেন, প্রকল্পটি একনেক সভায় উপস্থাপন করা হবে। জরিপ ও সম্ভাব্যতা যাচাই করে প্রকল্পের ডিপিপি (প্রকল্পের উন্নয়ন প্রস্তাব) তৈরি করেছে বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম করপোরেশন (বিপিসি)। নানা কারণেই প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করতে যাচ্ছে সরকার। বর্তমানে বাংলাদেশে পেট্রোলিয়ামের বার্ষিক চাহিদা ৫৫ লাখ মেট্রিক টন। দেশে গ্যাসের চাহিদা দিনদিন বাড়ছে। পেট্রোলিয়ামেরও চাহিদা বাড়ছে।
 
২০২১ সালের পর দেশের পুরাতন বিভিন্ন ফিল্ড থেকে গ্যাস উত্তোলন কমতে থাকবে। দেশে আর কোনো নতুন গ্যাসক্ষেত্র আবিষ্কার করা না গেলে বিকল্প জ্বালানি হিসেবে পেট্রোলিয়ামের চাহিদা দ্রুত বাড়তে থাকবে। ঢাকা ও এর আশেপাশে বার্ষিক পেট্রোলিয়ামের চাহিদা ১৫ লাখ মেট্রিক টন। বর্তমানে তা গোদলাইন ও ফতুল্লা ডিপোসমূহের মাধ্যমে সরবরাহ করা হয়।

অন্যদিকে, চাঁদপুরে অবস্থিত তেল বিপণন কোম্পানিসমূহের ডিপোতে পেট্রোলিয়ামের চাহিদা ১ দশমিক ৫৫ লাখ মেট্রিক টন।
 
চট্টগ্রাম থেকে কোস্টাল ট্যাংকারযোগে বর্তমানে গোদলাইন, ফতুল্লা ও চাঁদপুরে জ্বালানি তেল পরিবহন করা হয়। এতে বিপুল খরচ হয়। পরিবহনের জন্য পরিবহন ঘাটতিও হয়। পাশাপাশি নদীপথে ট্যাংকারযোগে জ্বালানি তেল পরিবহনে পরিবেশ দূষণগত ঝুঁকিও রয়েছে।
 
বর্তমানে জলপথে ৯০ শতাংশ জ্বালানি তেল পরিবহন করা হয়। এজন্য রয়েছে ২০০টি কোস্টাল ট্যাংকার। দিনদিন নদীগুলোর নাব্যতা কমে যাচ্ছে। এছাড়া আবহাওয়া খারাপ হলে ট্যাংকার পরিচালনা করা যায় না। ফলে জ্বালানি তেলের চাহিদা বাড়লেও সঠিক সময়ে পরিবহন করা অনেক সময় সম্ভব হয়ে ওঠে না। সঠিক সময়ে ও নির্বিঘ্নে হোয়াইট পেট্রোলিয়াম পরিবহনের জন্যই নির্মিত হতে যাচ্ছে ভূগর্ভস্থ পাইপলাইন।
 
বাংলাদেশ সময়: ২২৫৯ ঘণ্টা, অক্টোবর ০৮, ২০১৮
এমআইএস/এনটি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।