ঢাকা, মঙ্গলবার, ১০ বৈশাখ ১৪৩১, ২৩ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ শাওয়াল ১৪৪৫

জাতীয়

এবার যমুনায় বাড়ছে পানি, ভাঙছে বাড়ি-ঘর

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২২৪৪ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ২০, ২০১৮
এবার যমুনায় বাড়ছে পানি, ভাঙছে বাড়ি-ঘর পানি বৃদ্ধির ফলে ভাঙন শুরু হয়েছে টাঙ্গাইলের তিন উপজেলায়

টাঙ্গাইল: উজান থেকে আসা পাহাড়ি ঢল ও বৃষ্টির কারণে টাঙ্গাইলের বিভিন্ন পয়েন্টে যমুনা নদীর পানি অস্বাভাবিকভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে।

অব্যাহত পানি বৃদ্ধির কারণে জেলার ভুয়াপুর উপজেলার অর্জুনা, বরুরা, জগৎপুরা কুঠিবয়রা তারাই, বলরামপুর, কালিহাতী উপজেলার বাঁশী গ্রাম ও সদর উপজেলার মাহমুদনগর গ্রাম ও কুকুরিয়া গ্রামের শতাধিক স্থাপনা নদীগর্ভে বিলীন হয়ে গেছে। পানি উন্নয়ন বোর্ড জরুরি ভিত্তিতে জিও ব্যাগ ফেলে ভাঙন ঠেকানোর চেষ্টা চালালেও তা কোন কাজে আসছেনা।

 

সরেজমিনে দেখা যায়, ভাঙনের ফলে বসতভিটা নদীগর্ভে যাওয়ায় অনেকেই রাস্তার পাড়ে আবার অনেকেই অন্যের বাড়িতে আশ্রয় নিয়েছে। আবার অনেকেই নৌকার মধ্যে রাত্রিযাপন করছেন। অযত্ন আর অবহেলায় রয়েছে গৃহপালিত পশু-পাখি।  

সদর উপজেলার মাহমুদ নগর ইউনিয়নের আব্দুল আলিম বাংলানিউজকে বলেন, বন্যার কারণে আমাদের বসতভিটা, রাস্তাঘাট, মসজিদ নদীগর্ভে চলে গেছে। রাস্তার পাড়ে ছাউনি তুলে পরিবারের সদস্য নিয়ে থাকছি। সরকার যদি স্থায়ীভাবে বেড়িবাঁধ করে দিতো তাহলে আমাদের আর বাড়ি ছাড়া হতে হতো না।

একই এলাকার আবু তালেক মিয়া বংলানিউজকে জানান, বন্যা শুরু হলেই ভাঙন দেখা দেয়। তবে বন্যার আগে সরকার যদি প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতো তাহলে বন্যার সময় নদীতে ভাঙন দেখা দিতো না। আমাদেরও কোনো ক্ষতি হতো না।

এ বিষয়ে পানি উন্নয়ন বোর্ড টাঙ্গাইলের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. মাহফুজুর রহমান বাংলানিউজকে বলেন, টাঙ্গাইলের অংশে যমুনার পানি বিপদসীমার ৩ সেন্টিমিটার নিচে অবস্থান করছে। পানির গতি কম থাকায় আশা করছি পানি আর বৃদ্ধি পাবে না। জেলার বিভিন্নস্থানে ভাঙনরোধে তাৎক্ষণিকভাবে জিও ব্যাগ ফেলা হচ্ছে।  

পানি উন্নয়ন বোর্ডের প্রধান প্রকৌশলী ফখরুল ইসলাম বাংলানিউজকে বলেন, আপাতত জিও ব্যাগ ফেলে অস্থায়ী প্রতিরোধ ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। পানি নেমে যাবার পর স্থায়ী ভিত্তিতে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

বাংলাদেশ সময়: ১৮৩২ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ২০, ২০১৮
এনটি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।