ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ৫ বৈশাখ ১৪৩১, ১৮ এপ্রিল ২০২৪, ০৮ শাওয়াল ১৪৪৫

জাতীয়

মা ও দুই সন্তানের মরদেহ উদ্ধারের ঘটনায় মামলা

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১১২৪ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ২, ২০১৮
মা ও দুই সন্তানের মরদেহ উদ্ধারের ঘটনায় মামলা

হবিগঞ্জ: হবিগঞ্জের মাধবপুরে দুই সন্তানের গলা কাটা ও মায়ের গলায় ফাঁস দেওয়া মরদেহ উদ্ধারের ঘটনায় সাতজনকে আসামি করে  মামলা দায়ের করা হয়েছে।

শনিবার (১ সেপ্টেম্বর) দিবাগত রাতে নিহত হাদিসার বাবা শামীম মিয়া বাদী হয়ে মামলাটি দায়ের করেন।  

মাধবপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) চন্দন কুমার মামলা দায়েরের কথা স্বীকার করে জানান, পুলিশ আসামিদের গ্রেফতারের চেষ্টা করছে।

 

এদিকে এই হত্যাকাণ্ডকে পরিকল্পিত এবং পারিবারিক কলহের জের ধরে হয়েছে বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করছে পুলিশ।  

মাধবপুর সার্কেলের সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার এএসএম রাজু আহমেদ জানান, বিশেষজ্ঞ মতামত ছাড়া এর বেশি কিছু বলা যাবে না। তিনি স্বল্প সময়ের মধ্যে ঘটনার রহস্য উদঘাটনে আশাবাদ ব্যক্ত করেন। তদন্তের স্বার্থে আসামিদের নাম বলা যাবে না বলেও জানান তিনি।

মরদেহগুলোর সুরতহাল এবং ময়নাতদন্ত প্রতিবেদনে সন্তানদের পাশাপাশি হাদিসাকে হত্যা করা হয়েছে বলে প্রাথমিকভাবে প্রমাণ পাওয়ার পর হাদিসার স্বামী মুজিবুর রহমান মজিদের প্রতি সন্দেহ আরো ঘনিভূত হচ্ছে। এলাকাবাসী ও স্বজনদের সন্দেহের তীর স্বামীর দিকেই। ঘটনার পর থেকে মুজিবুর রহমান পলাতক থাকায় এ সন্দেহ আরো তীব্র আকার ধারণ করেছে। পুলিশ বলছে স্বামীকে গ্রেফতার করতে পারলেই সব খোলাসা হবে।

শনিবার সন্ধ্যায় ময়নাতদন্ত শেষে মরদেহ তিনটি তাদের স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হলে রাতে তাদের হাদিসার বাবার বাড়ি ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার বিজয়নগর উপজেলার এনা গ্রামে দাফন করা হয়।

নিজনগর গ্রামের লোকজন বলেছেন স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে কলহকে কেন্দ্র করে একাধিবার সালিশ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে। বিয়ের কিছুদিন পর থেকেই তাদের মধ্যে বনিবনা হচ্ছিল না। মজিদের উগ্রমেজাজের কারণে সামান্য বিষয়েই ঝগড়া-ঝাটি লেগেই থাকত। মজিদ প্রায়ই তার স্ত্রীকে মারধর করত। তিনদিন আগেও মজিদ তার শাশুড়ির সামনে হাদিছাকে মারধর করেন।

শুক্রবার রাত ১১টার দিকে মাধবপুর উপজেলার ধর্মঘর ইউনিয়নের নিজনগর গ্রামে ব্যবসায়ী মুজিবুর রহমান মজিদের ঘরে কোনো সাড়াশব্দ না পেয়ে আশপাশের লোকজন এগিয়ে ঘরের দরজা বন্ধ দেখতে পান। পরে ডাকাডাকি করলেও কারো কোনো সাড়া মেলেনি। একপর্যায়ে তারা উঁকি দিয়ে দেখতে পান ঘরের ভেতর গলায় ফাঁস লাগানো অবস্থায় হাদিছা বেগমের মরদেহ পড়ে রয়েছে। আর খাটে তার আড়াই বছর বয়সী শিশু মিম আক্তারের গলা কাটা মরদেহ পড়ে রয়েছে।  

পরে স্থানীয় লোকজন পেছন দিকে গেলে অপর একটি তালাবদ্ধ কক্ষে সাত মাস বয়সী মোজাহিদ মিয়ারও গলা কাটা মরদেহ পড়ে থাকতে দেখেন। এ দৃশ্য দেখে তারা মাধবপুর থানা পুলিশকে খবর দিলে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে মরদেহগুলো উদ্ধার করে।  

বাংলাদেশ সময়: ১৭১৯ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ০১, ২০১৮
আরএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।