ঢাকা, শুক্রবার, ১৪ চৈত্র ১৪৩০, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৮ রমজান ১৪৪৫

জাতীয়

৮ দিনে ১৮ বিল পাস!

| বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৯২৮ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ২০, ২০১৮
৮ দিনে ১৮ বিল পাস! জাতীয় সংসদ ভবন

ঢাকা: দশম জাতীয় সংসদের মেয়াদ শেষ হয়ে যাচ্ছে। কার্যত আর মাত্র একটি অধিবেশনই রয়েছে বর্তমান সরকারের। অক্টোবরের মাঝামাঝিতে সংক্ষিপ্ত একটি অধিবেশন ডেকেই ‍ইিত টানা হবে এ সংসেদর।

এরপর ডিসেম্বরের শেষ সপ্তাহে একাদশ সংসদ নির্বাচনের পর যারা সংখ্যাগরিষ্ঠতা পাবেন তারাই নতুন সরকার গঠন করবেন। পরে জানুয়ারিতে বসতে পারে সেই সরকারের প্রথম অধিবেশন।


 
বর্তমান সরকারের পাঁচ বছর পূর্ণ হচ্ছে আগামী বছরের ২৮ জানুয়ারি। সংবিধান অনুযায়ী বিদ্যমান সংসদ ভেঙে দেওয়ার আগের ৯০ দিনের মধ্যে পরবর্তী সংসদ নির্বাচন করার কথা রয়েছে। সে হিসেবে অক্টোবর থেকে নির্বাচনের কাউন-ডাউন শুরু হবে।

সরকারের বিভিন্ন মহলের আলোচনার পরিপ্রেক্ষিতে ধারণা করা হচ্ছে, ২৮ অক্টোবরের মধ্য নির্বাচনকালীন সরকার গঠন হবে। সেই সরকার শুধু রুটিন ওয়ার্ক করবে। তবে দেশে উদ্বুদ্ধ কোনো পরিস্থিতির সৃষ্টি হলে রাষ্ট্রপতি চাইলে যেকোনো সময় অধিবেশন আহ্বান করতে পারেন।
 
এদিকে, দশম জাতীয় সংসদের ২২তম অধিবেশনটি রেকর্ডের খাতায় লেখা থাকবে। কেননা, এ অধিবেশনের মাত্র আট কার্যদিবসের মধ্যে ইতোমধ্যেই ১৪টি বিল পাস হয়ে গেছে এবং শেষ দিনে এসে আরও চারটি পাস হতে যাচ্ছে। সে হিসেবে অনন্য উচ্চতায় এ অধিবেশন। এর আগে এতো অল্প সময়ে এমন সংখ্যক বিল পাসের নজির নেই।

গত ৯ সেপ্টেম্বর শুরু হয় ২২তম অধিবেশন। যা ২০ সেপ্টেম্বর শেষ হতে যাচ্ছে। শুক্র-শনিবার বাদ দিয়ে টানা ১০ কার্যদিবস অধিবেশন চলে। তবে প্রথম দিন বর্তমান সংসদের দু’জন সদস্যের মৃত্যুতে শোক প্রস্তাব গৃহীত হওয়ায় অন্যান্য সকল কার্যসূচি স্থগিত থাকে। তাছাড়া ১১ সেপ্টেম্বর বিদ্যুৎ বিপর্যয়ের কারণে এক ঘণ্টা অধিবেশন চালানোর পর তা স্থগিত হয়ে যায়। এ কারণে ১০ দিন চললেও মূলত ৮ কার্যদিবসে সমস্ত কার্যক্রম পরিচালিত হয়।

সংসদ সচিবালয়ের এক কর্মকর্তা বাংলানিউজকে বলেন, এতো অল্প সময়ে আগে কখনও এতোগুলো বিল পাস হয়েছে বলে আমার জানা নেই। আজ শেষ দিনেও চারটি বিল পাস হবে।
 
সরকারের বিদায়ী বছরের এই অধিবেশনে বেশ কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ বিল পাস হয়। এর মধ্যে সাংবাদিকদের দাবি উপেক্ষা করে পাস করা হয় ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন। এছাড়া পাস করা হয় সড়ক পরিবহন ‌আইন। এর বাইরে কওমি মাদ্রাসাগুলোর দাবির পরিপ্রেক্ষিতে ‘কওমি মাদ্রাসাগুলোর দাওরায়ে হাদিসের সনদকে মাস্টার্স ডিগ্রি (ইসলামিক স্টাডিজ ও আরবি) সমমান আইন। ওই তিনটি আইনের বিলই বুধবার (১৯ সেপ্টেম্বর) পাস হয়েছে।  
 
বৃহস্পতিবার (২০ সেপ্টেম্বর) সংসদ সচিবালয়ের দেওয়া কার্যসূচিতে চারটি বিল পাসের তালিকায় রাখা হয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে- জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ বিল, পণ্য উৎপাদনশীল রাষ্ট্রায়ত্ত শিল্প প্রতিষ্ঠান শ্রমিক (চাকরি শর্তাবলী) বিল, বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধা কল্যাণ ট্রাস্ট বিল ও কমিউনিটি ক্লিনিক স্বাস্থ্য সহায়তা বিল।

এছাড়া ১৮ সেপ্টেম্বর পাস হয় তিনটি বিল। সেগুলো হলো- বাংলাদেশ কর্মচারী কল্যাণ বোর্ড (সংশোধন) বিল, কৃষি বিপণন বিল, জাতীয় দক্ষতা উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ বিল।
 
এর আগে বাজেট অধিবেশনে ২৫ কার্যদিবসে বাজেট ‍পাস ছাড়াও ১৪টি বিল পাস হয়।

এবারের অধিবেশনে প্রধানমন্ত্রীর জন্য দু’টি কার্যদিবসে প্রশ্নোত্তর পর্ব ছিল। এই দুই কার্যদিবসে প্রধানমন্ত্রীর উত্তর দেওয়ার জন্য ৮৪টি প্রশ্ন পাওয়া যায়। তার মধ্যে প্রধানমন্ত্রী ২৬টি প্রশ্নের উত্তর দেন। আর অন্যান্য মন্ত্রীদের জন্য এক হাজার ৫০৪টি প্রশ্ন পাওয়া যায়। যার মধ্যে মন্ত্রীরা ৮০৪টি প্রশ্নের উত্তর দিয়েছেন।
 
বাংলাদেশ সময়: ১৫০০ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ২০, ২০১৮
এসএম/টিএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।