ঢাকা, শুক্রবার, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫

জাতীয়

ঢাকায় ফিরতেও কোনো ঝামেলা হবে না 

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৩২০ ঘণ্টা, আগস্ট ২২, ২০১৮
ঢাকায় ফিরতেও কোনো ঝামেলা হবে না  শুভেচ্ছা বিনিময় করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ছবি: পিআইডি

ঢাকা: সরকারের নেওয়া পদক্ষেপের কারণে ঈদযাত্রা নির্বিঘ্ন হয়েছে উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, সরকারের পদক্ষেপের কারণে মানুষ গ্রামে ফিরে প্রিয়জনদের সঙ্গে ঈদ আনন্দ ভাগাভাগি করতে পেরেছে। ঢাকায় ফেরার সময়ও কোনো ঝামেলা হবে না।

বুধবার (২২ আগস্ট) গণভবনে অতিথিদের সঙ্গে ঈদুল আজহার শুভেচ্ছা বিনিময়কালে তিনি এ কথা বলেন। এ সময় প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেন, স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী, বঙ্গকন্যাকন্যা প্রধানমন্ত্রীর বোন শেখ রেহানা এবং প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

আরো পড়ুন>>
** 
ত্যাগের মহিমা থেকে শিক্ষা নেওয়ার আহ্বান রাষ্ট্রপতির

এ সময় শান্তিপূর্ণ পরিবেশে মানুষ ঈদ উদযাপন করায় অব্যাহত প্রচেষ্টার জন্য আইন প্রয়োগকারী সংস্থাগুলোর প্রতি ধন্যবাদ জানান প্রধানমন্ত্রী।  

‘বড় কিছু পাওয়ার জন্য বড় ত্যাগ স্বীকার করা প্রয়োজন’ বঙ্গবন্ধুর এই উদ্ধৃতি স্মরণ করে শেখ হাসিনা বলেন, ‘আমি সব সময় মনে করি বঙ্গবন্ধুর পর্যবেক্ষণ সঠিক। ’

দলীয় নেতা-কর্মীদের বড় অর্জনের জন্য বড় ধরনের ত্যাগ স্বীকার করার আহ্বান জানান আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা।  

তিনি বলেন, ‘কীভাবে আত্মত্যাগ করতে হয় ঈদুল আজহা আমাদের সেই শিক্ষা দেয়। ’

শেখ হাসিনা বলেন, এই বছর শোকাবহ আগস্ট মাসে ঈদুল আজহা এসেছে, যা বঙ্গবন্ধুর শাহাদাতবরণসহ অনেক মহান ত্যাগের স্মৃতি বহন করে। এই মাসে ২০০৪ সালের ২১ আগস্ট জঘন্য গ্রেনেড হামলায় আইভি রহমানসহ আমরা আমাদের অনেক নেতা-কর্মীকে হারিয়েছে।  

বিভিন্ন বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।  ছবি: পিআইডি`১৯৭৫ সালে হত্যাকাণ্ডে শুধু আমরা দুই বোন বেঁচে আছি। আমরা জাতির পিতার স্বপ্ন পূরণের চেষ্টা করে যাচ্ছি। আর তাই আপনারা দয়া করে সর্বশক্তিমানের কাছে আমাদের জন্য, আমাদের শিশুদের জন্য দোয়া করেন। ’ 

শেখ হাসিনা বলেন, ‘আমাদের প্রধান কাজ দেশের মানুষের সেবা করা। বঙ্গবন্ধু যে সোনার বাংলাদেশের স্বপ্ন দেখতেন সেই লক্ষ্যেই কাজ করছি আমরা। ’ 

এর আগে সকালে সাড়ে ৯টায় গণভবনের ফটক অতিথিদের জন্য খুলে দেওয়া হয়। পরে সেখানে উপস্থিত অতিথিদের সঙ্গে প্রধানমন্ত্রী শুভেচ্ছা বিনিময় করেন।  

এ সময় আওয়ামী লীগের জ্যেষ্ঠ নেতা, মন্ত্রিপরিষদের সদস্যরা প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় করেন। বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতা, সাংসদ, মুক্তিযোদ্ধা, আওয়ামী লীগের সহযোগী সংগঠনগুলোর নেতা-কর্মীসহ সমাজের নানা পেশার মানুষের সঙ্গে প্রধানমন্ত্রী মতবিনিময় করেন।

এদিকে আগের মতোই গণভবনে আসা অনেকেই প্রধানমন্ত্রীর কাছে নানা অভাব অভিযোগের কথা তুলে ধরেন। তারা সমস্যা সমাধানে প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ কামনা করেন।
 
এসব অভিযোগ গ্রহণের জন্য গণভবনে একটি ডেস্ক খোলা হয়। অভিযোগ দেখে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য আশ্বস্ত করেন প্রধানমন্ত্রী।

পরে প্রধানমন্ত্রী সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি, সামরিক-বেসামরিক কর্মকর্তা এবং বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্রদূতদের সঙ্গে মতবিনিময় করেন।

বাংলাদেশ সময়: ১৯১৩ ঘণ্টা, আগস্ট ২২, ২০১৮
এমএ/

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।