শনিবার (১৮ আগস্ট) ভোররাতে উপজেলার মহাম্মদপুর গ্রাম ও মেহেরপুর-চুয়াডাঙ্গা সীমান্ত এলাকা থেকে তাদের গ্রেফতার করা হয়।
গ্রেফতারকৃতরা হলেন- গাংনী উপজেলার মহাম্মদপুর গ্রামের হাতিপাড়া এলাকার তাহাজ উদ্দীনের ছেলে ইমরান হুসাইন ওরফে ইংরাজ (২৫), একই গ্রামের বাজারপাড়া এলাকার কুদ্দুছ ডাকাতের ছেলে বিদ্যুৎ হোসেন (২৬), ছাতিয়ান চেরাগীপাড়ার সফগুল চেরাগীর ছেলে সেন্টু (২৮) ও কাজীপুর গ্রামের মৃত ইমদাদুল হকের ছেলে আব্দুর রাজ্জাক (৩৫)।
ইংরাজ ও বিদ্যুৎ ১টি হত্যা, ২টি ডাকাতির প্রস্তুতি, ২টি বিস্ফোরক আইন, ১টি মাদক ও ১টি দ্রুত বিচার আইনে মামলায় আদালতের পরোয়ানাভুক্ত। তারা এলাকার শীর্ষ সন্ত্রাসী হিসেবেও পুলিশের তালিকাভুক্ত।
গাংনী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হরেন্দ্রনাথ সরকার এতথ্য নিশ্চিত করে বাংলানিউজকে জানান, গাংনী থানা পুলিশের এএসআই শরীফুল ইসলাম, জহিদুল, মামুন অর রশিদ (বকসি) শাহাজুল ইসলাম ও হাবিবের নেতৃত্বে পুলিশের একটি টীম মহাম্মদপুর গ্রামের রেজাউল হকের বাড়িতে অভিযান চালিয়ে সন্ত্রাসী ইংরাজকে গ্রেফতার করে। পরে তার দেওয়া তথ্য মতে, অপর সন্ত্রাসী বিদ্যুতকে মেহেরপুর ও চুয়াডাঙ্গা সীমান্ত থেকে গ্রেফতার করে।
তারা এলাকার শীর্ষ সন্ত্রাসী উল্লেখ করে ওসি হরেন্দনাথ সরকার বলেন, গ্রেফতারকৃত সন্ত্রাসীদের থানায় এনে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে। তারা অনেক তথ্য দিয়েছে। দুপুরে তাদের আদালতের মাধ্যমে মেহেরপুর জেলহাজতে পাঠানো হবে।
এদিকে পুলিশের একই টীম ফেনসিডিল মামলায় আদালতের পরোয়ানাভুক্ত আসামি সেন্টুকে (২৮) খলিশাকুন্ডি বাজার এলাকা থেকে গ্রেফতার করে।
এছাড়াও গাংনীর পীরতলা পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ সীমান্তবর্তী কাজীপুর গ্রামে অভিযান চালিয়ে মাদক মামলায় ৭ বছরের সাজাপ্রাপ্ত আসামি আব্দুর রাজ্জাককে ২০ গ্রাম গাঁজাসহ গ্রেফতার করে।
বাংলাদেশ সময়: ১৩২১ ঘণ্টা, আগস্ট ১৮, ২০১৮
আরএ