ঢাকা, শুক্রবার, ১৯ বৈশাখ ১৪৩১, ০৩ মে ২০২৪, ২৩ শাওয়াল ১৪৪৫

জাতীয়

নারিকেলের ছোবড়ায় সৌখিন পণ্য

| বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১১৩৮ ঘণ্টা, আগস্ট ৩১, ২০১৮
নারিকেলের ছোবড়ায় সৌখিন পণ্য নারিকেলের ছোবড়া প্রক্রিয়া করে ব্যবহার উপযোগী করছেন এক ব্যবসায়ী

লক্ষ্মীপুর: লক্ষ্মীপুরে প্রতিবছরই নারিকেলের বাম্পার ফলন হয়। এখানকার নারিকেল দেশের চাহিদার বিশাল অংশের যোগান দেয়। উপকারী নারিকেল থেকে তৈরি হয় মুখরোচক খাবার ও তেল। আবার এর ছোবড়া জ্বালানি ছাড়াও জাজিম, পাপোস, রশি, সোফা ও চেয়ারের গদিসহ বিভিন্ন ধরনের সৌখিন ও প্রয়োজনীয় পণ্য তৈরিতে ব্যবহার হয়। এসব তৈরিতে যথাযথ বিকল্প উপকরণ না থাকায় নারিকেলের ছোবড়ার বেশ কদর।

জেলার সবচেয়ে বড় নারিকেলের হাট সদর উপজেলার দালাল বাজার। এখানে রয়েছে নারিকেলের বেশ কয়েকটি আড়ৎ।

প্রতিদিনই খোসা ছাড়িয়ে সড়ক ও নৌপথে ঢাকা-চট্টগ্রামসহ দেশের বিভিন্ন জেলায় যায় এখানকার নারিকেল।  

কেবল নারিকেলই নয় এখানে ছোবড়াকে ঘিরেও গড়ে উঠেছে লাভজনক ব্যবসা। ওই এলাকায় গড়ে উঠেছে অন্তত ছোট-বড় ১৫ থেকে ২০টি ছোবড়া প্রক্রিয়ার কারখানা। এসব কারখানায় প্রতিদিন কয়েক টন ছোবড়াকে আঁশে পরিণত করা হয়। ব্যাপক চাহিদা থাকায় রায়পুর, রামগতি, কমলনগর ও লক্ষ্মীপুর সদর উপজেলার বিভিন্ন স্থানে ৫০টিরও বেশি ছোবড়া প্রক্রিয়াকরণ ও ব্যবসা গড়ে উঠেছে। এতে শত শত লোকের কর্মসংস্থানেরও সৃষ্টি হয়েছে।

প্রয়োজনীয় পণ্য তৈরি করতে প্রথমে নারিকেলের ছোবড়াকে প্রক্রিয়া করতে হয়। মেশিনের সাহায্যে বের করা হয় আঁশ। এটি করতে আলাদাভাবে প্রশিক্ষণের প্রয়োজন হয় না। যে কারণে সহজেই অল্প পুজিঁর মাধ্যমে এ ব্যবসা শুরু করা যায়।  

জানা গেছে, নারিকেলের ছোবড়া দিয়ে খুব সহজ প্রযুক্তিতে বিভিন্ন পণ্য তৈরি  করা যায়। এটি সহজলভ্য, দামেও সস্তা। ছোবড়া পিস ও মণে বিক্রি হয়ে থাকে। আর ছোবড়া থেকে তৈরি সৌখিন ও আরামদায়ক পণ্য দেশের চাহিদা মিটিয়ে বিদেশে রপ্তানি করে বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন সম্ভব।

লক্ষ্মীপুর সদর উপজেলার দালাল বাজারের ব্যবসায়ী শাহ আলম জানান, তিনি দুই যুগেরও বেশি সময় ধরে নারিকেলের ব্যবসা করে আসছেন। আগে নারিকেলের খোসা জ্বালানি হিসেবে ব্যবহার করা হতো। বর্তমানে জাজিম, পাপোস, রশি, সোফাসহ প্রয়োজনীয় পণ্য তৈরিতে ব্যবহার হয়ে আসছে। যে কারণে গত কয়েক বছর থেকে ছোবড়ার ব্যাপক চাহিদা বেড়েছে। এখন নারিকেল ও ছোবড়া আলাদা বিক্রি করেন। তাতে তার লাভও বেশি হয়।

একই এলাকার আবদুর রব বলেন, তিনি প্রতি পিস ছোবড়া ৫০ পয়সা থেকে এক টাকায় কেনেন। মেশিনের সাহায্যে ছোবড়া থেকে আঁশ বের করে প্রতি মণ ৬০০ টাকা দরে বিক্রি করেন। সপ্তাহে তিনি ৪ থেকে ৮ ট্রাক ছোবড়া বিক্রি করেন। সব খরচ শেষে মাসে তার ২৫ থেকে ৩০ হাজার টাকা আয় হয়।  

বাংলাদেশ সময়: ১৭৩৪ ঘণ্টা, আগস্ট ৩১, ২০১৮
এসআর/জেডএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।