ঢাকা, শনিবার, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৭ শাওয়াল ১৪৪৫

জাতীয়

বড়পুকুরিয়া খনির ‘সিস্টেম লস’ নিরূপণে বিশেষজ্ঞ কমিটি 

| বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০০২৬ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ১, ২০১৮
বড়পুকুরিয়া খনির ‘সিস্টেম লস’ নিরূপণে বিশেষজ্ঞ কমিটি  বড়পুকুরিয়া কোল মাইনিং কোম্পানি

পার্বতীপুর (দিনাজপুর): দিনাজপুরের পার্বতীপুরে বড়পুকুরিয়া খনিতে কয়লার পদ্ধতিগত লোকসান (সিস্টেম লস) নিরূপণের জন্য পেট্রোবাংলার পরিচালক (পিএসসি) মাহবুব ছরোয়ারকে আহ্বায়ক করে সাত সদস্যের একটি বিশেষজ্ঞ কারিগরি কমিটি গঠন করা হয়েছে। 

শুক্রবার (৩১ আগস্ট) রাতে পেট্রোবাংলার পরিচালক (প্রশাসন) মোস্তফা কামাল বাংলানিউজকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। কয়লা উধাও/পদ্ধতিগত লোকসান ঘটনা তদন্তে এর আগে তিনটি কমিটি গঠন করা হলেও বিশেষজ্ঞ কারিগরি কমিটি এটিই প্রথম।

বাংলাদেশ তেল, গ্যাস ও খনিজ সম্পদ করপোরেশন (পেট্রোবাংলা) উচ্চ পর্যায়ের এ বিশেষজ্ঞ কারিগরি কমিটি গঠন করেছে।

কমিটির অপর সদস্যরা হলেন- ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভূতত্ত্ব বিভাগের অধ্যাপক চৌধুরী কামরুজ্জামান, শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের পেট্রোলিয়াম অ্যান্ড মাইনিং ইঞ্জিনিয়ারিং (পিএমই) বিভাগের অধ্যাপক ড. মো. শফিকুল ইসলাম, পেট্রোবাংলার সাবেক পরিচালক (খনি ও খনিজ/পরিকল্পনা) মকবুল-ই-ইলাহী, পিজিসিএল’র সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক একেএম শামসুদ্দীন, বাংলাদেশ ভূতাত্ত্বিক জরিপ অধিদপ্তরের পরিচালক (ভূতত্ত্ব) মো. আলী আকবর এবং কমিটির সদস্য সচিব পেট্রোবাংলার মহাব্যবস্থাপক (ইঞ্জিনিয়ারিং) এসএম হাবিবুর রহমান।  

পেট্রোবাংলার পরিচালক (প্রশাসন) মোস্তফা কামাল ২৮ আগস্ট স্বাক্ষরিত পত্রে বলা হয়েছে, কমিটি বড়পুকুরিয়া কোল মাইনিং কোম্পানি লিমিটেডের (বিসিএমসিএল) কয়লা উত্তোলন থেকে সরবরাহ পর্যন্ত সিস্টেম লস আছে কিনা এবং থাকলে কি পরিমাণ হতে পারে তা নির্ধারণ করে মতামত/পরামর্শ দেবে। ১০ কার্য দিবসের মধ্যে কমিটিকে এ বিষয়ে মতামত/পরামর্শসহ পেট্রোবাংলার চেয়ারম্যানের কাছে প্রতিবেদন দিতে বলা হয়েছে।

কয়লার অভাবে বড়পুকুরিয়া ৫২৫ মেগাওয়াট তাপ বিদ্যুৎকেন্দ্র বন্ধ হওয়ার দ্বারপ্রান্তে উপনীত হলে ১৯ জুলাই খনির ইয়ার্ড থেকে প্রায় ২৩০ কোটি টাকার প্রায় ১ লাখ ৪৫ হাজার টন কয়লা উধাও/পদ্ধতিগত লোকসান হওয়ার ঘটনাটি ধরা পড়ে। এ ঘটনায় বড়পুকুরিয়া কোল মাইনিং কোম্পানি লিমিটেডের (বিসিএমসিএল) ব্যবস্থাপনা পরিচালক প্রকৌশলী হাবিব উদ্দিন আহমদ, মহাব্যবস্থাপক (মাইন অপারেশন) নুরুজ্জামান চৌধুরী ও উপ-মহাব্যবস্থাপক (স্টোর) খালেদুল ইসলামকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়।

খনির কোম্পানি সচিব ও মহাব্যবস্থাপক (প্রশাসন) আবুল কাশেম প্রধানিয়াকে পশ্চিমাঞ্চল গ্যাস কোম্পানি লিমিটেড সিরাজগঞ্জে বদলি করা হয়। খনির এই চার উচ্চপদস্থ কর্মকর্তাসহ ১৯ কর্মকর্তার নামে দুর্নীতি দমন আইনে ২৪ জুলাই পার্বতীপুর মডেল থানায় একটি মামলা দায়ের করেন বিসিএমসিএল এর ব্যবস্থাপক (প্রশাসন) আনিছুর রহমান। মামলাটি তদন্ত করছেন দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) ঢাকার উপ-পরিচালক শামসুল আলম।  

দুদক খনির সাবেক দুই ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. কামরুজ্জামান ও আমিনুজ্জামান এবং মামলায় অভিযুক্ত ১৯ কর্মকর্তাসহ ২১ কর্মকর্তার দেশ ত্যাগে নিষেধাজ্ঞা জারি করে। গত ৩০ আগস্ট পর্যন্ত দুদক কয়লা খনির সাবেক ও বর্তমান ৩০ কর্মকর্তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করেছে।

বাংলাদেশ সময়: ০৬২৩ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ০১, ২০১৮
এএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

জাতীয় এর সর্বশেষ