সোমবার (২০ আগস্ট) সকাল থেকে তিল ধারণের ঠাঁই নেই সদরঘাটে। স্টেশনের সামনে, পন্টুনে এবং লঞ্চেও।
সদরঘাট থেকে ঢাকা-বেতুয়া-চরফ্যাশন, ঢাকা-চরফাশন-ঢাকা, ঢাকা-আমতলী-ঢাকা, ঢাকা-বরগুনা-ঢাকা রুটসহ বিভিন্ন রুটে লঞ্চ ছেড়ে যাচ্ছে। তবে বিভিন্ন লঞ্চের ছাদেও ছিল যাত্রীবোঝাই। আনসার সদস্যরা বার বার নামিয়ে দেওয়া পরও যাত্রীরা আবার উঠে পড়ছেন। আমতলীর যাত্রী শরীফ হোসেন বাংলানিউজকে বলেন, কি করব। কোথাও জায়গা নাই, ছাদের ওপর বইসা পড়ছি।
নৌযান মালিকদের সংগঠন বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ চলাচল (যাত্রী পরিবহন) সংস্থার দেওয়া তথ্য মতে, ঢাকা-বরিশাল নৌরুটে চলাচলকারী বেশ কিছু বিশেষ লঞ্চ চলছে। এর মধ্যে রয়েছে বিলাসবহুল এমভি অ্যাডভেঞ্চার-১ ও ৯, কীর্তনখোলা-২ ও ১০, সুরভী-৭, ৮ ও ৯, সুন্দরবন-৮, ১০ ও ১১, পারাবত-৮, ৯, ১০, ১১ ও ১২, দ্বীপরাজ, ফারহান-৮, টিপু-৭, কালাম খান-১, গ্রিন লাইন-২ ও ৩ ইত্যাদি। এছাড়া এবারের ঈদে মোট ২১১টি সরকারি-বেসরকারি লঞ্চ ঢাকা থেকে দক্ষিণাঞ্চলের বিভিন্ন জেলায় যাতায়াত করবে। এদিকে বিআইডব্লিওটিএ ও ঢাকা নদী বন্দর সূত্রে জানা গেছে, ঈদে যেকোনো ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনা এড়িয়ে স্বাভাবিক ও নির্বিঘ্নে যাতায়াত নিশ্চিত করতে বেশ কিছু পদক্ষেপ হাতে নেওয়া হয়েছে। এরমধ্যে ঈদে নৌপথে অতিরিক্ত যাত্রী পরিবহনরোধ, ফিটনেস ছাড়া লঞ্চের যাত্রা নিষিদ্ধ, ঈদের আগে ও পরে সাতদিন করে মোট ১৪ দিন লঞ্চ চলাচলকারী নদীগুলোতে সব বালু পরিবহনকারী ঝুঁকিপূর্ণ নৌযান চলাচল নিষিদ্ধ, নদী ও বন্দরে কোস্টগার্ড, ফায়ার সার্ভিস, নৌ-পুলিশ ও বিআইডব্লিউটিএ’র স্পেশাল টহল নিশ্চিত করা, মেরিন ক্যাডেট, স্কাউটস, গার্লস গাইডের সদস্যরা যাত্রীদের লঞ্চে ওঠা-নামা ও দিক নির্দেশনা দেওয়ার কাজ করার আদেশ রয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৯৫৮ ঘণ্টা, আগস্ট ২০, ২০১৮
ইএস/এএটি