শনিবার (১৮ আগস্ট) কমলাপুর রেলস্টেশন পরিদর্শনে এসে তিনি এ মন্তব্য করেন।
রেলপথ মন্ত্রণালয়ের মহাপরিচালক বলেন, বছরের অন্য সময়ের তুলনায় ঈদের সময় যাত্রীদের চাপ বেড়ে যায় কয়েকগুণ।
তিনি বলেন, সকালে একাধিক ট্রেন কমলাপুর স্টেশন থেকে দেশের বিভিন্ন গন্তব্যের উদ্দেশে ছেড়ে গেছে। এর মধ্যে চারটি আন্তঃনগর ট্রেন যান্ত্রিক ত্রুটির কারণে কিছুটা বিলম্বে ছেড়েছে। কেন্দ্রীয়ভাবে সবকিছু নিয়ন্ত্রণ করা হচ্ছে। অনেক সময় যাত্রী ওঠা-নামার কারণে কিছুটা বিলম্ব হয়। তবে এই বিলম্ব কিভাবে ওভারকাম করা যায় সে বিষয়ে আমরা পর্যবেক্ষণ করছি।
তিনি আরও বলেন, ১৯ এবং ২০ আগস্ট গার্মেন্ট বন্ধ হচ্ছে। সেক্ষেত্রে বিমানবন্দর, জয়দেবপুরে কিছুটা চাপ থাকবে। আমাদের রেলওয়ে নিরাপত্তা বাহিনীসহ সবাইকে বলা আছে কোনোক্রমেই যেনো কেউ ট্রেনের ছাদে না উঠতে পারে। আবার যাত্রীদের অনুরোধ থাকবে, তারা যেনো ছাদে না উঠে। ট্রেনে সবসময় যাত্রী চাহিদা থাকে। এজন্য রেলপথ মন্ত্রণালয় কিছু উদ্যোগ নিয়েছে। আগামী দুই মাসের মধ্যে নতুন করে আরও ইঞ্জিন, বগি ট্রেনবহরে যোগ হবে বলেও জানান তিনি।
এদিকে ঈদযাত্রার দ্বিতীয় দিনেই শনিবার (১৮ আগস্ট) শিডিউল বিপর্যয়ের ফাঁদে পড়েছে একাধিক ট্রেন। প্রায় প্রতিটি আন্তঃনগর ট্রেন এক থেকে দেড় ঘণ্টা পর্যন্ত দেরিতে কমলাপুর স্টেশন ছেড়ে গেছে। এতে চরম ভোগান্তিতে পড়েন ঘরমুখো মানুষ। অন্যদিকে স্টেশন কর্তৃপক্ষ বলছে, ট্রেন দেরিতে স্টেশনে পৌঁছানোর কারণে দেরিতে কমলাপুর ছেড়েছে।
শনিবার দিনের প্রথম আন্তঃনগর ট্রেন রাজশাহী অভিমুখী ধূমকেতু এক্সপ্রেস সকাল ৬টায় কমলাপুর ছাড়ার কথা থাকলেও তা ছেড়ে যায় ৭টায়। খুলনা অভিমুখী সুন্দরবন এক্সপ্রেস সকাল ৬টা ২০ মিনিটে ছাড়ার কথা থাকলেও সেটি ছেড়ে যায় সকাল ৮টায়। দিনাজপুর চিলাহাটি অভিমুখী নীলসাগর এক্সপ্রেস সকাল ৮টায় ছাড়ার কথা থাকলেও সেটি ছেড়ে যায় সকাল ১০টায়। রংপুর এক্সপ্রেস সকাল ৯টায় স্টেশন ছেড়ে যাওয়ার কথা থাকলেও সেটি ১০টা ১৫ মিনিট স্টেশন ছাড়ে। অন্যদিকে দিনের প্রথম ঈদ স্পেশাল ‘লালমনি ঈদ স্পেশাল’ সকাল ৯টা ১৫ মিনিটে স্টেশন ছেড়ে যাওয়ার কথা থাকলেও ট্রেনটি বেলা ১১টার পর স্টেশন ছেড়ে যায়।
শনিবার মোট ৬৮টি ট্রেন কমলাপুর থেকে দেশের বিভিন্ন স্থানের উদ্দেশে কমলাপুর ছেড়ে যাওয়ার শিডিউল রয়েছে। এর মধ্যে ৩১টি আন্তঃনগর, ৪টি ঈদ স্পেশাল এবং বাকিগুলো লোকাল ও মেইল সার্ভিস।
বাংলাদেশ সময়: ১৪০৯ ঘণ্টা, আগস্ট ১৮, ২০১৮
ইএআর/জেডএস