ঢাকা, শুক্রবার, ১২ বৈশাখ ১৪৩১, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫

জাতীয়

‘সপ্তাহে দুইবার সোনার চালান যেতো বেনাপোলে’

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৪৩০ ঘণ্টা, আগস্ট ২৯, ২০১৮
‘সপ্তাহে দুইবার সোনার চালান যেতো বেনাপোলে’ আটকদের ব্রিফিংয়ে হাজির করা হয়। ছবি: বাংলানিউজ

ঢাকা: আন্তর্জাতিক স্বর্ণ চোরাচালানের একটি চক্র বাংলাদেশকে রুট হিসেবে ব্যবহার করে। চক্রটি সংযুক্ত আরব আমিরাতের দুবাইসহ মধ্যপ্রাচ্য থেকে আনা স্বর্ণ বাংলাদেশ হয়ে ভারতে পাচার করে আসছে।

রাজধানীতে পাঁচ স্বর্ণ চোরাচালানি গ্রেফতারের পর বুধবার (২৯ আগস্ট) বিকেলে কারওয়ানবাজারে র‌্যাব মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা জানানো হয়।  

এর আগে মঙ্গলবার (২৮ আগস্ট) দিনগত রাতে রাজধানীর গাবতলী এলাকায় অভিযান চালিয়ে চোরাচালন চক্রের পাঁচ সদস্যকে আটক করে র‌্যাব-২।

আটকরা জানিয়েছেন, সপ্তাহে দুইবার ঢাকা থেকে বেনাপোলে স্বর্ণের চালান নিয়ে যেতেন তারা।  

আটকরা হলেন, রেজাউল (৩৫), ওলিয়ার (৫০), ওলিয়ার রহমান (৩০), ওহিদুল ইসলাম (৩৪) ও বিল্লাল (৩৫)।

সংবাদ সম্মেলনে র‌্যাবের লে. কর্নেল আনোয়ার উজ জামান জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে গাবতলীতে অভিযান চালিয়ে বেনাপোলগামী ঈগল পরিবহনের কাউন্টার থেকে ৫ জনকে আটক করা হয়। পরে তাদের জুতার ভেতর থেকে ৯৬টি সোনার বার উদ্ধার করা হয়। প্রতিটি বারের ওজন ১১৬ গ্রাম। ওই হিসেবে সব মিলিয়ে মোট ১১ কেজি ১৩৬ গ্রাম স্বর্ণের বাজার মূল্য প্রায় সাড়ে চার কোটি টাকা।

আটকদের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদের কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, এদের একজনের বাড়ি যশোরের ঝিকরগাছা বাকি চারজনের বাড়ি বেনাপোলে। তারা প্রতি সপ্তাহে ঢাকা থেকে দুইবার চালান নিয়ে বেনাপোলে পৌঁছে দিতেন। প্রতিবার বেনাপোলে চালান পৌঁছে দিলে প্রতিজন পাঁচ হাজার টাকা পারিশ্রমিকসহ দুই হাজার টাকা যাতায়ত খরচ পেতেন।  

সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, স্বর্ণগুলো দুবাইসহ মধ্যপ্রাচ্যের বিভিন্ন দেশ থেকে ঢাকায় আসে। এরপর তারা ঢাকা থেকে বেনাপোলে স্বর্ণগুলো নিয়ে যেতেন। সেখান থেকে এ চক্রটির অন্যরা স্বর্ণগুলো রিসিভ করে ভারতে নিয়ে যেতো।

র‌্যাবের ওই কর্মকর্তা আনোয়ার উজ জামান বলেন, একেক সময় ঢাকার একেক জায়গা থেকে স্বর্ণগুলো রিসিভ করা হতো। তবে বেশিরভাগ সময় পুরান ঢাকা থেকে স্বর্ণগুলো রিসিভ করতো তারা। পুরান ঢাকা থেকে একজন তাদের স্বর্ণভরা জুতাগুলো সরবরাহ করতো, তারপর তারা সেসব জুতা পড়ে বেনাপোলে যেতো। বেনাপোল পৌঁছার পর একজন ফোন দিয়ে তাদের কাছ থেকে স্বর্ণগুলো রিসিভ করতো।

তিনি জানান, আটকরা মূলত স্বর্ণের বাহক। তারা একে অপরকে চিনে ও এদের মধ্যে ওলিয়ার রহমান ও বিল্লাল সম্পর্কে শালা-দুলাভাই।

‘যিনি স্বর্ণগুলো তাদের সরবরাহ করতেন এবং যিনি রিসিভ করতেন তাদের বিষয়ে কিছু তথ্য পেয়েছি। বেশকিছু ফোন নম্বর পেয়েছি আমরা। গডফাদারদের আইনের আওতায় আনতে আমাদের তৎপরতা অব্যাহত রয়েছে। ’

এ বিষয়টি র‌্যাবের জন্য ব্যতিক্রম উল্লেখ করে লে. কর্নেল আনোয়ার উজ জামান বলেন, র‌্যাব সাধারণত জঙ্গি ও মাদক বিষয়ের মামলাগুলো তদন্ত করে থাকে। এ মামলাটিও আমরা গ্রহণ করবো। বিমানবন্দরের কেউ জড়িত কি না তদন্তের পর বিস্তারিত জানা যাবে।

বাংলাদেশ সময়: ২০১৭ ঘণ্টা, আগস্ট ২৯, ২০১৮
পিএম/এমএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।