ঢাকা, শুক্রবার, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫

জাতীয়

৩ কিমি. রাস্তার জন্য ৪ হাজার গ্রামবাসীর প্রতীক্ষা

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৬১৬ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ২৩, ২০১৮
৩ কিমি. রাস্তার জন্য ৪ হাজার গ্রামবাসীর প্রতীক্ষা রামনগরের রাস্তার বর্তমান চিত্র

মেহেরপুর: বামুন্দী ইউনিয়ন পরিষদের রামনগর খানপাড়া জামে মসজিদ থেকে ভোলারদাড় মোড় পর্যন্ত তিন কিলোমিটার রাস্তা পাকা না হওয়ায় জনজীবনে নেমে এসেছে দুর্বিষহ দুর্ভোগ।

স্কুল-কলেজগামী শিক্ষার্থী ছাড়াও স্থানীয় কৃষকদের মাঠের ফসল তোলা থেকে শুরু করে সব ধরনের কাজেই পড়তে হচ্ছে সীমাহীন ভোগান্তিতে।

স্থানীয় সরকার বিভাগ, সড়ক বিভাগ, উপজেলা প্রশাসন ও স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদের কেউই এগিয়ে আসেনি ওই এলাকার প্রায় ৪ হাজার লোকের উপকারে।

 স্থানীয় জনপ্রতিনিধি বা কর্মকর্তারদের উদাসীনতায় এ পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন স্থানীয়রা।

স্থানীয় গ্রামবাসী নাহারুল ইসলাম ও জুলেখা খাতুন অভিযোগ করেন, সড়কটি সংস্কার বা কাঁচা রাস্তাটি পাকাকরণে কোন চেয়ারম্যান, মেম্বার ও সংসদ সদস্য উদ্যোগ নেনেনি। উপজেলার সব ইউনিয়ন পরিষদের গ্রামের রাস্তা পাকা হলেও এ রাস্তা এখন পর্যন্ত পাকা হয়নি। ফলে পথচারী, স্কুলগামী শিক্ষার্থীরা ও মাঠের ফসল বাড়িতে আনতে  দুর্ভোগের শেষ থাকে না। এ রাস্তা দিয়ে প্রতিদিন প্রায় হাজার হাজার মানুষ চলাচল করে থাকে বলেও জানান তারা।
রাস্তা পাকা করার দাবিতে ধান লাগিয়ে প্রতিবাদগৃহবধূ নুরুন নাহার ও মাজেদা খাতুন বলেন, বর্ষাকালে পানির চাপে রাস্তা ভেঙে চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়ে। তখন রাস্তা দিয়ে গরুর গাড়ি ও ট্রাকটরের অতিরিক্ত চলাচলের কারণে রাস্তার ধার ভেঙে ও রাস্তায় কাঁদা হাওয়ায়  পথচারীদের চরম দুর্ভোগ পোহাতে হয়। রামনগর কামারপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ছাত্র-ছাত্রীদের স্কুলে যেতে চরম দুর্ভোগ পোহাতে হয়। বর্ষাকালে রাস্তা দিয়ে চলাফেরা করা শিশুদের জন্য চরম কষ্টদায়ক।

স্থানীয় কৃষক সবুজ মিয়া, মিয়ারুল ইসলাম ও জনাব আলী বলেন, আমরা রাস্তাটির জন্য চেয়ারম্যান, মেম্বার ও সংসদ সদস্যর সাথে যোগাযোগ করেছিলাম। কিন্তু কোন জনপ্রতিনিধি রাস্তাটি নির্মাণ করে দেননি। রাস্তার দুরাবস্থা জনপ্রতিনিধি ও উপজেলা প্রশাসনের নজরে নিয়ে আসতে গ্রামের যুবসমাজ রাস্তায় ধানের চারা লাগিয়ে প্রতীকী দাবি জানিয়েছিলো।

তারা আরো বলেন, চেয়ারম্যান, মেম্বার ও সংসদ সদস্য ভোট চাওয়ার সময় বলেছেন- আমি নির্বাচিত হলে সামনের বছরে রাস্তাটি পাকা করে দেব। এইভাবে ৪০ বছর পার হয়ে গেলেও পাকা তো দূরের কথা আজ পর্যন্ত এক ঝুঁড়ি মাটিও ফেলা হয়নি।

স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদের মেম্বার হাবিলউদ্দীন বলেন, রাস্তাটি নির্মাণে আমাদের ইউনিয়ন পরিষদ প্রকল্প নিতে পারে না। গ্রামবাসীর আবেদনের প্রেক্ষিতে এলজিইডির পক্ষ থেকে ইতোমধ্যেই পরিমাপ করা হয়েছে।

রাস্তার বিষয়টি চেয়ারম্যানকে জানানো ছাড়াও উপজেলা প্রকৌশলী অফিসে পাকা করার জন্য একটি আবেদন করা হয়েছে বলে জানান হাবিলউদ্দীন।

বামন্দী ইউনিয়ন চেয়ারম্যান শহিদুল ইসলাম বিশ্বাস বলেন, রাস্তাটি নির্মাণে আমার নির্বাচনী ওয়াদা ছিল। উপজেলা এলজিইডি অফিস রাস্তাটি নির্মাণে প্রকল্প হাতে নিয়েছে। এ বছরের নতুন ইট পাওয়া গেলেই কাজ শুরু করা হবে।

বাংলাদেশ সময়: ১৪০৮ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ২৩, ২০১৮
এমজেএফ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।