ঢাকা, শুক্রবার, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫

জাতীয়

সোমবারের ট্রেন ছাড়ল মঙ্গলবার সকালে

| বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০২৪৪ ঘণ্টা, আগস্ট ২১, ২০১৮
সোমবারের ট্রেন ছাড়ল মঙ্গলবার সকালে ট্রেনে চড়ে বাড়ি যাচ্ছে নগরবাসী। ছবি: শোয়েব মিথুন

ঢাকা: ট্রেনে ঈদযাত্রার প্রথমদিন সময়মতো ট্রেন ছাড়লেও যাত্রার দ্বিতীয় দিন থেকে বিপত্তি দেখা দেয়। প্রায় প্রতিটি আন্তঃনগর ট্রেন এক থেকে চার ঘণ্টা পর্যন্ত দেরিতে রাজধানীর কমলাপুর স্টেশন থেকে ছেড়ে গেছে। সময়সূচি এলোমেলোভাবেই চলছে ট্রেন। সবচেয়ে বেশি দেরি দেখা গেছে উত্তর ও পশ্চিমাঞ্চলের ট্রেনগুলো।

সোমবার (২০ আগস্ট) রাত ১০টা ৫৫মিনিটে দিনাজপুর ঈদ স্পেশাল ছাড়ার কথা থাকলেও সেটি প্রায় নয় ঘণ্টা দেরি করে মঙ্গলবার (২১ আগস্ট) সকাল ৭টা ১৫মিনিটে কমলাপুর স্টেশন ছেড়ে যায়।

দিনের অপর আন্তঃনগর ধুমকেতু এক্সপ্রেস সকাল ৬টায় স্টেশন ছেড়ে যাওয়ার কথা থাকলেও সকাল পৌনে ৮টা পর্যন্ত স্টেশনে এসে পৌঁছায়নি।

একই অবস্থা সুন্দরবন এক্সপ্রেস, নীলসাগর  এক্সপ্রেস, দেওয়ানগঞ্জ ঈদ স্পেশালের। ট্রেনে উঠছে যাত্রীরা।                                          ছবি: শোয়েব মিথুনসকাল ৬টা ২০মিনিটে সুন্দরবন এক্সপ্রেস স্টেশন ছাড়ার কথা এখনও স্টেশনে এসে পৌঁছায়নি। নীলসাগর এক্সপ্রেস সকাল ৮টায় ছেড়ে যাওয়ার কথা থাকলেও এখনও আসেনি। এটার সম্ভাব্য সময় দেওয়া হয়েছে দুপুর ১৩টা ৫মিনিটে। এখনও স্টেশনে আসেনি সকাল ৮টা ১৫মিনিটের ট্রেন মহুয়া এক্সপ্রেস।

স্টেশন সূত্রে জানা গেছে, মঙ্গলবার মোট ৫৩টি ট্রেন কমলাপুর স্টেশন থেকে দেশের বিভিন্ন গন্তব্যের উদ্দেশে ছেড়ে যাবে। এরমধ্যে তিনটি ঈদ স্পেশাল, বাকিগুলো আন্তঃনগর, লোকাল ও মেইল সার্ভিস।

এদিকে ট্রেন দেরিতে ছাড়ায় ক্ষোভ প্রকাশ করেন ঘরমুখো যাত্রীরা।

আয়েশা নামে নীলসাগর এক্সপ্রেসের এক যাত্রী স্বামী-সন্তান নিয়ে দিনাজপুরে যাবেন। তিনি বাংলানিউজকে বলেন, মহাসড়কের যানজট আর ভাঙাচেরা রাস্তার ভোগান্তি কমাতে ট্রেনযোগে বাড়ি ফিরতে এসে এখানেও ভোগান্তিতে পড়তে। সকাল সাড়ে ৭টা থেকে স্টেশনে বসা। সকাল ৮টায় ট্রেন ছাড়ার কথা থাকলেও এখনও ট্রেন আসেনি। শুনেছি দুপুর ১২টায় ট্রেন স্টেশনে আসবে। এখন ছোট বাচ্চা নিয়ে বড় বিপদে পড়েছি।  এভাবে ঘণ্টার পর ঘণ্টা বসে অপেক্ষা করার চেয়ে বাসযোগে যাওয়ায় ভালো। সেখানে যানজট থাকলেও বাসের মধ্যে বসে থাকা যায়। কমলাপুরে ভালো টয়লেট নেই, থাকার কোনো পরিবেশ নেই।

সুন্দরবন এক্সপ্রেসের আরেক যাত্রী রেজাউল করিম বাংলানিউজকে বলেন, বিশ্বের সব দেশে ট্রেন ভ্রমণ আরামদায়ক ও নিরাপদ। আমাদের দেশে ট্রেনে ভোগান্তি। ৬টার ট্রেন ৯টায় আসে না। এটা সব সময় হয়ে থাকে। তবে এটার পরিবতন হওয়া উচিত। ট্রেনকে আরও জনপ্রিয় করা উচিত। ট্রেনে উঠছে যাত্রী।  ছবি: শোয়েব মিথুনএ বিষয়ে কমলাপুর রেলস্টেশন ম্যানেজার সিতাংশু চক্রবর্তী বাংলানিউজকে বলেন, কোনো ট্রেন কমলাপুর থেকে দেরিতে ছাড়ছে না। তবে ট্রেনে অতিরিক্ত যাত্রীর চাপ থাকায় ট্রেনে ধীরগতি হচ্ছে এখন। আবার দেরিতে কমলাপুর স্টেশনে ট্রেন আসায় যাত্রায় কিছুটা বিলম্ব হচ্ছে। তাছাড় অন্যান্য ট্রেনগুলো দেরিতে রান করায় এখনও স্টেশনে এসে পৌঁছায়নি। আমরা সবসময় চেষ্টা করছি যাতে কোনো ট্রেনের শিডিউল বিপর্যায় না হয়।

সোমবার মোট ৫৩টি ট্রেন কমলাপুর স্টেশন থেকে ছেড়ে যাওয়ার কথা। এর মধ্যে তিনটি ঈদ স্পেশাল।

বাংলাদেশ সময়: ০৮৪৯ ঘণ্টা, আগস্ট ২১, ২০১৮
ইএআর/এএটি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।