ঢাকা, মঙ্গলবার, ১০ বৈশাখ ১৪৩১, ২৩ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ শাওয়াল ১৪৪৫

জাতীয়

৯ বছরে ২৬৬ কোটি বই বিনামূল্যে বিতরণ

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৮৪২ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ১৫, ২০১৮
৯ বছরে ২৬৬ কোটি বই বিনামূল্যে বিতরণ জাতীয় প্রেসক্লাবে এক সেমিনারে শিক্ষামন্ত্রী/ছবি: শাকিল

ঢাকা: শিক্ষামন্ত্রী নূরুল ইসলাম নাহিদ জানিয়েছেন, বর্তমান সরকার সময় মতো ভর্তি, পরীক্ষা ও ফলাফল প্রকাশ করছে। নিয়মিতভাবে ১ জানুয়ারি শিক্ষার্থীদের হাতে বই পৌঁছে দেয়া হচ্ছে। বিগত নয় বছরে প্রায় ২৬৬ কোটি বই বিনামূল্যে শিক্ষার্থীদের মধ্যে বিতরণ করা হয়েছে।

শনিবার (১৫ সেপ্টেম্বর) জাতীয় প্রেসক্লাবে আয়োজিত এক সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে শিক্ষামন্ত্রী এসব জানান।

শিক্ষা দিবস উপলক্ষে ‘বঙ্গবন্ধুর শিক্ষা ভাবনা: বাস্তবায়নে গতি প্রকৃতি’ শীর্ষক এ সেমিনারের আয়োজন করে আওয়ামী লীগের শিক্ষা ও মানবসম্পদ বিষয়ক উপ-কমিটি।

এতে সভপতিত্ব করেন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য প্রফেসর আবদুল খালেক।

সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে শিক্ষামন্ত্রী নূরুল ইসলাম নাহিদ বলেন, বিগত নয় বছরে সরকার ২৬৫ লাখ ৯৯ হাজার বই বিনামূ্ল্যে বিতরণ করেছে। আর এ বই পৌঁছে দেয়া হচ্ছে ১ জানুয়ারি। এটা একটি বিশাল কর্মযজ্ঞ। বই বিতরণের এ তথ্যে বিদেশিরাও শুনে অবাক হয়ে যান বলেও জানান তিনি।

শিক্ষামন্ত্রী বলেন, দেশের এক তৃতীয়াংশ মানুষই কোনো না কোনোভাবে শিক্ষাখাতে জড়িত। বাংলাদেশে এখন ৫ কোটি শিক্ষার্থী। ২৫ লাখ শিক্ষক শিক্ষা দানে নিয়োজিত। আমরা শিক্ষা প্রসারে অত্যন্ত আন্তরিক।

সেমিনারে মূলপ্রবন্ধ উপস্থাপন করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. খন্দকার বজলুল হক। মূলপ্রবন্ধে তিনি বলেন, ড. কুদরত-ই-খুদা কমিশনের প্রতিবেদনের মূল বিষয় ছিল, শিক্ষা ব্যবস্থা হতে হবে রাষ্ট্রের মূলনীতি, যেমন- গণতন্ত্র, সমাজতন্ত্র, জাতীয়তাবাদ ও অসাম্প্রদায়িক চেতনার সঙ্গে সেটি কোনোভাবেই সাংঘর্ষিক না হয়, বরং এসব মূলনীতি প্রতিষ্ঠায় সহায়ক ভূমিকা পালন করবে। তবে আমাদের দূর্ভাগ্য বঙ্গবন্ধু খুব অল্পই এ প্রতিবেদন বাস্তবায়নের সুযোগ পেয়েছিলেন। পরবর্তী সময়ে যারাই রাষ্ট্রক্ষমতায় এসেছিলেন তারা এ প্রতিবেদনের সুপারিশ বাস্তবায়নে কোনো তোয়াক্কাই করেনি বরং উল্টোটেই করেছেন।

সেমিনারে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ড. মিজানুর রহমান বলেন, মাদ্রাসায় নানামুখী শিক্ষা ব্যবস্থা চালু রয়েছে। তবে সরকার থেকে মাদ্রাসা শিক্ষার জন্য সম্প্রতি ৬ হাজার কোটি টাকা বরাদ্দ দিয়েছে। মাদ্রাসা শিক্ষা ব্যবস্থায় আরো পরিবর্তন আনা জরুরি। যেসব মাদ্রাসা সরকার থেকে এ অর্থ সহায়তা পাবে, তাদের দু’টি শর্ত দেয়া উচিত। এক, তারা যেন মাদ্রাসায় কারিগরি শিক্ষা চালু করে। দুই,  তারা যেন আরবিতে কথা বলতে পারে। তাহলে কিছুটা হলেও মাদ্রাসায় উন্নয়ন ঘটবে।

সেমিনারে আরো বক্তব্য রাখেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ উপাচার্য ড. মুহম্মদ সামাদ, ড. নাসরিন আহমেদ, আওয়ামী লীগের শিক্ষা ও মানবসম্পদ বিষয়ক সম্পাদক শামসুন্নাহার চাপা প্রমুখ।

বাংলাদেশ সময়: ১৪৩০ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ১৫, ২০১৮
এসএইচ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।