ঢাকা, শুক্রবার, ১৪ চৈত্র ১৪৩০, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৮ রমজান ১৪৪৫

জাতীয়

সব দল নির্বাচনে আসবে, প্রত্যাশা রাষ্ট্রপতির

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০১০৩ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ২৬, ২০১৮
সব দল নির্বাচনে আসবে, প্রত্যাশা রাষ্ট্রপতির কিশোরগঞ্জে গণসংবর্ধনা অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ

কিশোরগঞ্জ: প্রত্যেকটা রাজনৈতিক দলেরই নির্বাচনে অংশ নেওয়া উচিত এবং তারা নির্বাচনে আসবে বলে কামনা করেন রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ। তবে যারা দেশের জন্য উন্নয়ন করেছে, তাদেরই ভোট দেওয়ার কথা বলেন তিনি।

মঙ্গলবার (২৫ সেপ্টেম্বর) বিকেলে কিশোরগঞ্জের ইটনায় গণসংবর্ধনা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে রাষ্ট্রপতি এ সব কথা বলেন।

তিনি বলেন, প্রতিটা দলেরই এমন মানুষকে নির্বাচনে মনোনয়ন দেওয়া উচিত যে সৎ, আদর্শবান এবং যাকে ভোট দিলে জনগণের কল্যাণ হবে, দেশ এগিয়ে যাবে।

অতীতে কোন দল উন্নয়ন করেছে সেটা আপনারা ভালো করেই জানেন। যারা উন্নয়ন করেছে তাদেরই নির্বাচনে আপনারা ভোট দেবেন।

হাওরের উন্নয়ন বিষয়ে আবদুল হামিদ বলেন, আমি অনেক কিছুই স্বপ্ন দেখি। তবে ঘুমিয়ে বা দিবাস্বপ্ন নয়। আমি চিন্তায় স্বপ্ন দেখি, ভাবনায় স্বপ্ন দেখি, ভবিষ্যতের স্বপ্ন দেখি। হাওরের মানুষ একসময় রাস্তা দিয়ে চলাচল করতে পারবে, তা ভাবতেও পারেনি। আমি হাওরবাসীর সে স্বপ্ন বাস্তবে রূপ দিয়েছি। এখন স্বপ্ন দেখি হাওরে একদিন ফ্লাইওভার হবে। এক ইউনিয়ন থেকে আরেক ইউনিয়নে ফ্লাইওভার দিয়ে যাতায়াত করবে মানুষ।

স্মৃতি হাতড়ে রাষ্ট্রপতি বলেন, হাওরে আমি শৈশব-কৈশোর-যৌবন কাটিয়েছি। হাওরবাসী বারবার আমাকে ভোট দিয়ে নির্বাচিত করেছে। সে কারণেই আজ আমি রাষ্ট্রপতি হতে পেরেছি। আর আমিও শেকড়ের কথা ভুলিনি। তাই বারবার ছুটে আসি এখানে। আমার সারাজীবনের স্বপ্ন ছিল হাওর এলাকাকে কিভাবে সারাবিশ্বে পরিচিত করানো যায়। আমার সে স্বপ্ন পূরণ হয়েছে। আমি হাওরকে শুধু দেশেই পরিচিত করিনি, পৃথিবীর অনেক দেশ এখন হাওর এলাকাকে চিনে। হাওরের মানুষ যেমন আমাকে ভালোবাসে, আমিও হাওরের মানুষকে মন-প্রাণ দিয়ে ভালোবাসি।

হাওরের বাসিন্দাদের উদ্দেশে তিনি বলেন, হাওরে কিছু এলাকা আছে, যেখান থেকে ধান কেটে ঘরে তোলা কৃষকের জন্য কষ্টের। সেসব এলাকায় রাস্তা করা হবে। তবে এসব রাস্তায় ট্রাক্টর চলাচল বন্ধ করতে হবে। এসব রাস্তার রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্ব আপনাদের নিতে হবে। কারণ ট্রাক্টর চলাচলের কারণে রাস্তাঘাট নষ্ট হয়। বারবার রাস্তাঘাট করা সম্ভব নয়।

কৃষিকাজে উন্নত প্রযুক্তি ব্যবহারের জন্য কৃষকদের প্রতি আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, একসময় ফরিদপুর, পাবনা, কুমিল্লাসহ দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে হাজার হাজার ধান কাটার দাওয়ালু (শ্রমিক) আসতো। এখন দেশ উন্নত হওয়ায় সেরকমভাবে তারা আসে না। এ অবস্থায় ধান কাটার জন্য উন্নত প্রযুক্তি ব্যবহার করতে হবে। কৃষি প্রধান এলাকা ইটনায় ধান গবেষণা ইনস্টিটিউট করা হবে। সেটা অনুমোদন হয়ে গেছে।

দ্বিতীয় মেয়াদে রাষ্ট্রপতি নির্বাচিত হওয়ায় ইটনা রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ সরকারি কলেজ মাঠে তাকে এ গণসংবর্ধনা দেওয়া হয়। এর আগে রাষ্ট্রপতি ইটনার বিভিন্ন উন্নয়নমূলক কাজের ফলক উন্মোচন করেন।

মুক্তিযোদ্ধা মো. ইসমাইল হোসেনের সভাপতিত্বে আয়োজিত সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন কিশোরগঞ্জ-৪ আসনের সংসদ সদস্য ও রাষ্ট্রপতির বড় ছেলে রেজওয়ান আহাম্মদ তৌফিক, কিশোরগঞ্জ-৫ আসনের সংসদ সদস্য মো. আফজাল হোসেন, সংরক্ষিত নারী আসনের সংসদ সদস্য দিলারা বেগম আসমা, জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট মো. জিল্লুর রহমান, জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি অ্যাডভোকেট কামরুল আহসান শাহজাহান, ইটনা উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান চৌধুরী কামরুল হাসান প্রমুখ।

বাংলাদেশ সময়: ২১০৩ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ২৫, ২০১৮
জিপি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।