ঢাকা, শনিবার, ৬ বৈশাখ ১৪৩১, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ১০ শাওয়াল ১৪৪৫

জাতীয়

নগর ভবনে দলবাজি চলবে না: লিটন

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০১২৫ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ১৩, ২০১৮
নগর ভবনে দলবাজি চলবে না: লিটন বক্তব্য রাখছেন এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটন

রাজশাহী: নগর ভবনে কোনো দলবাজি চলবে না বলে মন্তব্য করেছেন রাজশাহী সিটি করপোরেশনের (রাসিক) মেয়র ও মহানগর আওয়ামী লীগ সভাপতি এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটন। 

বুধবার (১২ সেপ্টেম্বর) রাসিকের সাবেক ও বতর্মান কাউন্সিলর এবং কর্মকর্তাদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় তিনি এ মন্তব্য করেন। উপশহরে তার বাসভবনের পাশে এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।

 

অনুষ্ঠানে রাসিক মেয়র এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটন বলেন, দুটি জিনিস আপনাদের কাছে চেয়ে নিবো। একটি হলো বাংলাদেশ সৃষ্টিই হয়েছে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নির্দেশে। তিনি শুধু আওয়ামী লীগের নেতা ছিলেন না, তিনি অবিসংবাদী নেতা, হাজার বছরের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি। সেই বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ব্যাপারে আশা করছি কারো মধ্যে কোনো দ্বিধা থাকবে না, থাকা উচিতও না। আর একটি হলো উন্নয়নের প্রশ্নে নগর ভবনে কোনো দলবাজি করতে দেওয়া হবে না। আমি এর আগেও বলেছি, এখনও বলছি। বিএনপি সমর্থক কাউন্সিলর বলে তাকে প্রজেক্ট দেওয়া হবে না, সেটি হবে না। বিএনপির কাউন্সিলরও প্রজেক্ট পাবেন। যার ওয়ার্ডে যা প্রয়োজন, তাই দেওয়া হবে। উন্নয়নের স্বার্থে এখানে দলমত বিচার করা হবে না।

খায়রুজ্জামান লিটন বলেন, আপনারা সবাই রাজনীতি বিষয়টি গেটের বাইরে রেখে নগর ভবনে প্রবেশ করবেন। আবার নগর ভবন থেকে বের হয়ে রাজনীতির কথা বলবেন-এতে আমার কোনো আপত্তি থাকবে না। কিন্তু নগর ভবনে কোনো রাজনীতির কথা, দলবাজি হবে না। নগর ভবনের দাফতরিক শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনতে আমাদের অনেক কাজ করতে হবে।

মেয়র লিটন বলেন, গত পাঁচ বছর রাজশাহীতে কোনো কাজ হয়নি। রাস্তা-ঘাটের কাজ হয়নি। আমার রেখে যাওয়া প্রকল্পগুলো আলোর মুখ দেখেনি। ঝিমিয়ে পড়া এসব প্রকল্প সচলসহ ব্যাপক উন্নয়ন করা হবে।

লিটন আরও বলেন, মেয়রের কাজ নয়, এমন অনেক কাজও আমি করবো। যেমন রাজশাহী থেকে ঢাকা বিরতীহীন ট্রেন চালু করা। এ ব্যাপারে এর মধ্যেই রেলমন্ত্রীর সঙ্গে চূড়ান্ত কথা হয়েছে। তিনি আমাকে ডিও লেটার দিতে বলেছেন।  

রেলপথ মন্ত্রীকে উদ্ধৃত করে লিটন বলেন, নতুন কোচ, নতুন ইঞ্জিন আসলে রাজশাহী-ঢাকা রুটে বিরতীহীন ট্রেন চালু হবে। দায়িত্ব নেওয়ার পরে রাজশাহী থেকে কলকাতা সরাসরি ট্রেন চলাচল বাস্তবায়ন করবো। এভাবেই অনেক কাজ  করবো, যেগুলো আমাদের না। কিন্তু রাজশাহীর সন্তান হিসেবে কাজগুলো আমাদের করতে হবে।

লিটন বলেন, বাংলাদেশের মধ্যে রাজশাহী ইতোমধ্যে একটা ভালো স্থান পেয়েছে। সুন্দর শহর, আলোয় ঝলমলে শহর,পরিস্কার-পরিচ্ছন্ন ঝকঝকে-তকতকে সবুজ শহর, স্বাস্থ্যসেবার শহর, সবই করেছি। কিন্তু গত ৫ বছরে সবই প্রায় নষ্টের পথে। বিবর্ণ শহর, ভাঙাচোরা রাস্তাঘাট-এই অবস্থায় তো আমি রেখে যাইনি। এখন আগামী ৫ বছরে ১৫ বছরের কাজ করতে হবে। এটি করতে আমি রাজি আছি। এ জন্য সবার সহযোগিতা চাই।

সিটি করপোরেশনের রাজস্ব বাড়ানো হবে জানিয়ে মেয়র বলেন, এখন রাজশাহী সিটি করপোরেশনের বার্ষিক আয় প্রায় ৫০ কোটি টাকা। এতো পুরনো একটি সিটি করপোরেশনের বার্ষিক আয় এতো কম, তা হতে পারে না। আমাদের দক্ষ কাউন্সিলর ও কর্মকর্তারা আছেন। তারা খুঁজে বের করবেন কীভাবে সিটি আয় বাড়ানো যায়। আগামী পাঁচ বছর পর যখন আমি দায়িত্ব ছাড়বো, তখন সিটি কর্পোরেশনের বার্ষিক আয়ের টার্গেট হবে ২০০ কোটি টাকা।

অনুষ্ঠানে কাউন্সিলর শরিফুল ইসলাম বাবুর সঞ্চালনায় আরও বক্তব্য রাখেন মেয়র পত্নী ও মহানগর আওয়ামী লীগের সিনিয়র সহ-সভাপতি শাহীন আকতার রেনী, রাসিকের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা শাহ মোমিন, কাউন্সিলর আব্দুল হামিদ সরকার টেকন প্রমুখ।  

বাংলাদেশ সময়: ২১২৪ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ১২, ২০১৮
এসএস/এএইচ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।