ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ৫ বৈশাখ ১৪৩১, ১৮ এপ্রিল ২০২৪, ০৮ শাওয়াল ১৪৪৫

জাতীয়

কুমিল্লা-নোয়াখালী ৪ লেন সড়কের কাজ শুরু

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০১৪১ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ২৩, ২০১৮
কুমিল্লা-নোয়াখালী ৪ লেন সড়কের কাজ শুরু চারলেন উন্নীতকরণ প্রকল্পের কাজ উদ্বোধনকালে পরিকল্পনা মন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল। ছবি: বাংলানিউজ

ঢাকা: একটি দেশ অর্থনৈতিকভাবে অগ্রসর হওয়ার পূর্বশর্ত হলো উন্নত যোগযোগের ব্যবস্থা। সেই লক্ষ্যে নোয়াখালী ও লক্ষীপুরের লাখ লাখ যাত্রী সড়ক পথে বেগমগঞ্জ চৌরাস্তা হয়ে লাকসাম কুমিল্লা সড়ক পথে ঢাকাসহ দেশের উত্তরাঞ্চলে যাতায়াত করে থাকে।

এছাড়া প্রতিদিন হাজার হাজার যানবাহন বেগমগঞ্জ-লাকসাম-কুমিল্লা সড়কে চলাচল করায় এর গুরুত্ব বহুলাংশে বেড়েছে।
 
কিন্তু বেগমগঞ্জ থেকে কুমিল্লার টমছম ব্রিজ পর্যন্ত ৫৯ কিলোমিটার সড়ক বর্ধিত না হওয়ায় প্রতিনিয়ত যানজট ও সড়ক দুর্ঘটনা লেগেই থাকে।

এতে প্রতিদিন সড়কে যাত্রীর সময় ও অর্থ দু’টোর অপচয় হচ্ছে। সেই লক্ষ্যে নোয়াখালীর বেগমগঞ্জ থেকে কুমিল্লা টমছম ব্রিজ পর্যন্ত ৫৯ কিলোমিটার সড়ক চার লেনে উন্নীত করা অত্যন্ত জরুরি।
 
শনিবার (২২ সেপ্টেম্বর) পরিকল্পনা মন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল  কুমিল্লা (টমছম ব্রিজ) থেকে নোয়াখালী (বেগমগঞ্জ) আঞ্চলিক মহাসড়ক চারলেন উন্নীতকরণ প্রকল্পের কাজ উদ্বোধন করেন।  
 
কুমিল্লা (টমছম ব্রিজ) থেকে নোয়াখালী (বেগমগঞ্জ) আঞ্চলিক মহাসড়ক চারলেন উন্নীতকরণ প্রকল্পের জন্যে ২ হাজার ১৭০ কোটি টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। ৫৯ কিলোমিটার এই চার লেন সড়ক নির্মাণ কাজের জন্যে আগামী ২০২০ সালের জুন মাস নির্ধারণ করা হয়েছে। এ সড়কটি চারলেনে উন্নীত হলে দক্ষিণাঞ্চলের জনসাধারণের প্রত্যাশা পূরণ হবে। ইতোপূর্বে বেগমগঞ্জ চৌরাস্তা থেকে সোনাপুর জিরো পয়েন্ট পর্যন্ত ১৩ কিলোমিটার সড়ক চার লেনে উন্নীত করার জন্য জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদে (একনেক) ৯৭০ কোটি টাকা অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।

অর্থাৎ সোনাপুর জিরো পয়েন্ট থেকে কুমিল্লা টমছম ব্রিজ পর্যন্ত সড়কটি চারলেনে উন্নীত হলে দক্ষিণাঞ্চল বাসীর দীর্ঘদিনের প্রত্যাশা পূরণ হবে এবং জাতীয় অর্থনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।

চারলেন উন্নীতকরণ প্রকল্পের কাজ উদ্বোধনকালে পরিকল্পনা মন্ত্রী আহম মুস্তফা কামাল বলেন, সোনাপুর-সোনাগাজী-জোরালগঞ্জ সড়কটির জন্যও নোয়াখালী থেকে কুমিল্লা সড়কটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। কেননা সোনাপুর-জোরালগঞ্জ সড়কের মাধ্যমে খুলনা ও বরিশাল বিভাগের সড়ক পথের যাত্রীরা সোনাপুর-জোরালগঞ্জ সড়ক দিয়ে চট্টগ্রাম যাতায়াত করতে পারবে। বিশেষ করে সোনাপুর দিয়ে সড়ক পথে বন্দর নগর চট্টগ্রাম যেতে মাত্র দুই ঘণ্টা লাগবে। এদিকে সোনাপুর-কুমিল্লা আঞ্চলিক সড়কটি চার লেনে উন্নীত হলে মাত্র তিন ঘণ্টায় রাজধানীতে যাতায়াত সম্ভব হবে।  আগামীতে সোনাপুর জিরো পয়েন্ট থেকে হাতিয়া চেয়ারম্যান ঘাট পর্যন্ত চার লেন সড়ক ও রেল সড়ক নির্মাণের সম্ভাবনা রয়েছে। নোয়াখালী জেলা সদরের দক্ষিণ-পূর্ব প্রান্তে রয়েছে সেনা বাহিনীর প্রশিক্ষণ কেন্দ্র স্বর্ণদ্বীপ। সবকিছু মিলিয়ে জাতীয় জীবনে এ আঞ্চলিক মহাসড়কের গুরুত্ব বৃদ্ধি পেয়েছে।
 
কুমিল্লার অত্যন্ত কর্মব্যস্ত এলাকা পদুয়ার বাজার বিশ্বরোড এলাকা সম্পর্কে  মন্ত্রী বলেন, কুমিল্লার মানুষের দীর্ঘ দিনের দাবি এবং দীর্ঘদিনের প্রতীক্ষার সুরাহা হতে যাচ্ছে। প্রতিদিন পদুয়ার বাজার বিশ্বরোড দিয়ে হাজার-হাজার যানবাহন চলাচল করে। ঢাকা-চট্টগ্রাম-ঢাকা এবং বরুড়া, চাঁদপুর, নোয়াখালী, লাকসাম এলাকার মানুষের কুমিল্লা শহরে ঢুকতে এবং শহরের মানুষের ওই এলাকাতে যাওয়ার অন্যতম প্রধান কেন্দ্র এটি। কিন্তু এখানে একটি ইউলুপ না থাকার কারণে ঢাকা-চট্টগ্রাম-ঢাকা এবং বরুড়া, চাঁদপুর, নোয়াখালী, লাকসাম এলাকার মানুষের কুমিল্লা শহরে ঢুকতে এবং শহরের মানুষের ওই এলাকাতে যাওয়ার জন্য পোহাতে হয় চরম দুর্ভোগ, এখানে সৃষ্ট হয় অপরিসীম যানজট। এসব এলাকার মানুষদের অত্যন্ত কষ্ট স্বীকার করে কয়েক মাইল ঘুরে, পাহাড়-চূড়া ভেঙে, চড়াই-উৎরাই পার আসতে হয়। আর তাই কুমিল্লার মানুষের দীর্ঘ দিনের দাবি এবং দীর্ঘদিনের প্রতীক্ষার সুরাহা করতে এখানে নির্মাণ করা হবে একটি ইউলুপ।
 
বাংলাদেশ সময়: ২১৩৭ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ২২, ২০১৮
এমআইএস/আরআইএস/

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।