ঢাকা, শুক্রবার, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫

জাতীয়

‘সহানুভূতি দেখাতে গিয়ে অপমানিত হয়ে আসতে হয়’

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২২৫৯ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ১৯, ২০১৮
‘সহানুভূতি দেখাতে গিয়ে অপমানিত হয়ে আসতে হয়’ সংসদ অধিবেশনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা | ফাইল ছবি

জাতীয় সংসদ ভবন থেকে: আগামী একাদশ সংসদ নির্বাচনের আগে রাজনৈতিক মান-অভিমান ভাঙানোর প্রস্তাব নাকচ করে দিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন সহানুভূতি দেখাতে গিয়ে যদি অপমানিত হয়ে ফিরে আসতে হয় সেখানে আর যাবার ইচ্ছা আমার নেই। এইটুকু বলতে পারি।

বুধবার (১৯ সেপ্টেম্বর) বিকেলে দশম জাতীয় সংসদের ২২তম অধিবেশনে প্রধানমন্ত্রীর জন্য নির্ধারিত প্রশ্নোত্তরকালে জাতীয় পার্টির সংসদ সদস্য ফখরুল ইমামের সম্পূরক প্রশ্নের জবাবে সংসদ নেতা একথা বলেন।  

প্রশ্নকারী বলেন, দেশের এত উন্নয়ন হয়েছে সেটা নিয়ে আমার কোন প্রশ্ন নেই।

তবে দেশে যে রাজনৈতিক মান-অভিমান চলছে সেটা ভাঙাতে আপনি উদ্যোগ নেবেন কি না?
 
জবাবে প্রধানমন্ত্রী বলেন, এখানে মান-অভিমানটা কোথা থেকে আসল আমি জানি না। এটা হচ্ছে নীতির প্রশ্ন, রাজনৈতিক সিদ্ধান্তের প্রশ্ন, আর হচ্ছে আইনের প্রশ্ন। কেউ যদি অন্যায় করে, কেউ যদি অর্থ আত্মসাৎ করে, কেউ যদি চুরি করে, কেউ যদি খুনের প্রচেষ্টা করে, গ্রেনেড মারে, বোমা মারে; তার বিচার হবে এটাই স্বাভাবিক।

প্রধানমন্ত্রী আরো বলেন, রাজনীতি সবাই করে যার যার নিজস্ব আদর্শ নিয়ে, আর দেশটা সকলের, দেশটা আমাদের একার নয়। যারাই রাজনীতি করবেন দেশের প্রতি, দেশের জনগণের প্রতি তাদের একটা দায়িত্ববোধ থাকতে হবে। আমরা রাজনীতি করি আমাদের নিজের স্বার্থে নয়, নিজের লাভ-লোকসানের জন্য নয়। সেই বিচার করি না, সেই হিসাবও করি না। হিসাব করি জনগণের জন্য কতটুকু দিতে পারলাম, জনগণের কতটুকু করতে পারলাম। জনগণের জীবনমান কতটুকু উন্নত হল- এটাই আমরা দেখার চেষ্টা করি। আর সেভাবেই পদক্ষেপ নেই, পরিকল্পনা সেভাবেই বাস্তবায়ন করি। নিস্বার্থভাবে দেশের মানুষকে ভালবেসে দেশের মানুষ জীবনমান উন্নয়নে, জনকল্যাণে কাজ করি বলেই আজ এত অল্প সময়ে এত উন্নয়ন করতে পেরেছি।
 
শেখ হাসিনা বলেন, অতীতে অনেক সরকার ছিল। এত অল্প সময়ে এত উন্নয়ন কে করতে পেরেছে? পারেনি কেউ, কেন পারেনি? সেখানে ব্যক্তিস্বার্থকে দেশের জনগণের স্বার্থের চাইতে বড় করে দেখা হতো। আমি ব্যক্তিগত হিসাব নিকাশ করি না। আন্তরিকতার সাথে কাজ করছি বলেই দেশটাকে উন্নতি করতে পারছি। আমাদের উন্নয়ন এখন গ্রাম পর্যায় পর্যন্ত হয়েছে। দেশকে উন্নয়নের ছোঁয়া দিতে পেরেছি, সেটাই সব থেকে বড় পাওয়া। এখানে কে মান-অভিমান করল, কার মান ভাঙাতে হবে সেটা আমি জানি না। সহানুভূতি দেখাতে গিয়ে যদি অপমানিত হয়ে ফিরে আসতে হয়, সেখানে আর যাবার কোন ইচ্ছা আমার নেই। এতটুক বলতে পারি।

বাংলাদেশ সময়: ১৮৫৫ সেপ্টেম্বর ১৯, ২০১৮
এসএম/এমজেএফ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

জাতীয় এর সর্বশেষ