শনিবার (১৮ আগস্ট) বিকেলে কলাপাড়া থানা পুলিশ এ ঘটনায় মহিউদ্দিন (২২) নামে একজনকে আটক করে। তার বাড়ি লতাচাপলী ইউনিয়নের ফাঁসিপাড়া গ্রামে।
প্রতক্ষ্যদর্শী ও আহতদের সূত্রে জানা গেছে, শনিবার সকালে আলীপুরে লতাচাপলী ইউনিয়নের ছাত্রদল নেতা এমাদুল হাওলাদরি ও জুয়েল মুসুল্লি মধ্যে কমিটি গঠন নিয়ে বিতণ্ডা হয়। এক পর্যায়ে তাদের মধ্যে মারামারি হয়।
এতে এমাদুল হাওলাদার (২৮), জুয়ের মুসুল্লি (২১) ও আল-আমিন (৩৫) নামে তিনজন আহত হলে তাদের কলাপাড়া হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
পরে সরকারি মেজাহার উদ্দিন বিশ্বাস কলেজ শাখা ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক কাজী ইয়াদুল ইসলাম তুষারের নেতৃত্বে নুরু মুসুল্লি, ইলিয়াস মুসুল্লিসহ ৫/৬ হাসপাতালে গিয়ে এমাদুলকে পুনরায় মারধর করে।
হাসপাতালে অন্য রোগীর সঙ্গে আসা স্বজনরা জানান, ৫/৬ জন যুবক এসে অতর্কিতে হামলা চালায় এমাদুলের ওপর। ওইসময় আতঙ্কে রোগীরা দৌঁড়ঝাপ শুরু করেন।
কলাপাড়া থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) আলমগীর হোসেন জানান, খবর পেয়ে পুলিশ হাসপাতালে যাওয়ার আগেই হামলাকারীরা পালিয়ে যাওয়ায় তাৎক্ষণিক কাউকে আটক করা সম্ভব হয়নি। পরে হাসপাতালের সামনে থেকে মহিউদ্দিনকে আটক করা হয়। তিনি হামলায় জড়িত ছিলেন।
এ ঘটনায় উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. চিন্ময় হাওলাদার থানায় লিখিত অভিযোগ করেছেন।
বাংলাদেশ সময়: ১২৩৩ ঘণ্টা, ১৯ আগস্ট, ২০১৮
এমএস/আরআর