ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ৫ বৈশাখ ১৪৩১, ১৮ এপ্রিল ২০২৪, ০৮ শাওয়াল ১৪৪৫

জাতীয়

নড়িয়ায় ভাঙন রোধে শুরু হচ্ছে হাজার কোটি টাকার কাজ 

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২২৪৬ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ১৯, ২০১৮
নড়িয়ায় ভাঙন রোধে শুরু হচ্ছে হাজার কোটি টাকার কাজ  নড়িয়ার ভাঙন কবলিত এলাকা/ফাইল ফটো

ঢাকা: শরীয়তপুরের নড়িয়া ও জাজিরা উপজেলায় পদ্মা নদীর ভাঙন রোধে হাজার কোটি টাকার প্রকল্পের ক্রয় প্রস্তাবে অনুমোদন দিয়েছে সরকার। রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠান খুলনা শিপ ইয়ার্ডের মাধ্যমে এ প্রকল্প বাস্তবায়িত হলে পদ্মা নদীর ডান তীর রক্ষা পাবে। 

বুধবার (১৯ সেপ্টেম্বর) সচিবালয়ে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সম্মেলন কক্ষে অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিতের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত অর্থনৈতিক ক্রয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির বৈঠকে পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়ের এ সংক্রান্ত একটি প্রস্তাব অনুমোদন দেওয়া হয়।  

বৈঠক শেষে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের অতিরিক্ত সচিব মোসাম্মৎ নাসিমা বেগম সাংবাদিকদের বলেন, বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ডের বাস্তবায়নাধীন ‘শরীয়তপুর জেলার জাজিরা ও নড়িয়া উপজেলায় পদ্মা নদীর ডান তীর রক্ষা’ শীর্ষক প্রকল্পের আওতায় ৮ দশমিক ৯০ কিলোমিটার নদীতীর সংরক্ষণ কাজ ৯ দশমিক ৭৫ কিলোমিটার ড্রেজিং, শূন্য দশমিক শূন্য ৮৯ কিলোমিটার ইন্ড টার্মিনেশন এবং ৮টি আরসিসি পাকা ঘাট নির্মাণ কাজ সরাসরি ক্রয় পদ্ধতিতে বাস্তবায়নের ক্রয় প্রস্তাব অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।

 

তিনি বলেন, এক হাজার ৭৭ কোটি ৫৮ লাখ ৪৯ হাজার টাকা ব্যয়ে এই প্রকল্প বাস্তবায়ন করবে রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠান খুলনা শিপইয়ার্ড লিমিটেড।

সম্প্রতি উজান থেকে নেমে আসা পানির প্রবল স্রোতের কারণে শরীয়তপুরে পদ্মায় ভয়াবহ ভাঙন শুরু হয়। এতে নড়িয়ার বিস্তীর্ণ এলাকা ভেঙে মানুষের ঘরবাড়ি, ফসলি জমি, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান নদীগর্ভে বিলীন হয়ে যায়।  

ভাঙন থেকে রক্ষায় পূর্ব প্রস্তুতি না নেওয়ায় এবং ভাঙনের কারণে ওই এলাকার মানুষের দুর্ভোগের সময় পাশে না থাকায় সোমবারের মন্ত্রিসভার বৈঠকে মন্ত্রী-এমপিদের ভর্ৎসনা করেন। প্রধানমন্ত্রী ক্ষতিগ্রস্তদের পাশে দাঁড়ানো এবং ভাঙন রোধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থার নির্দেশ দেন।

পর দিন দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণমন্ত্রী মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া, সচিব মো. শাহ্ কামাল, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক সৈয়দ এমএ হাসিম সরেজমিন পরিদর্শনে যান এবং ক্ষতিগ্রস্তদের ত্রাণ সহায়তা দেন। সে সময় ছিলেন স্থানীয় সংসদ সদস্যরা।  

মায়া জানান, নড়িয়ার ক্ষতিগ্রস্ত মানুষকে ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত ভিজিএফ সহযোগিতা দেওয়া হবে। নড়িয়ার নদী ভাঙনে ক্ষতিগ্রস্ত প্রায় ৫ হাজার পরিবারের ত্রাণ সহায়তা হিসেবে ভিজিএফ ছাড়াও ঘরবাড়ি নির্মাণের জন্য প্রাথমিকভাবে ৫ হাজার বান্ডিল ঢেউটিন, ঘর নির্মাণ মঞ্জুরি হিসেবে ১ কোটি ৫০ লাখ টাকা, জরুরি প্রয়োজন মেটানোর জন্য ৫০ লাখ টাকা ও ১০ হাজার প্যাকেট শুকনো খাবার বরাদ্দ দেওয়া হয়।

এছাড়া ক্ষতিগ্রস্ত সব পরিবারের মানবিক দিকগুলো বিবেচনা করে তাদের খাদ্য, আশ্রয়, চিকিৎসা, সুপেয় পানির ব্যবস্থা করার জন্য দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য সচিব উপজেলা কমিটিকে নির্দেশ দেন।

ওই সময় জেলা প্রশাসক কাজী আবু তাহের জানান, নড়িয়ার ডুবোচরের কারণে পার্শ্ববর্তী এলাকা বেশি করে ভাঙছে। ডুবোচরগুলোর ড্রেজিং করার জন্য ইতোমধ্যে ড্রেজিং শুরু হয়েছে।  

বাংলাদেশ সময়: ১৮৪০ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ১৯, ২০১৮
এমআইএইচ/এএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।