ঢাকা, শুক্রবার, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫

জাতীয়

ডাকে আসছে ‘খাত’

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৭৪০ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ১১, ২০১৮
ডাকে আসছে ‘খাত’ সিআইডি কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে ‘খাত’ দেখানো হচ্ছে

ঢাকা: দেশের ভেতরে মাদক পাচারে বিভিন্ন সময় কুরিয়ার সার্ভিসের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান ব্যবহারের কথা জানা গেছে। তবে এবার বিদেশ থেকে মাদক আমদানিতে খোদ ডাক বিভাগ ব্যবহারের প্রমাণ পাওয়া গেছে।

হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের জিপিও বৈদেশিক পার্সেল শাখা থেকে নতুন মাদক নিউ সাইকোট্রফিক সাবসটেনসেস (এনপিএস) বা খাতের বড় একটি চালান জব্দ করেছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)।

গত ৯ সেপ্টেম্বর (রোববার) শাহজালাল বিমানবন্দরের কার্গো এলাকায় অভিযান চালিয়ে প্রায় ১৬০০ কেজি খাত জব্দ করা হয়।

ইথিওপিয়া থেকে দেশের ২০টি ঠিকানায় ‘গ্রিন টি’ নামে খাতগুলো আনা হয়েছিল। যার আনুমানিক বাজার মূল্য দুই কোটি ৩৭ লাখ ৯৫ হাজার ৪০০ টাকা।

মঙ্গলবার (১১ সেপ্টেম্বর) রাজধানীর মালীবাগে সিআইডি কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা জানান সিআইডির ডিআইজি মো. শাহ আলম।

তিনি বলেন, গোপন তথ্যের ভিত্তিতে ৯ সেপ্টেম্বর সিআইডির অতিরিক্ত বিশেষ পুলিশ সুপার রাজীব ফারহানের নেতৃত্বে একটি টিম বিমানবন্দরের কার্গো এলাকায় অভিযান চালায়। এ সময় জিপিও'র বৈদেশিক পার্সেল শাখা থেকে ৯৬টি কার্টন ভর্তি প্রায় ১৬০০ কেজি খাত জব্দ করা হয়।

খাতের চালানটি ডাক বিভাগকে ব্যবহার করে ইথিওপিয়া থেকে বাংলাদেশের ২০টি প্রতিষ্ঠানের নামে আসে। সেসব নাম বা প্রতিষ্ঠানগুলোর বিরুদ্ধে ১০ সেপ্টেম্বর পল্টন থানায় একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে।

ডিআইজি শাহ আলম আরো বলেন, মাত্র মামলাটি রুজু করা হয়েছে। এটি অঙ্কুরিত অবস্থায় রয়েছে। আশা করছি তদন্তে এর সঙ্গে জড়িত দেশি-বিদেশি চক্রটিকে আমরা শনাক্ত করে আইনের আওতায় আনতে পারবো।

এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, যে ঠিকানাগুলো দেওয়া হয়েছে সেগুলো সঠিক কি না তা যাচাই-বাছাই করা হচ্ছে। যেহেতু এগুলো পোস্টঅফিসের মাধ্যমে এসেছে, কোনো বহনকারী নেই। তবে যারাই জড়িত থাকবে কাউকে ছাড় দেওয়া হবে না।

এর আগে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদফতর এবং কাস্টমস ‘খাত’ জব্দ করেছে। সেই মামলার বিষয়গুলো সিআইডি দেখবে কি না জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমরা প্রয়োজনে গোয়েন্দা তথ্য বিনিময় করে কাজ করতে পারবো।

খাত পানিতে গুলিয়ে অথবা চিবিয়ে সেবন করার পাশাপাশি ইয়াবার কাঁচামাল হিসেবে ব্যবহৃত হয় বলেও ধারণা করছে সিআইডি।

সিআইডি'র এক কর্মকর্তা বলেন, যে ঠিকানায় এসেছে তার কয়েকটি ভুয়া বলে প্রমাণ পেয়েছি। যে ফোন নম্বরগুলো দেওয়া ছিল সেগুলোও বন্ধ পাওয়া গেছে।

বাংলাদেশ সময়: ১৩৩৬ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ১১, ২০১৮
পিএম/জেডএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।