ঢাকা, মঙ্গলবার, ১৭ বৈশাখ ১৪৩১, ৩০ এপ্রিল ২০২৪, ২০ শাওয়াল ১৪৪৫

জাতীয়

সরগরম পশুরহাটে জমজমাট বিকিকিনি

সোলায়মান হাজারী ডালিম, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৮০৯ ঘণ্টা, আগস্ট ১৯, ২০১৮
সরগরম পশুরহাটে জমজমাট বিকিকিনি সোনাগাজী বক্তারমুন্সী পশুরহাট। ছবি: বাংলানিউজ

ফেনী: আর মাত্র দু’দিন। দোরগোড়ায় কড়া নাড়ছে ঈদুল আজহা। সরগরম পশুরহাটগুলোতে পুরোদমে জমে ওঠেছে পশুর বিকিকিনি। গত কয়েকদিনের আর রোববারের (১৯ আগস্ট) হাটের চিত্র পুরোটাই ভিন্ন।

রোববার ফেনীর ছাগলনাইয়া সরকারি পাইলট উচ্চবিদ্যালয় মাঠের পশুরহাটে গিয়ে দেখা যায়, ক্রেতা-বিক্রেতারা দামা-দামিতেই ব্যস্ত আছেন। পশুর বিক্রির দৃশ্য চোখে পড়ার মতো।

শনিবার (১৮ আগস্ট) সোনাগাজী বক্তারমুন্সী হাটে গিয়ে দেখা যায়, দুপুর সাড়ে ১২টা থেকেই পশু নিয়ে আসতে শুরু করেছেন ব্যাপারী এবং সাধারণ বিক্রেতারা। দুপুর দেড়টা থেকেই জমে ওঠতে থাকে বাজার। হাটের মধ্যে ক্রেতারা ঘুরে ঘুরে পশু দেখছেন, পছন্দ হলে আর দামা-দামিতে মিলে গেলে কিনতে দেরি করেন না।

বাজারগুলো ঘুরে দেখা যায়, দেশীয় খামারি ও ব্যক্তি পর্যায়ে পালিত গরুর চাইতে ব্যাপারীদের আমদানি করা গরুর বিক্রি বেশি হচ্ছে। কারণ হিসেবে ক্রেতারা মনে করছেন এসব গরু দেশীয় গরুর চাইতে দামে তুলনামূলক কম। ব্যাপারীদের আমদানি করা ছোট সাইজের গরু বিক্রি হচ্ছে ৫০ থেকে লাখের মধ্যে, মাঝারি সাইজ ১ লাখ থেকে থেকে ১ লাখ ২০ এবং বড় সাইজের গরুগুলো বিক্রি হচ্ছে ১ লাখ ২০ হাজার থেকে ২ লাখ টাকায়।

এদিকে, ব্যাপারীদের গরু বেশি বিক্রি হওয়ায় হতাশায় ভুগছেন স্থানীয় খামারি এবং গৃহস্থালী গরুর মালিকরা।

আব্বাস উদ্দিন নামে সোনাগাজীর এক কৃষক জানান, তিনি তার গৃহস্তে দু'টি গরু দীর্ঘদিন লালন-পালন করে হাটে তুলেছেন-যে দাম ওঠছে তাতে তার কিছুতে পোষায় না। গরুর খাদ্য এবং অন্যান্য খরচ হিসেব করলে লাভ তেমনটা থাকে না। তবে শেষ বাজারগুলো দাম কমার আশঙ্কায় বেশ ফুরফুরে মেজাজে আছেন সাধারণ ক্রেতারা।

রোববার দুপুরে ছাগলনাইয়া সরকারি পাইলট মডেল হাইস্কুল মাঠে বিকেল হওয়ার আগেই বাজার বেশ সরগরম হয়ে আছে। কেউ পশু কিনে বাড়ি ফিরছেন। অন্যরা দেখছেন। এ হাটে গিয়ে কথা হয় পশুর ব্যাপারী আবুল কালামের সঙ্গে।

তিনি বাংলানিউজকে জানান, হাটে ৮টি গরু নিয়ে এসেছেন তিনি। ইতোমধ্যেই দু’টি বিক্রি হয়ে গেছে। আরও দু’টি বিক্রি করার আশা করছেন। ঈদের আর বেশিদিন না থাকায় অল্প লাভেই ছেড়ে দিতে হচ্ছে। কারণ যতোদিন পশুগুলো রাখা হবে খাওয়া-ধাওয়াসহ খরচ অনেক। তাই বিক্রি হয়ে গেলেই ভালো।

করিম পাটোয়ারী নামে এক ক্রেতা বাংলানিউজকে জানান, আজকের হাটে পশুর দাম মোটামুটি সহনীয় রয়েছে। অন্যদিনের চেয়ে পশুর দাম অনেকটাই কম। আজকের হাট থেকে পশু কিনে বাড়ি ফিরতে পারবেন বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন তিনি।

পুরো হাট ঘুরে দেখা যায়, এখানে গরুর চাইতে মহিষই বেশি এবং এসব মহিষ ভালো বিক্রিও হচ্ছে। ৫০ হাজার থেকে শুরু করে সর্বোচ্চ ২ লাখ ৫০ হাজারে বিক্রি হচ্ছে মহিষ।

হাটগুলোতে গরু, মহিষের পাশাপাশি ছাগল বিক্রিও ছিল চোখে পড়ার মতো। ১০ হাজার থেকে শুরু করে সর্বোচ্চ ৪০ হাজারের মধ্যে বিক্রি হচ্ছে একেকটি ছাগল।

সোনাগাজী ও ছাগলনাইয়া হাটের কমিটির সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, শেষের দিকের হাটেই বেশি পশু বিক্রির সম্ভাবনা রয়েছে। ঈদের আর মাত্র দু’দিন থাকায় দামও কমে এসেছে। ব্যাপারীরা পোষালেই ছেড়ে দিচ্ছেন। আর ক্রেতারা কিনে নিচ্ছেন তাদের পছন্দের পশু।

বাংলাদেশ সময়: ১৪০৫ ঘণ্টা, আগস্ট ১৯, ২০১৮
এসএইচডি/আরবি/

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।