ঢাকা, শুক্রবার, ৫ বৈশাখ ১৪৩১, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ০৯ শাওয়াল ১৪৪৫

জাতীয়

সদরঘাটে ঢাকামুখী যাত্রীদের চাপ স্বাভাবিক

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৫০২ ঘণ্টা, আগস্ট ২৮, ২০১৮
সদরঘাটে ঢাকামুখী যাত্রীদের চাপ স্বাভাবিক ঢাকা ফিরছেন দক্ষিণবঙ্গের মানুষ। ছবি: বাংলানিউজ

ঢাকা: ঈদের ছুটি শেষে ঢাকামুখী যাত্রীদের চাপ স্বাভাবিক হয়েছে রাজধানীর সদরঘাট লঞ্চ টার্মিনালে। তবে দেশের দক্ষিণবঙ্গ থেকে ঢাকায় ফিরতে এসব লঞ্চে ঈদকেন্দ্রিক অতিরিক্ত ভাড়ার ভোগান্তি কমেনি বলে অভিযোগ রয়েছে যাত্রীদের।

শনিবার (২৫ আগস্ট) বেসরকারি ও রোববার (২৬ আগস্ট) সরকারি চাকরিজীবীদের কর্মদিবস শুরু হয়েছে। যে কারণে ঈদ শেষে চাকরিজীবীরা ঢাকায় ফিরেছেন আরও আগে।

আর ভিড়ের কারণে পরিবারকে পরে ঢাকায় ফেরত আনার ইচ্ছায় ছিলেন সেসব পরিবারের সদস্যরা, তারা এখন ঢাকামুখী লঞ্চগুলোর যাত্রী। যে কারণে যাত্রীবোঝাই লঞ্চ দেখা যায়নি সদরঘাটে।

মঙ্গলবার (২৮ আগস্ট) সদরঘাট লঞ্চ টার্মিনালে গিয়ে দেখা যায়, ভোর ৫টা থেকে সকাল ৮টার মধ্যে বেশিরভাগ লঞ্চ ঘাটে ভিড়ে গেছে। তবে ঘাটে লঞ্চ ফেরা শুরু হয়েছে সোমবার (২৭ আগস্ট) দিবাগত রাত ৩টা থেকে বলে জানা গেছে বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ-পরিবহন (বিআইডব্লিউটিএ) কর্তৃপক্ষ সূত্রে।

বিআইডব্লিউটিএ সূত্রে আরও জানা যায়, দিবাগত রাত ৩টা থেকে সকাল ৯টা পর্যন্ত ৮০টি লঞ্চ সদরঘাটে ভিড়েছে। দুপুর ২টা পর্যন্ত আরও ১৫ থেকে ২০টি লঞ্চ আসতে পারে। তবে খুব অল্প সংখ্যক লঞ্চ ঘাটে ফেরার পরপরই আবার খালি অবস্থায় ফিরে যাচ্ছে। বেশিরভাগ আবার যাত্রী নিয়ে ফিরে যাচ্ছে।

এদিকে, ঈদের সময়ের অতিরিক্ত লঞ্চের চাপ এখনও কমেনি সদরঘাটে। যে কারণে ঘাট ব্যবস্থাপনায় বিআইডব্লিউটিএ'র কাজের চাপও কমেনি।

চাঁদপুর থেকে আসা এমভি সাতিল লঞ্চের যাত্রী ও ঢাকার এক বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী রুবেল ইসলাম বাংলানিউজকে বলেন, নদীতে পানি আর ঢেউ অনেক বেশি। কোথাও কোথাও ঘোলা বা পানির পাক রয়েছে। যে কারণে একটা ভয় ছিল। আর লঞ্চে সে পরিমাণ নিরাপত্তাজনিত জিনিসপত্র নেই। এটা চিন্তার বিষয়, কেননা লঞ্চ যেভাবে দোলে তখন ভয় লাগাটা স্বাভাবিক।

এদিকে, ঈদের মৌসুম শেষ হবার পরও অতিরিক্ত ভাড়ার অভিযোগ এখনও কমেনি বলে অভিযোগ করেছেন বেশিরভাগ যাত্রীরা।

বরগুনাগামী সুন্দরবন এক্সপ্রেসের যাত্রী মাইনুল ইসলাম বলেন, ভাড়া এখনও সর্বনিম্ন ৫০ টাকা করে বাড়তি নিচ্ছে। মূলত যার কাছ থেকে যেভাবে পারছে নিচ্ছে।

এ বিষয়ে ওই লঞ্চটির কর্মচারীরা বলেন, অতিরিক্ত ভাড়া সর্বোচ্চ বুধবার (২৯ আগস্ট) পর্যন্ত নেওয়া হবে। কারণ ঈদের চাপ একেবারেই শেষ। ঈদ ছাড়া তো আর অন্য কোনো সময়ে অতিরিক্ত ভাড়া নেই না। ঈদে আমরা কখনও বাড়ি যাইতে পারি না। কিন্তু স্বাভাবিক খরচ ছাড়াও ঈদের সময় অতিরিক্ত খরচ ঠিকই বাড়িতে পাঠানো লাগে। এ টাকাটা আমরা যাত্রীদের কাছ থেকে বোনাস হিসেবে চেয়ে নেই। তাও তো খুব বেশি না।

বাংলাদেশ সময়: ১০৫৫ ঘণ্টা, আগস্ট ২৮, ২০১৮
এমএএম/আরবি/

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।