ঢাকা, শুক্রবার, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫

জাতীয়

মাগুরা পৌর এলাকায় পচা-দুর্গন্ধযুক্ত পানি সরবরাহ

| বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২০৫৮ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ২৩, ২০১৮
মাগুরা পৌর এলাকায় পচা-দুর্গন্ধযুক্ত পানি সরবরাহ সরবরাহ করা হচ্ছে ময়লা, পচা ও দুর্গন্ধযুক্ত পানি। ছবি: বাংলানিউজ

মাগুরা: মাগুরা পৌর এলাকার ৩, ৪ ও ৯ নম্বর ওয়ার্ডে গত চার মাস ধরে খাবার পানির তীব্র সংকট। সরবরাহ করা হচ্ছে ময়লা, পচা ও দুর্গন্ধযুক্ত পানি। এতে করে স্বাস্থ্য ঝুঁকিতে পড়েছে এলাকাবাসী। আর পৌর কর্তৃপক্ষ বলছেন সমস্যা সমাধানে চেষ্টা চলছে।

মাগুরা পৌর এলাকার নয়টি ওয়ার্ডে এক লাখ ২৫ হাজার মানুষের বসবাস। এর মধ্যে শহরের শান্তিবাগ, ভিটাশাইর, ভায়না, চোপদার পাড়া, হাসপাতাল পাড়া, ম্যাটারনিটি পাড়া, কাউন্সিল পাড়াসহ, পশু হাসপাতাল পাড়া এলাকায় গত চার মাস ধরে কালো, পচা ও দুর্গন্ধযুক্ত ব্যবহার অনুপযোগী পানি সরবরাহ করা হচ্ছে।

রোববার (২৩ সেপ্টেম্বর) সকালে সরেজমিনে ওই সব এলাকা ঘুরে এবং স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলে এমন চিত্র পাওয়া যায়।

ম্যাটারনিটি পাড়ার বাসিন্দা মাহমুদা পারভিন বাংলানিউজকে বলেন, এ এলাকায় খাবার পানির তীব্র সংকট দেখা দিয়েছে। বিশেষ করে সকাল বেলার পানিতে অতিমাত্রায় দুর্গন্ধ থাকে। অনেক এলাকার বাসাবাড়িতে নলকূপের ব্যবস্থা না থাকায় নিরুপায় হয়ে দূর-দূরান্ত থেকে খাবার ও ব্যবহার পানি সংগ্রহ করতে হচ্ছে।

শান্তিবাগ এলাকার বাসিন্দা মর্জিনা বেগম বলেন, বহুতল ভবনের রিজার্ভ ট্যাংকে নোংরা পানি প্রবেশ করায় অনেকেই এখন বিপাকে। নিয়মিত নোংরা পানি সরবরাহ হওয়ায় এ এলাকার বাসিন্দারা চরম স্বাস্থ্য ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে। পৌর কর্তৃপক্ষের কাছে অভিযোগ জানালেও কার্যকরী কোনো পদক্ষেপ এখন পর্যন্ত গ্রহণ না করায় এলাকাবাসী হতাশ। অথচ এলাকাবাসী নিয়মিত পানির বিল পরিশোধ করে যাচ্ছে।

বেশ কিছু এলাকায় পানির সমস্যার কথা স্বীকার করে পৌরসভার প্রধান প্রকৌশলী সাইফুর ইসলাম হিরক বাংলানিউজকে বলেন, নোংরা পানি পাইপ লাইনে কিভাবে ঢুকে পড়ছে তা অনুসন্ধানে ইতোমধ্যে কাজ শুরু করা হচ্ছে। এছাড়া প্রতিনিয়ত ওয়াশ আউট করার মধ্য দিয়ে দুর্গন্ধযুক্ত পানির সমস্যার সমাধান করা যায় তার চেষ্টা করা হচ্ছে।

তিনি বলেন, মাগুরা পৌর এলাকার নয়টি ওয়ার্ডে এক লাখ ২৫ হাজার লোক বসবাস করে। প্রতিদিন পৌর এলাকায় ১৩টি পাম্পের সাহায্যে নয় ঘণ্টায় ৮ হাজার ২৮০ কিউবিক মিটার পানি সরবরাহ করা হয়। অথচ মোট চাহিদা রয়েছে ৩ হাজার ৭৮২ দশমিক ২৪ কিউবিক মিটার পানি। অর্থাৎ প্রতিদিন ৪ হাজার ৪৯৭ দশমিক ৭৬ কিউবিক মিটার অতিরিক্ত পানি সরবরাহ করেও খাবার পানির চাহিদা পূরণ করতে পারছে না।  

ব্যবহার উপযোগী পানি সরবরাহ না হওয়ায় গ্রাহকরা পানির অপচয় করছে উল্লেখ করে এ প্রকৌশলী বলেন, বাড়তি পানি সরবরাহ করতে যেমন লোকবল বেশি প্রয়োজন হচ্ছে, তেমনি আর্থিক ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছে পৌরসভা। ফলে প্রতি মাসেই পানি বাবদ লোকসান গুণতে হচ্ছে প্রথম শ্রেণীর এ পৌরসভাকে।

বাংলাদেশ সময়: ১৬৫৭ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ২৩, ২০১৮
জিপি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।