ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১২ বৈশাখ ১৪৩১, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১৫ শাওয়াল ১৪৪৫

জাতীয়

সাতক্ষীরা পৌর এলাকার শতাধিক পরিবার পানিবন্দি

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৯২৩ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ২১, ২০১৮
সাতক্ষীরা পৌর এলাকার শতাধিক পরিবার পানিবন্দি সাতক্ষীরা পৌরসভার দক্ষিণ কাটিয়া সরকার পাড়া এলাকা

সাতক্ষীরা: দু’দিন ধরে থেমে থেমে ভারী বর্ষণের কারণে পানিবন্দি হয়ে পড়েছে সাতক্ষীরা পৌরসভার দক্ষিণ কাটিয়া সরকার পাড়ার শতাধিক পরিবার। বৃষ্টির পানি নিষ্কাশনের পথ বন্ধ হয়ে যাওয়ায় এ অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে বলে অভিযোগ এলাকাবাসীর।

সরেজমিনে দেখা যায়, পানি নিষ্কাশনের পথ বন্ধ হয়ে যাওয়ায় দু’দিনের বৃষ্টিতে পৌরসভার ২নং ওয়ার্ডের দক্ষিণ কাটিয়া সরকার পাড়া তলিয়ে গেছে। ড্রেনের ময়লা ও আবর্জনা উঠে এসেছে রাস্তার উপর।

বসতবাড়ির আঙিনা ছাপিয়ে অনেকের ঘরের ভেতরেও পানি ঢুকছে। রাস্তা তলিয়ে গিয়ে চলাচলে ভোগান্তি পোহাচ্ছে হাজারো মানুষ।  

জানা যায়, সম্প্রতি দক্ষিণ কাটিয়া সরকার পাড়ার পানি নিষ্কাশনের জন্য আরসিসি পাইপ ভেঙে সরকারি কলেজ সড়কে একটি গর্ত তৈরি হয়। এই গর্ত আস্তে আস্তে বড় হতে থাকে। পৌরসভার পক্ষ থেকে পানি নিষ্কাশনের জন্য একটি প্লাস্টিকের পাইপ ঢুকিয়ে বালু ও ইট দিয়ে গর্তটি বন্ধ করে দেওয়া হয়। পরবর্তীতে গর্ত তৈরি না হলেও প্লাস্টিকের পাইপটি ভেঙে পানি নিষ্কাশনের একমাত্র পথ বন্ধ হয়ে যায়। ফলে পানিবন্দি হয়ে পড়েছে এখানকার মানুষ। সৃষ্টি হয়েছে জলাবদ্ধতা।  

সাতক্ষীরা পৌরসভার দক্ষিণ কাটিয়া সরকার পাড়া এলাকা

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক পৌর এলাকার ০২নং ওয়ার্ডের এক বাসিন্দা বাংলানিউজকে বলেন, পানি নিষ্কাশনের স্থায়ী সমাধানের জন্য পৌর মেয়র ও ওয়ার্ড কাউন্সিলরের কাছে গেলে তারা কাজের আশ্বাস দেন ঠিকই, কিন্তু কাজ করেন না। এলাকার মানুষ স্থায়ীভাবে একটি কালভার্ট নির্মাণের জন্য বারবার ওয়ার্ড কাউন্সিলরের কাছে গেলে তিনি বলেন এজন্য বাজেট হয়ে গেছে। রোজার ঈদের পরে কালভার্ট তৈরি করে দেওয়া হবে। কিন্তু কোরবানির ঈদ চলে গেল, তারপরেও কাজ হয় নি। পানি না সরার কারণে আমার ঘরে পানি উঠেছে। এর স্থায়ী কোন সমাধান না হলে বসবাস করা কঠিন হয়ে যাবে।  

এ ব্যাপারে পৌর মেয়র তাজকিন আহমেদ চিশতির সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তিনি মোবাইল ধরেননি।

বাংলাদেশ সময়: ১৫১৪ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ২১, ২০১৮
এনটি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।