ঢাকা, শনিবার, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৭ শাওয়াল ১৪৪৫

জাতীয়

নতুন সংসদ আরো বেশি কার্যকর হবে

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২২০৬ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ২৫, ২০১৮
নতুন সংসদ আরো বেশি কার্যকর হবে বক্তব্য রাখছেন স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরী

ঢাকা: নতুন সংসদ আরো বেশি কার্যকর হবে বলে আশা প্রকাশ করেছেন জাতীয় সংসদের স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী। তিনি বলেন, দশম জাতীয় সংসদ গণতন্ত্রের অগ্রযাত্রা অব্যাহত রাখতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছে। এই সংসদ বিশ্ববাসীর কাছে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠায় আস্থার প্রতীক বিবেচিত হয়েছে। 

‘বিশ্বের দু’টি অন্যতম গুরুত্ববহ গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠান কমনওয়েলথ পার্লামেন্টারি অ্যাসোসিয়েশন (সিপিএ) এবং ইন্টার পার্লামেন্টারি ইউনিয়নের (আইপিইউ) সভাপতি নির্বাচিত হয়েছিলেন এই সংসদেরই দু’জন সংসদ সদস্য। যা বিশ্ব দরবারে বাংলাদেশের জন্য বিরল সম্মান বয়ে এনেছে।

অর্জনের এই ধারা আগামীতেও অব্যাহত থাকবে। ’
 
মঙ্গলবার (২৫ সেপ্টেম্বর) দুপুরে জাতীয় সংসদ ভবনের মিডিয়া সেন্টারে পার্লামেন্টনিউজবিডিডটকম-এর প্রথম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদযাপন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় একথা বলেন স্পিকার।

পার্লামেন্টনিউজবিডিডটকম-এর সম্পাদক সাকিলা পারভীনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বক্তৃতা করেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী নারায়ণ চন্দ্র চন্দ, হুইপ শহীদুজ্জামান সরকার, তরিকত ফেডারেশনের সংসদ সদস্য এম এ আওয়াল, জাতীয় পার্টির সংসদ সদস্য মেহজাবিন মোর্শেদ, বাংলাদেশ প্রেস ইনস্টিটিউট (পিআইবি)’র মহাপরিচালক শাহ আলমগীর, ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি আবু জাফর সূর্য, পার্লামেন্ট জার্নালিস্ট অ্যাসোসিয়েশনের যুগ্ম সম্পাদক নিখিল ভদ্র।
 
অনুষ্ঠানে স্পিকার বলেন, তথ্য-প্রযুক্তির অবাধ প্রবাহের যুগে সংবাদ জনগণের কাছে দ্রুততর সময়ে পৌঁছে যাচ্ছে। অনলাইন নিউজপোর্টালগুলো এক্ষেত্রে ভূমিকা রাখছে। বিশেষ করে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতার মাধ্যমে নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিদের দায়বদ্ধতা নিশ্চিত করতে গণমাধ্যমের ভূমিকা গুরুত্বপূর্ণ।
 
জনকল্যাণে সংসদ সদস্যরা নিজ এলাকার জন্য কি কার্যক্রম গ্রহণ করছেন তা জানার অধিকার জনগণের রয়েছে উল্লেখ করে স্পিকার বলেন, গণমাধ্যমগুলো জনগণকে সে সংবাদ পৌঁছে দিতে ভূমিকা রেখে চলেছে। আগামীতে সংসদ ও সংসদ সদস্যদের কার্যক্রমকে গণমাধ্যমে আরো গুরুত্বের সঙ্গে তুলে ধারা হবে এটাই জনগণ প্রত্যাশা করে।
 
ড. শিরীন শারমিন বলেন, এই সংসদের সদস্যরা তৃণমূল মানুষের জন্য কাজ করছেন। বাল্যবিবাহ প্রতিরোধ, মাদকের অপব্যবহার বন্ধ, মাতৃমৃত্যু ও শিশুমৃত্যুর হার কমানোর মতো কর্মসূচিতে স্থানীয় জনসাধারণকে সচেতন ও অনুপ্রাণিত করছেন। যা ২০৩০ সালের মধ্যে বাংলাদেশে টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্য (এসডিজি) অর্জনে ভূমিকা রাখবে।
 
নারায়ণ চন্দ্র চন্দ বলেন, মুক্তিযুদ্ধের পর দেশ যখন এগিয়ে যাচ্ছে তখন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে সপরিবারে হত্যার মধ্য দিয়ে সংসদ ও সংবিধানকে স্তব্ধ করা হয়। কিন্তু বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা দায়িত্ব গ্রহণের পর দেশ আবারো মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় এগিয়ে যাচ্ছে।
 
হুইপ শহীদুজ্জামান সরকার বলেন, বর্তমান জাতীয় সংসদ গত পাঁচ বছরে বিশাল কর্মযজ্ঞ পরিচালনা করেছে। যা গণমাধ্যম ছাড়া জনগণের কাছে পৌঁছানো সম্ভব নয়। দেশের গণমাধ্যমগুলো সতর্কতার সঙ্গে সেই দায়িত্ব পালন করবে বলে সবাই প্রত্যাশা করে।
 
সাংবাদিকদের আর্থ-সামাজিক অবস্থার উন্নয়নে সরকারকে আরো বেশি দায়িত্বশীল হওয়ার আহ্বান জানিয়ে বিরোধীদল জাতীয় পার্টির সংসদ সদস্য মাহজাবিন মোর্শেদ বলেন, দেশ এগিয়ে যাচ্ছে, এ নিয়ে সন্দেহ নেই। কিন্তু অনেক ক্ষেত্রেই সাংবাদিকরা বঞ্চিত। তাই সাংবাদিকদের বেতন-ভাতা বৃদ্ধিসহ অধিকার নিশ্চিত করতে কার্যকর পদক্ষেপ নিতে হবে।
 
তরিকত ফেডারেশনের সংসদ সদস্য এম এ আউয়াল বলেন, সংসদীয় গণতন্ত্রের বিকাশে গণমাধ্যমের ভূমিকা গুরুত্বপূর্ণ। এক্ষেত্রে যে গণমাধ্যম যত বেশি দক্ষতার সঙ্গে সংবাদ পরিবেশন করবে, সেই গণমাধ্যম তত বেশি জনপ্রিয় হবে। আর গণমাধ্যমের কাজের সুষ্ঠু পরিবেশ নিশ্চিত করতে সংসদ সদস্যরা ভূমিকা রাখবেন।  
 
বাংলাদেশ সময়: ১৮০০ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ২৬, ২০১৮
এসএম/এএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।