ঢাকা, শনিবার, ৭ বৈশাখ ১৪৩১, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ১০ শাওয়াল ১৪৪৫

জাতীয়

পর্যটক হত্যাকারী বাবু মোবাইল ট্র্যাকিংয়ে গ্রেফতার

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২১৪৫ ঘণ্টা, আগস্ট ২৬, ২০১৮
পর্যটক হত্যাকারী বাবু মোবাইল ট্র্যাকিংয়ে গ্রেফতার

কক্সবাজার: কক্সবাজার শহরের কলাতলী সড়কের জাম্বুর মোড়ে ছিনতাইকারীর ছুরিকাঘাতে আবু তাহের নামের এক পর্যটক নিহত হয়। ২০১৭ সালের ১৫ ডিসেম্বরের সেই ঘটনার ৮ মাস ১০ দিন পর প্রধান হোতা ছিনতাইকারী মো. সাইফুল ইসলাম বাবুকে (২০) গ্রেফতার করেছে কক্সবাজার জেলা গোয়েন্দা পুলিশ।

শনিবার (২৫ আগস্ট) ভোররাতে মোবাইল ট্র্যাকিংয়ের মাধ্যমে চট্টগ্রামের পতেঙ্গা হতে তাকে গ্রেফতার করা হয়। রোববার (২৬ আগস্ট) বিকেলে কক্সবাজার সিনিয়র জুডিশিয়াল আদালতে ঘটনার সঙ্গে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করে জবানবন্দী দেয় বাবু।

আটক সাইফুল কক্সবাজার পৌরসভার ৯নং ওয়ার্ডের মহাজের পাড়ার মো. শাহাবুদ্দিন ও মৃত জোৎস্না বেগমের ছেলে। তাকে সন্তান হিসেবে লালন পালন করেছেন একই এলাকার নুরুল আবছার ও নুর নাহার দম্পতি।

রোববার সন্ধ্যায় বাংলানিউজকে এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন কক্সবাজার জেলা গোয়েন্দা পুলিশের পরিদর্শক ও মামলার তদন্ত কর্মকর্তা মানস বড়ুয়া।

পুলিশ সূত্র জানায়, ২০১৭ সালের ১৫ ডিসেম্বর ফেনী থেকে কক্সবাজার বেড়াতে আসেন নিহত আবু তাহের, তার চাচা মো. নূর নবী সজীব এবং প্রতিবেশী নুর উদ্দিন। তারা এসে শহরের প্রধান সড়কের ঝাউতলা এলাকার একটি হোটেলে ওঠেন। সেখান থেকে তারা সৈকতে বেড়াতে যায়।  

সৈকত থেকে ফেরার পথে জাম্বুর মোড়ে তাদের কাছে অবৈধ জিনিস রয়েছে বলে দাবি করে পথরোধ করে নম্বরপ্লেটহীন সিএনজিযোগে আসা ছিনতাইকারীরা। সেইসময় দেহ তল্লাশির নামে নিহতের চাচা একটি ওয়ালটন মোবইল লুট করে চক্রটি। এরপর আবু তাহেরের মোবাইলটি নিতে চাইলে ছিনতাইকারীদের বাধা দিলে তার বুকে ও কোমরে ছুরিকাঘাত করে চক্রটি। এরপর দু’টি সামস্যাং মোবাইল ফোন লুট করে পালিয়ে যায় তারা।  

পরে আবু তাহেরকে কক্সবাজার সদর হাসপাতাল আনা হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। এ ঘটনায় নূর নবী সজীবের বাবা বাদী হয়ে সদর থানায় একটি মামলা দায়ের করে।

এ বিষয়ে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা মানস বড়ুয়া বলেন, মামলাটি প্রথমে সদর থানা তদন্ত করে। পরে গোয়েন্দা পুলিশে হস্তান্তর করা হয়। তদন্তভার পেয়ে আমি নিহতের মোবাইল নম্বর ও সেটের আইএমও নম্বর সংগ্রহ করি। সেখান থেকে জানতে পারি ওই নম্বর থেকে ঘটনার পর বাবুর ভাই শহিদুল ইসলামের সঙ্গে কেউ একজন কথা বলেছেন। শহিদুল ইসলামকে জিজ্ঞাসাবাদ জানতে পারি ফোনের অপর প্রান্তে ছিলেন বাবু। পরে বাবুর নম্বর সংগ্রহ করি। কিন্তু বাবু অত্যন্ত ধূর্ত। সে পুলিশের চোখ ফাঁকি দিতে গত ৮ মাস ১২টি জেলায় ঘুরেছে। সবশেষে তাকে আমরা পতেঙ্গা থেকে গ্রেফতার করি।

কক্সবাজারের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) আদিবুল ইসলাম বলেন, বাবু কক্সবাজার আদালতে হত্যার সঙ্গে জড়িত বলে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছে। সেখানে সে আরও কয়েকজন ছিনতাইকারীর নাম বলেছে তদন্তের স্বার্থে আমরা তাদের পরিচয় জানাতে পারছি না।

বাংলাদেশ সময়: ০৩৪০ ঘণ্টা, আগস্ট ২৭, ২০১৮
টিটি/এনএইচটি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।