ঢাকা, শুক্রবার, ১৫ চৈত্র ১৪৩০, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৮ রমজান ১৪৪৫

জাতীয়

জল্লার চেয়ারম্যান হত্যা মামলায় আরও ৩ জন জেলহাজতে

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১০২৮ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ২৬, ২০১৮
জল্লার চেয়ারম্যান হত্যা মামলায় আরও ৩ জন জেলহাজতে

বরিশাল: বরিশালের উজিরপুরের জল্লা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান বিশ্বজিৎ হালদার নান্টু হত্যার ঘটনায় তিন আসামিকে জেলহাজতে পাঠিয়েছেন আদালত। মঙ্গলবার (২৫ সেপ্টেম্বর) সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের মাধ্যমে তাদের জেলহাজতে পাঠানো হয়।

জেলহাজাতে প্রেরণকৃতরা হলেন-উজিরপুরের বিলগাববাড়ি এলাকার রমনী জয়ধর, ইন্দুরকানি গ্রামের খোকন বাড়ৈ ও মোল্লা পাড়ার দিলীপ চৌধুরী।  

এর আগে রোববার (২৩ সেপ্টেম্বর) এজাহারনামীয় আসামি মো. সাইফুল সিকদার, হরশিত রায়, আইয়ুব আলী ফরাজী ও মান্নান হাওলাদার ওরফে মান্নুকে আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে।

এ পর্যন্ত মোট সাতজন গ্রেফতারের পর জেলহাজতে রয়েছেন।

এদিকে জেলহাজাতে প্রেরণকৃতদের মধ্যে হরশিত রায় এবং আইয়ুব আলী ফরাজীর বিরুদ্ধে সাতদিনের রিমান্ড চেয়ে আদালতে আবেদন করেছেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা। যে রিমান্ড আবেদনের শুনানির দিন আগামী ২৭ সেপ্টেম্বর ধার্য রয়েছে।  

মামলা সূত্রে জানা গেছে, গত শুক্রবার (২১ সেপ্টেম্বর) রাত পৌনে ৯টার দিকে জল্লা ইউনিয়নের কারফা বাজারের দিশারী বস্ত্রালয়ে অবস্থানকালে চেয়ারম্যান বিশ্বজিৎ হালদারকে দুর্বৃত্তরা গুলি করে গুরুতর জখম করে। এসময় মামলার সাক্ষী নিহার হালদার ও অভিতাভ চেয়ারম্যানকে উদ্ধারে এগিয়ে আসলে তাদেরও হত্যার উদ্দেশ্যে গুলি করা হয়। পরে স্থানীয়রা এগিয়ে আসলে দুর্বৃত্তরা ফাঁকা গুলি করে পালিয়ে যায়।

চেয়ারম্যানসহ আহতদের উদ্ধার করে বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়। যার মধ্যে চেয়ারম্যান বিশ্বজিৎ হালদারকে রাত পৌনে ১০টার দিকে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।

এ ঘটনার পরের দিন বিশ্বজিৎ হালদার নান্টুর বাবা মুক্তিযোদ্ধা সুকলাল হালদার স্থানীয় সংসদ সদস্য অ্যাডভোকেট তালুকদার মো. ইউনুসের পিএস মো. আবু সাঈদ রাঢ়ীসহ ৪০ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ এনে হত্যা মামলা করেন।

মামলায় শোলক ইউনিয়নের বর্তমান চেয়ারম্যান কাজী হুমায়ুন কবির, ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি জালাল মল্লিক, জল্লা ইউনিয়ন স্বেচ্ছাসেবক লীগ সভাপতি তাইজুর রহমান পান্নু, ছাত্রলীগ সভাপতি মামুন শাহ ও ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান ২০০৪ সালে দুর্বৃত্তদের হাতে নিহত অবনী ভূষণ বাড়ৈর ছেলে অচিন্ত বাড়ৈসহ ৩২ জনকে নামধারী এবং আরও ৭/৮ জন অজ্ঞাতনামা আসামি করা হয়েছে।

এদিকে চেয়ারম্যান নিহত হওয়ার পর থেকেই উজিরপুরবাসী নানা কর্মসূচি পালন করে আসছে। মঙ্গলবার চতুর্থদিনেও জল্লায় চেয়ারম্যান নান্টুর খুনিদের ফাঁসির দাবিতে মানববন্ধন, বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ কর্মসূচি পালন করা হয়েছে।

বাংলাদেশ সময়: ০৬২৬ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ২৬, ২০১৮
এমএস/আরআর

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।