ঢাকা, বুধবার, ১১ বৈশাখ ১৪৩১, ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ শাওয়াল ১৪৪৫

জাতীয়

বাঙালি জাতির মর্যাদা বঙ্গবন্ধুর কৃতিত্ব

ফিচার রিপোর্টার | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৫৫৭ ঘণ্টা, আগস্ট ২৮, ২০১৮
বাঙালি জাতির মর্যাদা বঙ্গবন্ধুর কৃতিত্ব

ঢাকা: স্বাধীনতার পর পুরো বিশ্বে বাংলাদেশের স্বীকৃতি অর্জনের পাশাপাশি বাঙালিকে একটি মর্যাদাবান জাতি হিসেবে পরিচিত করার কৃতিত্বটি বঙ্গবন্ধুর প্রাপ্য। তাই বাংলাদেশের বঙ্গবন্ধুর দেশ নির্মাণ পর্ব ইতিহাসের একটি অবিচ্ছেদ্য ও অবশ্যপাঠ্য অধ্যায়। 

মঙ্গলবার (২৮ আগস্ট) জাতীয় জাদুঘরের কবি সুফিয়া কামাল মিলনায়তনে ‘বঙ্গবন্ধু ও সুশাসন’ শীর্ষক সেমিনারে মূল প্রবন্ধ পাঠের সময় এমনটাই বলেন সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সাবেক সচিব মো. ইব্রাহিম হোসেন খান।  

অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সাবেক মুখ্য সচিব ড. কামাল আবদুল নাসের চৌধুরী।

সভাপতিত্ব করেন সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. নাসির উদ্দিন আহমেদ।

ইব্রাহিম হোসেন খান বলেন, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বাংলাদেশের স্থপতি। তার এ বিশেষণটি নিছক বাংলাদেশের স্বাধীনতা আন্দোলনকে সংগঠিত করা, নেতৃত্ব দেওয়া এবং একটি রক্তক্ষয়ী মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে বাংলাদেশের অভ্যুদয় ঘটানোর মধ্যে সীমাবদ্ধ নয়। মুক্তিযুদ্ধে সারা দেশে পাকিস্তানিবাহিনীর চালানো নৃশংস হত্যাযজ্ঞ ও ব্যাপক ধ্বংসযজ্ঞের পর জনসাধারণের কাছে জরুরি ও মানবিক সাহায্য পৌঁছানো, ধ্বংসপ্রাপ্ত অবকাঠামো পুনর্নির্মাণ, আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির উন্নয়ন ঘটানোর পাশাপাশি একটি স্বাধীন দেশের জন্য প্রয়োজনীয় অবকাঠামো তৈরি, আইন প্রণয়ন, গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা এবং উন্নয়ন পরিকল্পনা প্রণয়নের কাজটিও তিনি করেছেন।

ড. কামাল আবদুল নাসের চৌধুরী বলেন, বাংলাদেশে আজ অবধি বঙ্গবন্ধুই একমাত্র নেতা যিনি সত্যিকার অর্থে গণতান্ত্রিক মূল্যবোধ ধারণ করতেন। বঙ্গবন্ধুর নির্ভরতা ছিল দেশের আপামর জনগণ। তিনি জনগণের উপর নির্ভর করেছেন।  

অনুষ্ঠানের শুরুতে স্বাগত বক্তব্যে জাদুঘরের মহাপরিচালক আব্দুল মান্নান ইলিয়াস বলেন, বঙ্গবন্ধু আমাদের স্বাধীনতা এনে দিয়েছেন। ৭২-এ দেশে ফেরার পরপরই তিনি দেশের উন্নয়নের জন্য ব্যস্ত হয়ে পড়েন। তার সময়কাল ছিল খুবই স্বল্প, কিন্তু এই স্বল্প সময়ে তিনি ভিত্তি দাঁড় করিয়েছিলেন বর্তমান বাংলাদেশের।

সভাপতির বক্তব্যে মো. নাসির উদ্দিন আহমেদ বলেন, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান সারা জীবন সংগ্রাম করেছেন একটি সুখী-সমৃদ্ধ, গণতান্ত্রিক, ন্যায়ভিত্তিক বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে। দেশের মানুষের রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক মুক্তিই ছিল তার ধ্যানজ্ঞান ও সাধনা।

বাংলাদেশ সময়: ২১৫২ ঘণ্টা, আগস্ট ২৮, ২০১৮
এইচএমএস/এনএইচটি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।