ঢাকা, শনিবার, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৭ শাওয়াল ১৪৪৫

জাতীয়

খাগড়াছড়ির পর্যটনে রয়েছে সম্ভাবনা, নেই উদ্যোগ

অপু দত্ত, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১২১১ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ২৭, ২০১৮
খাগড়াছড়ির পর্যটনে রয়েছে সম্ভাবনা, নেই উদ্যোগ খাগড়াছড়িতে পর্যটক কম। ছবি: বাংলানিউজ

খাগড়াছড়ি: অপার সৌন্দর্য্য আর সম্ভাবনাময় জনপদ পার্বত্য জেলা খাগড়াছড়ি। পাহাড়-নদী ঝরনা আর সমতলের সমাবেশ এ পার্বত্য জনপদে। রহস্যময় সুরঙ্গ আর বৈচিত্র্যময় পাহাড়ী সংস্কৃতি এখানকার অন্যতম আকর্ষণ। কিন্তু অভিযোগ রয়েছে শুধুমাত্র সুরঙ্গ ছাড়া অন্য পর্যটন স্পটগুলো তেমন আকর্ষণই করছেনা পর্যটকদের।

স্থানীয়রা বলছেন, মেঘের দেশ সাজেক এর জন্য পর্যটক বেড়েছে খাগড়াছড়িতে। কারণ খাগড়াছড়ি হয়েই রাঙ্গামাটির সাজেকে যেতে হয়।

এ কারণে খাগড়াছড়িতে হোটেল, যানবাহনসহ বেশ কয়েকটি খাতে বেড়েছে আয়। শুধুমাত্র খাগড়াছড়ির পর্যটন স্পট দেখতে আসা লোকের সংখ্যা খুবই কম। সম্ভাবনাময় পর্যটন শিল্পের বিকাশে তেমন কোন উদ্যোগও নেই এখানে।

স্থানীয়দের অভিযোগ, পার্বত্য তিন জেলার মধ্যে সুযোগ সুবিধার ক্ষেত্রে এখনও পিছিয়ে রয়েছে খাগড়াছড়ি। প্রায় এক যুগ আগে আলুটিলায় একটি ভবনসহ বেশ কয়েকটি স্পট তৈরি করা হলেও তাও এখন কাজে আসছে না। ফলে এখানে পর্যটকের উপস্থিতিও অনেক কম।  রহস্যময় সুরঙ্গ।  ছবি: বাংলানিউজসবশেষ জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে একটি কফি হাউস নির্মাণ করা হয়েছে। রাতের আলুটিলা আলোকিত করা হয়েছে। তবে প্রয়োজনের তুলনায় তা অপ্রতুল। সংকট রয়েছে পর্যটকদের বিশ্রামাগারের। টুরিস্ট স্পটগুলোর আধুনিকায়ন না হওয়ায় পর্যটক আসতেও উৎসাহিত হননা।

গাজীপুর থেকে পরিবার নিয়ে বেড়াতে আসা আশফাক উল্লাহ বলেন, খাগড়াছড়ির রিছাং ঝরনা, আলুটিলা, সুরঙ্গ, জেলা পরিষদ পার্কসহ পর্যটন স্পটগুলো পরিবার নিয়ে ঘুরতে আসার জন্য বেশ ভালো। কিন্তু স্পটগুলো আধুনিকায়ন করা জরুরী। এগুলোতে সুযোগ সুবিধার অনেক ঘাটতি রয়েছে।

চট্টগ্রামের বাসিন্দা জামাল উদ্দিন ও ফখরুল ইসলাম বলেন, আলুটিলায় সুরঙ্গ ছাড়া চোখে পড়ার মত কিছুই নেই। পাহাড়ী দৃশ্যতো মুগ্ধতা আনবেই। এ জায়গাটির প্রচার বাড়ানো গেলে পর্যটকদের সংখ্যা আরও বাড়বে।

সাজেক ঘুরে এসে খাগড়াছড়ির বিভিন্ন স্পট ঘুরতে এসেছেন ইসরাত জাহান এবং শারমিন আক্তার। তারা বলেন, যারা সাজেক দেখতে আসেন তারাই মূলত খাগড়াছড়ির স্পটগুলো ঘুরে যান। শুধুমাত্র খাগড়াছড়ির পর্যটন স্পট দেখতে আসা লোকের সংখ্যা খুবই কম।

খাগড়াছড়ি হোটেল ব্যবসায়ী সমিতির সাধারণ সম্পাদক এস অনন্ত বিকাশ ত্রিপুরা বলেন, খাগড়াছড়িতে আসা পর্যটকদের অধিকাংশই সাজেক দেখার জন্য আসেন। পথে যাত্রা বিরতি হিসেবে থাকে খাগড়াছড়ি।  

খাগড়াছড়ি ট্যুরিস্ট পুলিশের অফিসার ইনচার্জ সন্তোষ ধামেই বলেন, এখানে পর্যটকদের নিরাপত্তা সংক্রান্ত কোন সমস্যা নেই। পর্যটকরা নির্বিঘ্নে স্পটগুলো ঘুরে বেড়াতে পারবেন। পাহাড়ের আঞ্চলিক বিশৃঙ্খলায় এতে কোনো প্রভাব পরে না।

খাগড়াছড়ির জেলা প্রশাসক রাশেদুল ইসলাম বলেন, আমরা আলুটিলায় সংস্কারের কিছুটা কাজ করেছি। পার্বত্য চুক্তি অনুযায়ী পর্যটন এখন পার্বত্য জেলা পরিষদের অধীনে। ফলে পরিষদ চাইলে স্পটগুলো আধুনিকায়ন এবং নতুন পরিকল্পনা গ্রহণ করতে পারে। এসব নিয়ে জেলা পরিষদ চেয়ারম্যানের সঙ্গে কথা বলবো।

বাংলাদেশ সময়: ০৮০১০ ঘন্টা, সেপ্টেম্বর ২৭, ২০১৮
এডি/এএইচ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

জাতীয় এর সর্বশেষ