ঢাকা, শনিবার, ৭ বৈশাখ ১৪৩১, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ১০ শাওয়াল ১৪৪৫

জাতীয়

অক্টোবরে কাজে নামছে গুজব শনাক্তকারী সেল

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২২২৩ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ২০, ২০১৮
অক্টোবরে কাজে নামছে গুজব শনাক্তকারী সেল সংসদ ও তারানা হালিম

ঢাকা: ফেসবুক, টুইটার, ইউটিউব, গুগলসহ সব সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভুয়া, মিথ্যা ও বানোয়াট তথ্য প্রচারের বিরুদ্ধে কার্যকর পদক্ষেপ নিতে যাচ্ছে সরকার। অক্টোবরের প্রথম সপ্তাহ থেকেই তথ্য মন্ত্রণালয় গঠিত গুজব মনিটরিং সেল সংবাদ মাধ্যমকে জানিয়ে দেবে কোনটি গুজব, কোন সংবাদ ভুয়া। সেভাবে সংবাদ মাধ্যমে প্রচারের ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন তথ্য প্রতিমন্ত্রী অ্যাডভোকেট তারানা হালিম।

বৃহস্পতিবার (২০ সেপ্টেম্বর) বিকেলে দশম জাতীয় সংসদের ২২তম অধিবেশনে বেসরকারি সদস্যদের সিদ্ধান্ত প্রস্তাবের বিধিতে আনীত একটি সিদ্ধান্ত প্রস্তাবের জবাব দিতে গিয়ে এসব কথা জানান প্রতিমন্ত্রী।

সংসদ সদস্য বেগম ফজিলাতুন নেসা বাপ্পির সিদ্ধান্ত প্রস্তাবটি ছিল- ‘সংসদের অভিমত এই যে, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেইসবুকে গুজব ছড়িয়ে রাষ্ট্রীয় ও জনজীবনে বিশৃঙ্খলা এবং অরাজকতা প্রতিরোধ কল্পে একটি মনিটরিং সেল গঠন করা হোক।

‌’

সিদ্ধান্ত প্রস্তাব উত্থাপন করে বাপ্পি সম্প্রতি ঘটে যাওয়া কয়েকটি গুজবের তথ্যচিত্র সংসদে তুলে ধরেন। তবে মন্ত্রীর ব্যাখা প্রদানের পর তিনি তার সিদ্ধান্ত প্রস্তাবটি প্রত্যাহার  করে নেন।

তথ্য প্রতিমন্ত্রী বলেন, সাঈদীকে চাঁদে দেখা গেছে, নাসিরনগরে সংখ্যালঘুদের ওপর হামলা করা হয়েছে এরকম হাজার হাজার গুজব ছড়ানো হয়েছে। নির্বাচনের আগে বিএনপি-জামায়াত সব সময়ই এ ধরনের কাজ করে থাকে। ৩০০টি ভুয়া ফেইসবুক পেইজ তারা দেশের বাইরে থেকে কার্যকর রেখেছে। তবে যেহেতু সোশ্যাল মিডিয়ার বিষয়টি ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রণালয়ের। তাই বিটিআরসি এ ধরনের কনটেন্ট ফিল্টারিং করে থাকে। তাদের সহযোগিতা দিয়ে থাকে এনটিএমসি।  

তিনি আরো বলেন, ডিপার্টমেন্ট অব টেলিকমিউনিকেশন একটি প্রজেক্ট নিয়েছে যার মাধ্যমে দেশের ভেতর থেকে যেসব কনটেন্ট প্রবেশ করবে সেগুলো ফিল্টার করতে পারবে, এগুলো আইআইজি’র মাধ্যমে ফিল্টার করা হয়। বিদেশের কনটেন্ট ফিল্টার করা খুব কঠিন হয়ে যায়। সেজন্য একটি প্রকল্প এবং ইকুইপমেন্ট হাতে নেওয়ার কথা রয়েছে। আমরা তথ্য মন্ত্রণালয় থেকে যখন দেখেছি এ ধরনের কার্যক্রম হচ্ছে- আমরা চিন্তা করেছি আর কী করতে পারি। আমরা এরইমধ্যে কাজ শুরু করে দিয়েছি।

তারানা বলেন, আমরা নিবিড়ভাবে ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগ এবং আইসিটিতে যোগাযোগ অব্যাহত রাখব। বিষয়টি সামনে রেখে আমরা দ্রুততার সাথে এক সপ্তাহের মধ্যে মনিটরিং নয়, গুজব শনাক্তের জন্য একটি সেল গঠন করে ফেলেছি। গত ১৮ সেপ্টেম্বর ডিএফপি’র উপ-প্রধান তথ্য অফিসার, সিনিয়র তথ্য অফিসার, ফিচার রাইটারদের নিয়ে সেল গঠন করা হয়েছে। এ কমিটিতে ৬ জন তথ্য অফিসারও রয়েছেন। আশা করছি, অক্টোবরের প্রথম সপ্তাহ থেকে আমরা অন্তত প্রিন্ট এবং ইলেক্ট্রনিক্স মিডিয়াকে জানিয়ে দিতে পারব যে এই সংবাদগুলো গুজব, ভিত্তিহীন; সেই তথ্যগুলো বিটিআরসিকে দিব। আর বিটিআরসি তখন ফেইসবুক, ইউটিউব, গুগলের সঙ্গে যোগাযোগ করবে এবং কার্যকর ব্যবস্থা নেবে।

প্রতিমন্ত্রী বলেন, এই বৃহৎ কর্মকাণ্ড পরিচালনার জন্য বিশাল টিম প্রয়াজন। আমাদের পিআইবিতে লোকবল সংকট রয়েছে। সেখানে লোকবল বাড়ানোর উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। আমাদের টেকনিক্যাল সাপোর্ট গ্রুপের দরকার রয়েছে। নীতিমালা করার প্রয়োজন রয়েছে। যেহেতু সামনে নির্বাচন তাই গুজব মোকাবেলা করার জন্য এবং সেটা যে গুজব তা জানিয়ে দেবার জন্য কোনো প্রজেক্ট হাতে নিতে চাচ্ছি না। কারণ, নির্বাচনের আগে গুজবের কারখানা আরও দ্রুতগতিতে গুজব তৈরি করতে থাকবে। কাজেই দ্রুততার সাথে যেন আমরা তৈরি হতে পারি, আমরা জানিয়ে দিতে পারি এটা গুজব। সেই জন্য গুজব শনাক্তকরণে আমরা সেল গঠন করে ফেলেছি। ওই টিম সকাল-বিকাল পালাক্রমে মনিটরিং সেলকে সহযোগিতা করবে। আমরা পুনরায় নির্বাচিত হয়ে আসলে তথ্য মন্ত্রণালয় থেকে পূর্ণাঙ্গ সেল গঠন করব। দক্ষ জনবল নিয়ে সংবাদপত্রের পাশাপাশি ওই সেল তথ্য দেবে।

বাংলাদেশ সময়: ১৮২০ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ২০, ২০১৮
এসএম/এমজেএফ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।