ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১৪ চৈত্র ১৪৩০, ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৭ রমজান ১৪৪৫

জাতীয়

উস্কানিমূলক পোস্ট শনাক্তে সাইবার ক্রাইম মনিটরিং সেল

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২১২৪ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ১৯, ২০১৮
উস্কানিমূলক পোস্ট শনাক্তে সাইবার ক্রাইম মনিটরিং সেল সংসদ অধিবেশনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা

জাতীয় সংসদ ভবন থেকে: সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে গুজব, বিভ্রান্তিমূলক বা উস্কানিমূলক পোস্ট, ভিডিও প্রচারকারীকে শনাক্ত করার মাধ্যমে আইনের আওতায় আনতে সাইবার ক্রাইম মনিটরিং সেল গঠনসহ প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

বুধবার (১৯ সেপ্টেম্বর) বিকেলে দশম জাতীয় সংসদের ২২তম অধিবেশনে প্রধানমন্ত্রীর জন্য নির্ধারিত প্রশ্নোত্তরকালে জাতীয় পার্টির সংসদ সদস্য মো. মামুনুর রশীদ কিরনের (নোয়াখালী-৩) প্রশ্নের জবাবে সংসদ নেতা একথা বলেন।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, বাংলাদেশ সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির দেশ হিসেবে বিশ্বে যে সুনাম অর্জন করেছে তা ধরে রাখতে বর্তমান আওয়ামী লীগ সরকার বদ্ধপরিকর।

কোনো গোষ্ঠী বা দল যাতে দেশে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বিনষ্ট করতে না পারে সে বিষয়ে গোয়েন্দা নজরদারি বৃদ্ধি করা হয়েছে। গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে অপরাধীদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।  

তিনি বলেন, সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি রক্ষায় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে গুজব, বিভ্রান্তিমূলক বা উস্কানিমূলক পোস্ট, ভিডিও প্রচারকারীকে শনাক্ত করার মাধ্যমে আইনের আওতায় আনার জন্য সাইবার ক্রাইম মনিটরিং সেল গঠণসহ প্রয়োজনীয় কার্যক্রম গ্রহণ করা হচ্ছে।

আওয়ামী লীগ দলীয় সংসদ সদস্য বজলুল হক হারুনের (ঝালকাঠি-১) অপর এক প্রশ্নের জবাবে প্রধানমন্ত্রী বলেন, আওয়ামী লীগ সরকার সন্ত্রাস এবং জঙ্গিবাদের বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স নীতি ঘোষণা করে চলছে। সন্ত্রাস, জঙ্গিবাদ ও দুর্নীতিমুক্ত করার উদ্দেশ্যে সন্ত্রাস, জঙ্গিবাদ এবং দুর্নীতির সাথে জড়িতদের আইনের আওতায় আনতে ও তাদের বিরুদ্ধে যথাযথ আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য পুলিশ ও অন্যান্য আইন শৃঙ্খলা বাহিনী নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, অপরাধ নিয়ন্ত্রণে স্পর্শকাতর স্থানসমূহে চেকপোস্ট স্থাপন করে সন্দেহজনক মোটরসাইকেল, প্রাইভেটকার, অটোরিকশা তল্লাশিসহ উক্ত যানবাহনের যাত্রীদের তল্লাশি করা হচ্ছে। এছাড়া দেশের অভ্যন্তরে মাদকদ্রব্য অনুপ্রবেশ রোধে নৌ, সড়ক ও রেলপথে চোরাচালানের সম্ভাব্য রুটসমূহে গোয়েন্দা নজরদারি বৃদ্ধিসহ বিশেষ অভিযান পরিচালনা করা হচ্ছে।

জাতীয় পার্টির সংসদ সদস্য নুরুল ইসলাম মিলনের এক প্রশ্নের জবাবে প্রধানমন্ত্রী বলেন, জোরপূর্বক বাস্তুচ্যুত বিপুল রোহিঙ্গা জনস্রোতের নজরিবিহীন এক মানবিক সংকটে বাংলাদেশ সক্রিয়ভাবে সাড়া দিয়ে সীমান্ত উন্মুক্ত রেখে তাদের প্রবেশ করতে দিয়েছে। রোহিঙ্গাদের বাংলাদেশে দীর্ঘমেয়াদে অবস্থানের কোনো সুযোগ নেই। আমরা দ্রুততম সময়ের মধ্যে তাদের নিজ দেশে ফেরত পাঠাতে চাই।

বাংলাদেশ সময়: ১৭১৭ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ১৯, ২০১৮
এসএম/এমজেএফ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।