মঙ্গলবার (২৫ সেপ্টেম্বর) রাতে তাদের গ্রেফতার করা হয়। বুধবার (২৬ সেপ্টেম্বর) তাদের কারাগারে পাঠানো হয়।

গ্রেফতারকৃতরা হলেন- হবিগঞ্জ জেলা বিএনপির সদস্য ও শায়েস্তাগঞ্জ পৌর বিএনপির সাবেক সহ-সভাপতি এবং সাবেক চেয়ারম্যান সৈয়দ অলিউর রহমান ও তার ভাই সৈয়দ শফিকুর রহমান।

স্থানীয়রা জানান, বিএনপি নেতা অলিউর রহমান ভূমি অফিসে গিয়ে অন্যায়ভাবে নামজারি করার জন্য তহসিলদার বাদলের ওপর চাপ দেন। এতে অপরাগতা জানালে অলিউর রহমান স্থানীয় কয়েকজন যুবককে নিয়ে তহসিলদার এবং তার সহকর্মীদের মারপিট করেন। এ সময় অফিসও ভাংচুর করা হয়।

এ ব্যাপারে মঙ্গলবার রাতে বাদী হয়ে বাদল শায়েস্তাগঞ্জ থানায় মামলা দায়ের করেন। এরপর রাতেই সৈয়দ অলিউর রহমান ও তার ভাই সৈয়দ শফিকুর রহমানকে গ্রেফতার করে পুলিশ।

তহসিলদার রেজাউল করিম বাদল বাংলানিউজকে জানান, সৈয়দ অলিউর রহমান ৫০৪০ নং দাগের খাজনা নেওয়ার জন্য তার ওপর চাপ দেন। ওই দাগটি সরকারি অধিগ্রহণভুক্ত হওয়ায় তিনি খাজনা নিতে অপারগতা প্রকাশ করেন। এ সময় তাদের মারপিট করা হয়। এক পর্যায়ে তাকে গুলি করে হত্যারও হুমকি দেওয়া হয়। বিষয়টি তার ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানালে অফিসের নির্দেশে তিনি মামলা দায়ের করেন।

সৈয়দ অলিউর রহমানের ছেলে সৈয়দ রিমেল রহমান বাংলানিউজকে জানান, সৈয়দ শফিকুর রহমান আমাদের মৌড়শী সম্পত্তির একটি দাগের খাজনা দিতে গেলে তহসিলদার রেজাউল করিম বাদল রাষ্ট্রীয় খাজনা নিতে অস্বীকার করেন। তখন আমার বাবা এর প্রতিবাদ করেন। এতে উক্ত তহসিলদার ক্ষিপ্ত হয়ে বলেন তোমাদের দেখে নেব। পরে একটি ষড়যন্ত্রমূলক মিথ্যা বানোয়াট মামলা সাজিয়ে আমার ৭০ বয়সী বাবা ও ৬৮ বছর বয়সী চাচাকে গ্রেফতার করায়।  

শায়েস্তাগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আনিছুর রহমান বাংলানিউজকে জানান, মামালা পরপরই দুইজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।

এ ব্যাপারে হবিগঞ্জ সদর উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মর্জিনা খাতুন বাংলানিউজকে জানান, ভূমি কর্মকর্তাকে মারপিট এবং গ্রেফতারের ঘটনা জানতে পেরেছি। তবে ঘটনার ব্যাপারে বিস্তারিত তিনি জানেন না।  

বাংলাদেশ সময়: ১৪৪৯ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ২৬, ২০১৮
এনটি