ঢাকা, শুক্রবার, ১২ বৈশাখ ১৪৩১, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫

জাতীয়

মানবতার ফেরিওয়ালা এমপি জগলুল

শাহজাহান মোল্লা, সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১১১০ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ২২, ২০১৮
মানবতার ফেরিওয়ালা এমপি জগলুল সব সময় অসহায়ের পাশে থাকেন এমপি জগলুল হায়দার

ঢাকা: সংসদ সদস্য তো দূরের কথা, ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যানের সঙ্গেই এদেশে মানুষের দূরত্ব যোজন যোজন। যিনি যখনই নির্বাচিত হন, ক্ষমতায় আসীন হয়েই ভুলে যান ভোটারদের অবদান। এটা নতুন নয়, নিত্য ঘটনা। দিন দিন তাই মানুষ মুখ ফিরিয়ে নিচ্ছে নেতাদের কাছ থেকে।

অবশ্য বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের হত্যার পর কর্মীবান্ধব নেতার দেখা মিলেছে ক’জন। বঙ্গবন্ধুর পর তার কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা অবশ্য বাবার আদর্শ লালন করে মানুষের কাছাকাছি যাওয়ার চেষ্টা করেন।

যেখানেই যান তিনি কর্মী বা সাধারণ ভোটারকে বুকে আগলে রাখেন। এমন দৃষ্টান্ত অন্য নেতাদের মধ্যে খুব কম।

এভাবে মানুষের সঙ্গে মিশে যান তিনি। তবে বঙ্গবন্ধুর আদর্শ ধারণ করে প্রধানমন্ত্রীর বার্তা মানুষের মাঝে ছড়িয়ে দিতে দ্বারে দ্বারে ছুটে চলছেন একজন কর্মীবান্ধব নেতা। সকালে ঘুম থেকে উঠে নামাজ পড়ে যার প্রথম কাজই হয় গ্রামের হতদরিদ্র যে মানুষটির বাড়িতে চুলা জ্বালানোর সামর্থ্য নেই তার বাড়িতে চাল, ডাল, সবজি, মাছ, মুরগি নিয়ে হাজির হওয়া।

হঠাৎ কোনো ভিখারির বাড়ি, কোনো রিকশাচালকের বাড়িতে বাজার সদাই নিয়ে হাজির হন সাতক্ষীরা-৪ আসনের সংসদ সদস্য এস এম জগলুল হায়দার। সোশ্যাল মিডিয়ায় তার কর্মের স্থিরচিত্র দেখে কেউ কেউ মন্তব্য করেন লোক দেখানো!

তবে কে কী বললো না বললো সেদিকে কর্ণপাত করেন না জগলুল। মাসের পর মাস বছরের পর বছর তিনি সেই কাজটি করেই যাচ্ছেন। কখনো তপ্তরোদে ভ্যানচালকের হাতে তরমুজ তুলে দিচ্ছেন, কখনো বা রাস্তায় ডাব কিনে দিচ্ছেন রিকশাচালকদের হাতে।

মাঠে নেম কাজ করতেও তার নেই কোনো দ্বিধাতাকে দেখে অনেক নেতাই চেষ্টা করেছেন কর্মীদের সঙ্গে কাজ করতে। সেটা বেশিদিন ধরে রাখতে পারেননি কেউ। তবে এমপি জগলুল শুরু থেকেই মানুষের মাঝে এমন কাজ করে যাচ্ছেন।

একজন এমপি হয়েও সাধারণের সঙ্গে মেশা জগলুল হায়দারের কর্মকাণ্ড নিয়ে কথা হয় বাংলানিউজের। একান্ত আলাপচারিতায় তিনি বলেন, আমার উদ্দেশ্য এমপি হওয়া নয়। আমার কাজ আমি করে যাবো, মানুষের মাঝে আওয়ামী লীগের আদর্শ পৌঁছে দেবো। তৃণমূল থেকে গড়ে ওঠা দল আওয়ামী লীগ সব সময়ই খেটে খাওয়া মানুষের ভরসাস্থল। মানুষের মাঝে সেই বার্তাই ছড়িয়ে দিতে চাই যা বঙ্গবন্ধু করেছেন।

অনেকেই বলেন কাজটা লোক দেখানো, এ বিষয়ে জগলুল বলেন, আমি যদি দেখানোর জন্য করতাম তাহলে এমপি হয়েও দিনের পর দিন গরিব-দুঃখীর বাড়ি বাড়ি বাজার দিয়ে আসতাম না। অনেক সময় জীবনের ঝুঁকি নিয়ে মশক নিধন কার্যক্রমে নোংরা পানিতে নেমে কচুরিপানা পরিষ্কার করেছি। এই কাজ তো লোক দিয়েও করাতে পারতাম। কেন করিনি? মানুষের মাঝে সচেতনতা ফেরাতে চাই, যে আমি এমপি হয়েও কাজকে অবজ্ঞা করি না। আমার দেখা-দেখি সাধারণ মানুষও মাঠে নেমে পড়বে।  

যদি মন্ত্রী হন, তাহলে কী মানুষের প্রতি এই ভালোবাসা অটুট থাকবে- প্রশ্নে এমপি জগলুল বলেন, এখন যেটা করছি তার দ্বিগুণ করবো। তখন আমি শুধু সাতক্ষীরা শ্যামনগেরর না, পুরো দেশের মানবতার দূত হিসেবে কাজ করবো। আমি দেশ এবং দেশের বাইরে যেখানেই যাবো আমার কাজ একই থাকবে।

আওয়ামী লীগ যদি আপনাকে একাদশ সংসদ নির্বাচনে নৌকার মাঝি না করেন তাহলে কী করবেন? আমার নেত্রী তথা দল যদি আমার চেয়ে কাউকে বেশি যোগ্য মনে করে আমি সেদিন থেকেই আমার গাট্টি বোচকা নিয়ে তার জন্য কাজ করবো। কেননা আমার উদ্দেশ্য এমপি হওয়া না। আমার নেত্রী যদি ক্ষমতায় আসতে না পারেন তাহলে সমস্ত উন্নয়ন কর্মকাণ্ড স্থবির হয়ে যাবে। তাই দলের জন্য কাজ করবো।

জগলুল হায়দার বলেন, আমি মানবতার জন্য কাজ করি। মানুষের জন্য কাজ করি। আমার শিকড় এই সাধারণ মানুষ। সুখে-দুঃখে তাদের পাশে ছিলাম বলেই কোথাও পথসভা করতে গেলেও জনসভায় পরিণত হয়ে যায়। আমি এমপি থাকি আর না থাকি, আমার কাজ অব্যাহত থাকবে।

বাংলাদেশ সময়: ০৭০৫ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ২১, ২০১৮
এসএম/এমআইএইচ/এএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।