রোববার (১৯ আগস্ট) দুপুরে উপজেলার কলসকাঠি ইউনিয়নের বাগাদিয়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। নিহত সুমাইয়া কলসকাঠি ইউনিয়নের বাগাদিয়া গ্রামের মজিবর হাওলাদারের মেয়ে।
সুমাইয়ারা স্বামী রাকিব খান পার্শ্ববর্তী পটুয়াখালীর বাউফল উপজেলার বেশকপুর গ্রামের সিরাজ খানের ছেলে।
পারিবারিক ও থানা পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, সুমাইয়া ও রাকিবের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক ছিল। কাউকে কিছু না জানিয়ে তারা ছয়মাস আগে বিয়ে করেন। বিয়ের কিছুদিন পর থেকেই তাদের মধ্যে দাম্পত্য কলহ দেখা দেয়। কারণে ও অকারণে রাকিব সুমাইয়াকে মারধর করতেন। ঘটনার দিন সকালে মেয়ে ও মেয়ে জামাই রাকিবকে বাসায় রেখে ব্যক্তিগত কাজে যায় নিহত সুমাইয়ার মা। কয়েকঘণ্টা পরে ফিরে এসে মেয়েকে রক্তাক্ত অবস্থায় ঘরের মেঝেতে পড়ে থাকতে দেখেন। পরে স্থানীয়দের সহযোগিতায় উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিলে সুমাইয়ার মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত হন।
বাকেরগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মাসুদুজ্জামান বিষয়টি নিশ্চিত করে বাংলানিউজকে জানান, খবর পেয়ে তারা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। মরদেহ উদ্ধার করে ময়না-তদন্তের জন্য বরিশাল শেবাচিম হাসপাতালে পাঠানোর প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে।
তিনি বলেন, নিহতের শরীরের একাধিক রক্তাক্ত জখম রয়েছে, পরিবারের দাবি সুমাইয়াকে তার স্বামী রাকিবই খুন করে বাসা থেকে পালিয়েছেন।
ঘটনার পর থেকে পলাতক ঘাতক জামাই রাকিব খানকেও গ্রেফতারে অভিযান চালানো হচ্ছে বলে জানান ওসি।
বাংলাদেশ সময়: ১৬৫৪ ঘণ্টা, আগস্ট ১৯, ২০১৮
এমএস/এএটি