ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১২ বৈশাখ ১৪৩১, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১৫ শাওয়াল ১৪৪৫

জাতীয়

হাসপাতালের বর্জ্য রাস্তায়, দুর্ভোগে রোগী-পথচারীরা

| বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৯৩০ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ১২, ২০১৮
হাসপাতালের বর্জ্য রাস্তায়, দুর্ভোগে রোগী-পথচারীরা হাসপাতালের পাশেই ময়লার ভাগাড়। ছবি: বাংলানিউজ

ব্রাহ্মণবাড়িয়া: ব্রাহ্মণবাড়িয়া ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেলা সদর হাসপাতালের সামনে রাস্তার পাশে প্রতিনিয়ত ফেলা হচ্ছে হাসপাতালের বর্জ্য। ছোট পরিসরে নির্দিষ্ট জায়গায় ডাস্টবিন থাকলেও সব ময়লা ফেলা হচ্ছে রাস্তা জুড়ে। 

সরেজমিন দেখা যায়, হাসপাতালের প্রধান ফটক দিয়ে প্রবেশ করার সময় উত্তর পাশে চোখে পড়বে ময়লার ভাগাড়টি। ভাগাড় থেকে ১০ গজ দূরে চলছে হাসপাতালের সেবা কার্যক্রম।

এতে হাসপাতালে সেবা নিতে আসা রোগীসহ পার্শ্ববর্তী সড়ক দিয়ে চলাচলকারী পথচারীরা চরম দুর্ভোগ পোহাচ্ছে। সঠিক বর্জ্য ব্যবস্থাপনা না থাকার কারণে বর্জ্যে দূষিত হচ্ছে এখানকার পরিবেশ। তবুও যেন হাসপাতাল কৃর্তপক্ষ দেখেও না দেখার ভান করছে।

এদিকে ওই রাস্তা দিয়েই জেলা শহরের প্রধান সড়ক, রাস্তা পেরিয়ে সরকারি মহিলা কলেজ, মা ও শিশু কল্যাণ কেন্দ্র, বিভিন্ন বেসরকারি প্রাইভেট ক্লিনিকসহ দোকান পাট রয়েছে। এসব বর্জ্য সঠিকভাবে অপসারণ না করায় পরিবেশের মারাত্মক ক্ষতি হচ্ছে। পাশাপাশি মানুষের মধ্যে রোগ-জীবাণুও ছড়াচ্ছে।

রাস্তায় পাশেই ফেলা হচ্ছে হাসপাতালের বর্জ্য।  ছবি: বাংলানিউজ

হাসপাতালে সেবা নিতে আসা রোগী স্বজন মনির মিয়া বাংলানিউজকে বলেন, দুর্গন্ধের কারণে নিঃশ্বাস যেন বন্ধ হয়ে আসে। জেলার প্রধান হাসপাতালের অবস্থা যদি এমন হয় তাহলে আমরা কিভাবে ভালো সেবা নিব।

আখাউড়া উপজেলা থেকে ফয়জুল হক তার মেয়েকে নিয়ে সদর হাসপাতালে এসেছেন ডাক্তার দেখানোর জন্য। তিনি আপেক্ষ করে বাংলানিউজকে বলেন, রাস্তার সামনে দাঁড়িয়ে থেকে দুর্গন্ধ সহ্য করা যায় না। এছাড়া সেখান থেকে অনেক রোগ জীবাণুও ছড়ায়।

ওই রাস্তা দিয়ে যাতায়াতকারী পথচারী নুরুল আমিন বাংলানিউজকে বলেন, প্রতিদিন এ সড়ক দিয়ে আমি যাতায়াত করি। বর্জ্যের দুর্গন্ধের কারণে নাকে রুমাল চেপে চলেতে হয়। এছাড়া যখন ময়লা পৌরসভার গাড়িতে তোলে তখন গন্ধ প্রকট আকারে চারপাশে ছড়িয়ে পড়ে।  

এ বিষয়ে জেলা সদর হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. শওকত হোসেন বাংলানিউজকে বলেন, এ বিষয়ে আমি পৌরসভা কর্তৃপক্ষের সঙ্গে অনেকবার কথা বলেছি। তারপরও কোনো কাজ হয়নি। বিষয়টি স্থায়ী সমাধানের জন্য হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে।

বাংলাদেশ সময়: ১৪৫৯ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ১২, ২০১৮
এনটি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।