ঢাকা, বুধবার, ১১ বৈশাখ ১৪৩১, ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ শাওয়াল ১৪৪৫

জাতীয়

পদ্মায় তীব্র স্রোত ও নাব্য সংকটে ফেরি চলাচল ব্যাহত

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২৩২৯ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ১৯, ২০১৮
পদ্মায় তীব্র স্রোত ও নাব্য সংকটে ফেরি চলাচল ব্যাহত সীমিত সংখ্যক ফেরি চলাচল করছে। ছবি-বাংলানিউজ

মুন্সিগঞ্জ: গেলো কয়েকদিন ধরেই পদ্মার নাব্য সংকট আর তীব্র স্রোতের কারণে শিমুলিয়া-কাঁঠালবাড়ী নৌরুটে ফেরি চলাচল ব্যাহত হচ্ছে। 

বিআইডব্লিউটিএ’র ড্রেজিং বিভাগ ফেরি চালানোর জন্য উপযুক্ত গভীরতা আছে বললেও বিআইডব্লিউটিসি বলছে প্রয়োজনীয় গভীরতা নেই।  

বুধবার (১৯ সেপ্টেম্বর) সকাল থেকে নৌরুটে পাঁচটি ফেরি চলাচল করছে এবং পারের অপেক্ষায় সাড়ে তিন শতাধিক গাড়ি পারের অপেক্ষায় রয়েছে।

রো রো ফেরি বীরশ্রেষ্ঠ জাহাঙ্গীর, এনায়েতপুরী, কে-টাইপ ফেরি কাকলী, মিডিয়াম ফেরি কুমিল্লা এবং একটি টানা ফেরি চলাচল করছে।  

বিআইডব্লিউটিসি’র শিমুলিয়া ঘাট (বাণিজ্য) আব্দুল আলিম বাংলানিউজকে জানান, গেলো কয়েকদিন ধরেই শিমুলিয়া-কাঁঠালবাড়ী নৌরুটে তীব্র স্রোত এবং নাব্য সংকটের কারণে ফেরি চলাচল ব্যাহত হচ্ছে। দুর্ঘটনা এড়াতে রাতে ফেরি চলাচল সাময়িক বন্ধ রাখতে হচ্ছে। ফেরিগুলোর ইঞ্জিন দুর্বল হওয়ায় তীব্র স্রোতের বিপরীতে চলতে গিয়ে বিকল হয়ে পড়ছে। যার কারণে মাঝ পদ্মায় যাত্রী ও যানবাহন নিয়ে ফেরিগুলো আটকা পড়ে অনেক সময়। ফেরি চলাচলের জন্য যতটুকু গভীরতা প্রয়োজন তা এ নৌরুটে নেই। এছাড়া স্রোতের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে চলতে সময়ও বেশি লাগছে। ফলে ঘাটে দীর্ঘ সময় অপেক্ষায় থাকতে হচ্ছে গাড়িগুলোকে।

বিআইডব্লিউটিএ’র ড্রেজিং বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী এএসএম আরেফিন বাংলানিউজকে জানান, সাতটি ড্রেজার দিয়ে চ্যানেলের পলিমাটি অপসারণ করা হচ্ছে। ঈদের আগে থেকেই চ্যানেলের পলি অপসারণের কাজ চলছে। কিন্তু তীব্র স্রোতের কারণে ড্রেজিং করতেও সমস্যা হচ্ছে। আবার পলি অপসারণ করে পর্যাপ্ত গভীর করা হলেও তা ভরাট হয়ে যাচ্ছে। কারণ বর্তমানে নদী ভাঙন হচ্ছে অনেক বেশি। চ্যানেলে যে গভীরতা রয়েছে তা ফেরি চালানোর জন্য মোটামুটি উপযোগী।

বাংলাদেশ সময়: ১৯২০ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ১৯, ২০১৮
এসআই

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
welcome-ad