ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১২ বৈশাখ ১৪৩১, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১৫ শাওয়াল ১৪৪৫

জাতীয়

পুকুর থেকে শিশুর মরদেহ উদ্ধার, মৃত্যু নিয়ে ধুম্রজাল! 

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২০০৬ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ২১, ২০১৮
পুকুর থেকে শিশুর মরদেহ উদ্ধার, মৃত্যু নিয়ে ধুম্রজাল! 

সাতক্ষীরা: সাতক্ষীরার দেবহাটা উপজেলায় পুকুর থেকে ফারিয়া (৪) নামে একটি শিশুর মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। 

শুক্রবার (২১ সেপ্টেম্বর) সকালে উপজেলার পুষ্পকাটি এলাকা  থেকে মরদেহটি উদ্ধার করা হয়। ফারিয়া ওই গ্রামের ফরহাদ হোসেনের মেয়ে।

 

স্বজনরা জানান, পুষ্পকাটি গ্রামের ফরহাদ হোসেন তার শিশু কন্যা ফারিয়াকে নিয়ে বৃহস্পতিবার রাত ৮টার দিকে ভোমরা বন্দরে যাচ্ছিলেন। এ সময় পেছন দিক থেকে কে বা কারা তার মাথায় সজোরে লাঠি দিয়ে আঘাত করে। এতে ফরহাদ জ্ঞান হারিয়ে ফেলেন। এই সুযোগে দুর্বৃত্তরা ফারিয়াকে নিকটস্থ একটি পুকুরে ছুড়ে ফেলে দেয়।  স্থানীয়রা ফরহাদকে উদ্ধার করে সাতক্ষীরা হাসপাতালে ভর্তি করে।  

শুক্রবার সকালে কিছুটা সুস্থ হতেই ফরহাদের কাছে খবর আসে-তার মেয়ে ফারিয়ার মরদেহ ভাসছে পুকুরে। এ খবর শুনে নিজের অসুস্থতার কথা ভুলে ফরহাদ ছুটে যান মেয়ের কাছে।  

এদিকে, এলাকাবাসী বলছেন ভিন্ন কথা। তাদের দাবি ফরহাদকে কেউ লাঠি দিয়ে আঘাত করেনি। এমনকি তার মেয়েকেও পুকুরে ছুড়ে ফেলে হত্যার ঘটনায় অন্য কেউ জড়িত নয়। রাজনৈতিক কারণে ফরহাদের প্রতিবেশী মোকছেদ আলী জেলে রয়েছেন। তাকে জেলে পাঠানোর জন্য এলাকার সরকার দলীয় কয়েকজনকে দায়ী করে আসছিল মোকছেদ। এরই প্রতিশোধ নিতে দায়ী ব্যক্তিদের ফাঁসাতে মোকছেদ কারাগার থেকে টাকা দিয়ে ফরহাদের মাধ্যমে এ হত্যার ঘটনা ঘটিয়েছে।  

এ ঘটনা ঘটাতে ফরহাদ বেশ কিছু টাকাও হাতিয়ে নিয়েছে মোকছেদের পরিবারের কাছ থেকে।  

আলিপুর ইউনিয়ন যুবলীগের সভাপতি মোশাররফ হোসেন সাংবাদিকদের জানান, ফরহাদ একজন ধূর্ত লোক। তিনি নিজেই একটি হত্যা মামলার আসামি। ফরহাদ তার মেয়েকে হত্যার আগে মোকছেদের কাছ থেকে দুই লাখ টাকা নেয়।  

ফরহাদ তার নিজের মেয়েকে হত্যা করে স্থানীয় আওয়ামী লীগ, যুবলীগ ও ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের নাম বলছে। যারা দুর্ধর্ষ সন্ত্রাসী মোকছেদকে ধরিয়ে দিয়েছিল।  

এ ব্যাপারে দেবহাটা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সৈয়দ মান্নান আলী বাংলানিউজকে জানান, শিশু ফারিয়ার লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। বিষয়টি অনেকটাই রহস্যাবৃত। পানিতে ডুবে মারা যাওয়া কিংবা আঘাত করে হত্যার কোনো চিহ্নই শিশুটির দেহে নেই। এমনকি ফরহাদের দেহেও আঘাতের চিহ্ন পাওয়া যায়নি। তদন্ত না করে কোনো কিছু নির্ণয় করা কঠিন জানিয়ে তিনি বলেন, ফরহাদকে থানায় এনে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।  

বাংলাদেশ সময়: ১৬০১ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ২১, ২০১৮ 
আরএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।