ঢাকা, শুক্রবার, ১৫ চৈত্র ১৪৩০, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৮ রমজান ১৪৪৫

জাতীয়

দু’তিনদিনের মধ্যে দেশের মধ্যাঞ্চল প্লাবিত হওয়ার শঙ্কা

| বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২১০৩ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ১৬, ২০১৮
দু’তিনদিনের মধ্যে দেশের মধ্যাঞ্চল প্লাবিত হওয়ার শঙ্কা সম্প্রতি দেশের বিভিন্ন এলাকায় বন্যা পরিস্থিতর সৃষ্টি হয়/ ফাইল ছবি

ঢাকা: উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে রোববার (১৬ সেপ্টেম্বর) রাতের মধ্যেই জামালপুর ও সিরাজগঞ্জের নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হতে পারে। আর দুই থেকে তিনদিনের মধ্যে দেশের মধ্যাঞ্চল (মুন্সিগঞ্জ, শরীয়তপুর, ফরিদপুর, রাজবাড়ী, মানিকগঞ্জ) প্লাবিত হতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। এছাড়া গাইবান্ধা ও বগুড়ার বন্যা পরিস্থিতির আরো অবনতি হতে পারে।

পানি উন্নয়ন বোর্ডের বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্র থেকে এ তথ্য জানানো হয়েছে। এটিকে মাঝারি ধরনের স্বল্পমেয়াদী বন্যা মনে করছে পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো)।

সংস্থাটির তথ্য অনুযায়ী, রোববার সকালে যমুনার দু’টি পয়েন্টে এবং ধলেশ্বরী নদীর একটি পয়েন্টে বিপদসীমার ওপর দিয়ে পানি প্রবাহিত হতে দেখা গেছে। গাইবান্ধার ফুলছড়িতে যমুনার পানি বিপদসীমার দুই সেন্টিমিটার, সারিয়াকান্দিতে ১৪ সেন্টিমিটার এবং টাঙ্গাইলের এলাশিন পয়েন্টে ধলেশ্বরীর পানি ৯ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।  

পরবর্তী ২৪ ঘণ্টায় এটি আরো বৃদ্ধি পেয়ে জনবসতিতে পানি প্রবেশ করবে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। এসব অঞ্চলে এরইমধ্যে তীরবর্তী নিন্মাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। যমুনা, ব্রহ্মপুত্র ও পদ্মার পানি বৃদ্ধি অব্যাহত রয়েছে বলেও পাউবো’র রিপোর্ট থেকে জানা গেছে।  

এর ফলে রোববার রাতের মধ্যেই সিরাজগঞ্জ ও টাঙ্গাইল প্লাবিত হতে পারে। এসব অঞ্চলের বন্যা আট থেকে ১০ দিন স্থায়ী হতে পারে বলে জানিয়েছেন পাউবো’র নির্বাহী প্রকৌশলী মোহাম্মদ আরিফুরজ্জামান ভূঁইয়া। এছাড়া আগামী দুই থেকে তিনদিনের মধ্যে পদ্মা নদীর অববাহিকা তথা মুন্সিগঞ্জ, শরীয়তপুর, ফরিদপুর, রাজবাড়ী ও মানিকগঞ্জের নদী তীরবর্তী অঞ্চল প্লাবিত হবে। এই বন্যা পাঁচ থেকে সাতদিন স্থায়ী হবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।  

তবে কয়েক দিন পরেই অমাবস্যা রয়েছে। এর প্রভাবে পানির চাপ কমতে আরো কয়েকদিন বিলম্ব হতে পারে। যাতে দুর্ভোগ বাড়তে পারে বন্যার্তদের।

পাউবো’র নির্বাহী প্রকৌশলী আরিফুরজ্জামান ভূঁইয়া বলেন, পানি উন্নয়ন বোর্ডেও আঞ্চলিক অফিসগুলো সার্বক্ষণিক সতর্ক রয়েছে। বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধগুলোর ওপর রয়েছে তীক্ষ্ণ নজরদারি। কোথাও ক্ষতিগ্রস্ত হলে তাৎক্ষণিক তা মেরামত করার জন্য প্রস্তুতি রয়েছে। প্রস্তুত রাখা হয়েছে বালুর বস্তা ও ব্লক। বন্যার পানি নেমে গেলে ক্ষতিগ্রস্ত বাঁধ স্থায়ী মেরামতের উদ্যোগ নেওয়া হবে বলেও জানান তিনি।  

বন্যা সতর্কীকরণের পাশাপাশি বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধগুলো রক্ষা করাই পানি উন্নয়ন বোর্ডের প্রধান কাজ বলেও উল্লেখ করেন তিনি।  

অসময়ে বন্যার কারণ সম্পর্কে তিনি বাংলানিউজকে বলেন, ভারতের আসাম, জলপাইগুড়ি অঞ্চলে ভারী বৃষ্টির কারণেই এ বন্যা হচ্ছে। তবে আমরা খবর পেয়েছি সেখানে বৃষ্টির মাত্রা কমে এসেছে। তার মানে বড় ধরনের বন্যার আশঙ্কা এই মুহূর্তে নেই। এটিকে স্বল্পমেয়াদী মাঝারি ধরনের বন্যা বলা যায়।  

বাংলাদেশ সময়: ১৬৫৮ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ১৬, ২০১৮
এজেড/জেডএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।