ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১২ বৈশাখ ১৪৩১, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১৫ শাওয়াল ১৪৪৫

জাতীয়

তিস্তায় পানি বৃদ্ধি, ভেঙে গেছে বাঁধ-অ্যাপ্রোচ সড়ক

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০১৫২ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ১২, ২০১৮
তিস্তায় পানি বৃদ্ধি, ভেঙে গেছে বাঁধ-অ্যাপ্রোচ সড়ক ভারী বর্ষণ ও উজানের ঢলে তিস্তার পানি বৃদ্ধি

নীলফামারী: ভারী বর্ষণ ও উজানের ঢলে সোমবার (১০ সেপ্টেম্বর) রাত থেকে নীলফামারীর ডিমলা উপজেলার ডালিয়া পয়েন্টে তিস্তার পানি বৃদ্ধি পেয়ে বিপদসীমার ২০ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হয়। 

মঙ্গলবার (১১ সেপ্টেম্বর) সকাল ৯টায় সেখানে নদীর পানি বিপদসীমার ২ সেন্টিমিটার ও দুপুর ১২টায় ১০ সেন্টিমিটার এবং বিকেল ৩টায় তা আরও নেমে ১৬ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। ওই পয়েন্টে পানির বিপদসীমা ৫২ দশমিক ৬০ সেন্টিমিটার।

এলাকাবাসী জানায়, নদীর পানি ক্ষণে ক্ষণে বাড়তে থাকলে জেলার ডিমলা উপজেলার পূর্বছাতনাই, খগাখড়িবাড়ি, টেপাখড়িবাড়ি, খালিশা চাঁপানী, ঝুনাগাছ চাঁপানী, গয়াবাড়ি, জলঢাকা উপজেলার, গোলমুন্ডা, ডাউয়াবাড়ি, শৌলমারী ও কৈমারী ইউনিয়নের তিস্তা নদী বেষ্টিত প্রায় ১৫টি চর গ্রামের নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়ে পড়ে। এ সময় গ্রামের স্বেচ্ছাশ্রমে নির্মিত বাঁধটি আংশিক ক্ষতিগ্রস্ত হয়।  

ডালিয়া পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) বন্যা পুর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্র সূত্র জানায়, তিস্তা ব্যারেজ পয়েন্টে নদীর পানি মঙ্গলবার সকাল ৬টায় বিপদসীমার ৮ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হয়। সকাল ৯টায় বিপদসীমার ২ সেন্টিমিটার নিচে নামে। পরে দুপুর ১২টায় সেখানে নদীর পানি বিপদসীমার ১০ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হয়।

ডিমলা উপজেলার পূর্বছাতনাই ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান আব্দুল লতিফ খাঁন বলেন, সোমবার রাতে নদীর পানি বাড়তে শুরু করলে আমার ইউনিয়নের নদী তীরবর্তী গ্রাম ঝাড়সিংহেশ্বর ও পূর্বছাতনাই গ্রামের মানুষ সতর্কাবস্থায় ছিলো। মঙ্গলবার পানি কমায় গ্রামের মানুষের মধ্যে স্বস্তি ফিরেছে।

একই উপজেলার টেপাখড়িবাড়ি ইউপি চেয়ারম্যান রবিউল ইসলাম বলেন, তিস্তা নদীর পানি বৃদ্ধি পেয়ে ইউনিয়নের পূর্বখড়িবাড়ি ও দক্ষিণখড়িবাড়ি মৌজায় পানি ঢুকে গেছে। এতে পূর্বখড়িবাড়ি গ্রামে স্বেচ্ছাশ্রমে নির্মিত বাঁধটির ৪০০ মিটার এলাকা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ক্ষতিগ্রস্ত বাঁধটির বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে (ইউএনও) জানানো হয়েছে। তিনি দ্রুত সংস্কারের পদক্ষেপ নেওয়ার কথা জানিয়েছেন।

ডালিয়া পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) নির্বাহী প্রকৌশলী মো. রফিকুল আলম চৌধুরী বলেন, সোমবার সন্ধ্যায় নদীর পানি বিপদসীমা অতিক্রম করলে ব্যারেজের ৪৪টি গেট খুলে রাখা হয়। পরিস্তিতি স্বাভাবিক আছে, কোনো ক্ষয়-ক্ষতির খবর পাওয়া যায়নি।

এ বিষয়ে ডিমলা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মোছা. নাজমুন নাহার বাংলানিউজকে বলেন, সোমবার রাতে পানি বাড়লেও মঙ্গলবার নদীর পানি বিপদসীমার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। তেমন কোনো ক্ষয়-ক্ষতির খবর নেই। তবে পানি বৃদ্ধির ফলে টেপাখড়িবাড়ি ইউনিয়নে স্বেচ্ছাশ্রমে নির্মিত বাঁধটির সামান্য কিছু ক্ষতি হয়েছে। ক্ষতিগ্রস্ত স্থানে বালির বস্তা ফেলে বাঁধটি সংস্কারের প্রস্ততি চলছে।

বাংলাদেশ সময়: ২১৫০ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ১১, ২০১৮
এসআরএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
welcome-ad