ঢাকা, শনিবার, ৭ বৈশাখ ১৪৩১, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ১০ শাওয়াল ১৪৪৫

জাতীয়

তীব্র গরমে অস্বস্তিতে রাজধানীবাসী

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২৩০৮ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ১৭, ২০১৮
তীব্র গরমে অস্বস্তিতে রাজধানীবাসী গরম থেকে রক্ষা পেতে মুখে পানির ঝাপটা দিচ্ছেন এই কিশোর/ছবি- ডি এইচ বাদল

ঢাকা: আশ্বিনের দ্বিতীয় দিন পার করছে সোমবার (১৭ সেপ্টেম্বর)। আগে এ সময়টায় তাপমাত্রা কিছুটা কম থাকার রেকর্ড রয়েছে। কিন্তু বর্তমানে রাজধানীতে সূর্যের তাপের যে অবস্থা তাতে মাসের হিসেব না থাকলে চৈত্র ভেবেও কেউ ভুল করবেন না!

আবহাওয়া অধিদপ্তরের আবহাওয়াবিদ একেএম নাজমুল হক বাংলানিউজকে জানান, ঢাকায় সোমবার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৩৫.৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস, সর্বনিন্ম ২৭.৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়েছে। রাজধানীতে আজ আর্দ্রতা ছিলো ৪৮ থেকে ৬২ শতাংশ।

আর দেশের কিছু কিছু এলাকায় তাপমাত্রা ৩৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস পেরিয়েছে।

তবে অস্বস্তিকর গরমের পরিস্থিতি থেকে রাজধানীবাসী মঙ্গলবার (১৮ সেপ্টেম্বর) কিছুটা মুক্তি পেতে পারেন। তাপমাত্রা অল্প কিছু কমতে পারে। তাছাড়া দুই থেকে তিনদিন পর বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে।  

রাজধানীর মহাখালী কাঁচাবাজার এলাকায় আবদুল গফুর মিয়া নামে এক রিকশাচালক বাংলানিউজকে বলেন, কয়েকদিন আগেও যে পরিমাণ টাকা ইনকাম করতাম এখন তার অর্ধেক করতে পারি। কারণ গরমে বেশি সময় রিকশা চালানো যায় না। অল্প চালিয়েই হাঁপিয়ে উঠতে হয়।  

রাজধানীর আমতলী স্টাফ ওয়েলফেয়ার সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের দ্বিতীয় শ্রেণির শিক্ষার্থী রুদ্র গরমের কারণে অল্প বিস্তর চর্মরোগে ভুগছে। বাংলানিউজকে রুদ্রর অভিভাবক জানায়, গরমে ঘামাচি ছাড়াও বিভিন্ন র‌্যাশ উঠেছে রুদ্রর গায়ে। ওষুধ ছাড়াও ডাক্তার পরামর্শ দিয়েছেন দিনে কয়েকবার গা মুছিয়ে দিতে ও কম ঘামার চেষ্টা করাতে। কিন্তু বাচ্চাদের ছোটাছুটি থামিয়ে রাখবো কিভাবে?

গরম থেকে মুক্তি পেতে সড়কে যত্রতত্র শরবত পান করছেন রাজধানীবাসী, যা স্বাস্থ্যের জন্য হুমকি শেরে-বাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের মাস্টার্সের শিক্ষার্থী ফারজানা ভুইয়া সিথী বাংলানিউজকে জানান,  আমার চারদিন ধরে জ্বর। বিভিন্ন পরীক্ষা করিয়েছি। সাধারণ জ্বর ছাড়া অন্য কিছু ধরা পড়েনি। ডাক্তার বলেছেন অতিরিক্ত গরম থেকে ঠাণ্ডা লেগে জ্বর হয়েছে।  

এদিকে তীব্র গরমে অস্বস্তি, ঘামাচি ছাড়াও বিভিন্ন ভাইরাসে পানি ও বায়ুবাহিত রোগ বৃদ্ধি পাচ্ছে। এ বিষয়ে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের সহযোগী অধ্যাপক ডা. নাজমা আক্তার বাংলানিউজকে জানান, গরমে ডায়রিয়া বা পানিবাহিত রোগগুলো ছাড়াও বায়ুবাহিত বা বাতাসের মাধ্যমে যেসব রোগ ছড়ায় সেগুলো বাড়ছে। তাছাড়া মশার প্রকোপ বেড়ে গেছে। যে কারণে ডেঙ্গু, ম্যালেরিয়া ছাড়াও চিকনগুনিয়ার প্রভাবও দেখা যাচ্ছে। তবে গতবারের মতো অতো বেশি নয়।

পরার্মশ হিসেবে এ চিকিৎসক আরও বলেন, বিশুদ্ধ পানি পান করতে হবে বেশি। রাস্তার বিভিন্ন শরবতগুলোর পানি বা জারের পানি বিশুদ্ধ থাকে না। বিভিন্ন ধরনের কলিফর্ম ব্যাকটেরিয়া থাকে। আর বাড়ির আশপাশ পরিষ্কার রাখতে হবে। জ্বর বা যেকোন রোগের লক্ষণ দেখলে দ্রুত ডাক্তারের পরামর্শ নিতে হবে। এক্ষেত্রে রোগের লক্ষণগুলো সবার ভালোভাবে জানা উচিৎ। সঙ্গে সঙ্গে সচেতন থাকা উচিৎ।

বাংলাদেশ সময়: ১৯০৫ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর  ১৭, ২০১৮
এমএএম/জেডএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।