ঢাকা, বুধবার, ১০ বৈশাখ ১৪৩১, ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ শাওয়াল ১৪৪৫

জাতীয়

নির্বাচনী ইশতেহারে নদী রক্ষায় নীতিমালার দাবি

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৬১৯ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ২১, ২০১৮
নির্বাচনী ইশতেহারে নদী রক্ষায় নীতিমালার দাবি জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে বাংলাদেশ নদী বাঁচাও আন্দোলনের মানববন্ধন-ছবি-বাংলানিউজ

ঢাকা: নদীর দখল-দূষণ, ভরাট-ভাঙন রোধে আসন্ন জাতীয় নির্বাচনে রাজনৈতিক দলগুলোর নির্বাচনী ইশতেহারে নদী রক্ষার অঙ্গীকার ও সুনির্দিষ্ট নীতিমালার দাবি জানিয়েছে বাংলাদেশ নদী বাঁচাও আন্দোলন।

শুক্রবার (২১ সেপ্টেম্বর) বিশ্ব নদী দিবস উপলক্ষে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে আয়োজিত এক মানববন্ধন ও নদীযাত্রা কর্মসূচিতে এ দাবি জানিয়েছে সংগঠনটি।  

মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, ইতোমধ্যে বাংলাদেশ নদী বাঁচাও আন্দোলনের পক্ষ থেকে বাংলাদেশের নদ-নদী রক্ষায় ১৭ দফা দাবি প্রস্তাবনা সরকারের সংশ্লিষ্ট দফতরে ও সব রাজনৈতিক দলের মহাসচিব বরাবর পেশ করা হয়েছে।

আমাদের দাবিগুলোকে আরও জোরালো করতে এই কর্মসূচির আয়োজন করা হয়েছে।  

সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট মো. আনোয়ার হোসেনের সভাপতিত্বে মানববন্ধনে আরও উপস্থিত ছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভূগোল বিভাগের সাবেক চেয়ারম্যান অধ্যাপক হাফিজা আক্তার, জাতীয় নদী গবেষণা ইনস্টিটিউটের পরিচালক ড. মো. লুৎফর রহমান, সংগঠনের সহ-সভাপতি মো. বাচ্চু মিয়া, মুহসিন আলী মন্ডল প্রিন্স, সাংগঠনিক সম্পাদক মো. বশির উদ্দিন, সংগঠনটির ঢাকা মহানগরের সভাপতি ব্যারিস্টার কাজী আখতার হোসাইন, বাংলাদেশ ফরেস্ট মিনিস্ট্রিয়াল অ্যাসোসিয়েশনের মহাসচিব মো. ইমদাদুল হক, ঢাকা যুব ফাউন্ডেশন সভাপতি মো. শহীদুল্লাহ প্রমুখ।

এসময় মানববন্ধন শেষে প্রেসক্লাব থেকে তুরাগ নদী (আমিনবাজার তুরাগ ব্রিজ) পর্যন্ত নদী যাত্রা কর্মসূচি পালিত হয়। এছাড়া ১৭ দফা দাবি উপস্থাপন করা হয়। দাবিগুলোর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো- বাংলাদেশের সবচেয়ে বেশি দূষিত নদীগুলোকে দূষণ মুক্তির লক্ষ্যে শিল্প-কারখানায় ২৪ ঘণ্টা এফ্লুয়েন্ট ট্রিটমেন্ট প্ল্যান্ট (ইটিপি) চালু রাখাসহ মানবসৃষ্ট ও হাসপাতাল বর্জ্য পরিশোধনের ব্যবস্থা করতে হবে; জলাশয়গুলোতে ইঞ্জিনচালিত নৌকার পোড়া মবিল, তৈল, গৃহবর্জ্য, শিল্পবর্জ্য, হাট-বাজার ও রাস্তাঘাটের ময়লা-আবর্জনা, প্লাস্টিক বোতল, পলিথিন ইত্যাদি ফেলা বন্ধে আইন জোরদার ও গণসচেতনতামূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে; নদী রক্ষায় সার্ভে কমিটি গঠন ও তিন মাস অন্তর নদীর পাড় সরেজমিনে পরিদর্শন করে প্রতিবেদন জমা ও দখলদারদের বিরুদ্ধে কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ।

পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়কে নদী ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয় হিসেবে পুনর্গঠন করে আইনি সুরক্ষার জন্য দুর্নীতি দমন কমিশনকে (দুদক) পর্যাপ্ত ক্ষমতা দিতে হবে। পরিকল্পিতভাবে নদী খনন ও ড্রেসিং করতে হবে যেন বর্ষায় তা আবার এসে নদীতে না পড়ে; বিভিন্ন জলাশয়ের উৎস মুখের বাঁধ ও অপরিকল্পিত স্লুইস গেট অপসারণ; বিলুপ্ত নদী ও খালগুলো পুনরুদ্ধার করতে কমিটি গঠন; হাওরগুলোকে খননের আওতায় এনে জলমহালের ইজারা বাতিল করে কৃষকদের অবাধে মাছ ধরার অধিকার নিশ্চিতকরণ ও পাহাড়ি ঢল থেকে ফসল রক্ষায় প্রয়োজনীয় রাবার ড্যাম নির্মাণ।  

বাংলাদেশ সময়: ১২১৭ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ২১, ২০১৮
এমএএম/আরআর

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।