বিসিসি সূত্র জানায়, পরিবেশ দূষণ রোধে নির্দিস্ট স্থানে পশু কোরবানি করার বিষয়ে মন্ত্রণালয় থেকে একটি নির্দেশনা দেওয়া হয়েছিল। এর ধারাবাহিকতায় গত তিন বছর ধরে বরিশাল সিটি করপোরেশনের উদ্যোগে কোরবানির পশু জবাইয়ের জন্য প্রতিটি ওয়ার্ডে স্থান নির্ধারণ করা হয়।
তবে পশু কোরবানির হার বেড়ে যাওয়ায় এবারে গতবছর নির্ধারিত স্থানের সংখ্যা বাড়ানো হলেও সবজায়গায় পশু কোরবানি হয়নি। তাই এ বছর যাচাই-বাছাই করে গত বছরের থেকে ৩৯টি কমিয়ে ১৩৫টি স্থান নির্ধারণ করা হয়েছে।
এরই মধ্যে এই তথ্য জনগণকে জানানোর জন্য সংশ্লিস্ট ওয়ার্ড কাউন্সিলরদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি হ্যান্ডবিল, মাইকিং করার প্রস্তুতিও হাতে নেওয়া হয়েছে।
এদিকে বিগত সময়ের মতো এই কার্যক্রম সফলভাবে বাস্তবায়নের জন্য নগরের ৩০টি ওয়ার্ডে কাউন্সিলরকে সভাপতি ও সংরক্ষিত আসনের কাউন্সিলরকে সহ-সভাপতি করে ৩০টি কমিটি গঠন করা হয়েছে। কমিটিগুলোতে সর্বনিম্ন ৮ জন করে সদস্য রয়েছে।
তবে এবার কোনো নির্ধারিত স্থান নয়, কাউন্সিলরা চাইলে যে কোনো নির্ধারিত পশু কোরবানির স্থানে সাজ-সজ্জা করতে পারবেন জানিয়ে বরিশাল সিটি করপোরেশনের ভেটেরিনারি সার্জন ডা. রবিউল ইসলাম বলেন, দিন দিন নির্ধারিত স্থানে পশু কোরবানির হার বাড়ছে। তবে গতবছর কিছু জায়গায় পশু কোরবানি না হওয়ায় এবার নির্ধারিত স্থানের সংখ্যা কিছুটা কমেছে। তবে এতে কোনো ধরনের ভোগান্তি হওয়ার সুযোগ নেই।
‘এবারও নির্ধারিত স্থান ঘিরে বর্জ্য অপসারণ ব্যবস্থায় বস্তা ও ব্লিচিং পাউডার সরবরাহ করা হবে। পাশাপাশি পশু কোরবানি দেওয়ার স্থলের কার্যক্রমের ভিডিও ধারণ করা হবে। ’
তিনি বলেন, নির্ধারিত স্থানের বাইরে যেমন নিজের বাড়ির আঙিনায় কিংবা মাঠে পশু কোরবানি দেওয়ার ওপর কোনো নিষেধ নেই। তবে এক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট পশু কোরবানিদাতাদের নিজ দায়িত্বে বর্জ্য অপসারণ করতে হবে। আবার তারা বর্জ্য ব্যাগ ভরে নির্ধারিত স্থানে রাখলে সিটি করপোরেশনের পরিচ্ছন্নতাকর্মীরা তা নিয়ে যাবে। নয়তো বর্জ্য ফেলে রেখে পরিবেশ দূষণ করলে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
নির্দিষ্টস্থানে পশু জবাই করা হলে বিসিসির কর্মীরা দ্রুত ও অল্প সময়ের মধ্যে বর্জ্য অপসারণ করে পরিবেশ সুন্দর এবং দূষণমুক্ত রাখতে পারবে বলে দাবি করেছেন সিটি করপোরেশনের পরিচ্ছন্নতা বিভাগের কর্মকর্তা দীপক লাল মৃধা।
বরিশাল সিটি করপোরেশন কর্তৃপক্ষের ঘোষিত ওয়ার্ডভিত্তিক কোরবানির পশু জবাইয়ের এসব নির্ধারিত স্থানের মধ্যে সর্বনিম্ন ১, ২ ও ৫ নম্বর ওয়ার্ডে ২টি করে এবং সর্বোচ্চ ২১ নম্বর ওয়ার্ডে ৯টি স্থান নির্ধারণ করা হয়েছে।
বিসিসি’র হিসেবে অনুযায়ী বরিশাল সিটি করপোরেশন এলাকায় ২০১৫ সালে ৬১টি, ২০১৬ সালে ১৪০টি এবং ২০১৭ সালে ১৭৪টি স্থান কোরবানির পশু জবাইয়ের স্থান নির্ধারণ করা হয়। প্রথম বছরে নির্ধারিত স্থানে ২০ শতাংশ কোরবানির পশু জবাই হলেও দ্বিতীয় বছরে তা বেড়ে ৬০ শতাংশে গিয়ে দাঁড়ায় এবং পরের বছর নির্ধারিত স্থানে পশু জবাইয়ের হার আরো বেড়ে যায়।
বাংলাদেশ সময়: ১৪৫০ ঘণ্টা, আগস্ট ১৯, ২০১৮
এমএস/এএ