মাঝারি আকৃতির গাছের শেষ ভাগ চাকা চাকা করে কাটা হয়। এর পুরত্ব রাখা হয় ১৬ থেকে ২০ ইঞ্চি পর্যন্ত।
ঈদকে সামনে রেখে নওগাঁয় কদর বাড়তে শুরু করেছে খাটিয়ার। জেলার প্রতিটি গরুর হাট আর শহরের কাঠের দোকানগুলোতে সাজিয়ে রাখা হয়েছে এসব খাটিয়া। দেড়শ’ থেকে ৬শ’ টাকা পর্যন্ত দামে বিক্রি হচ্ছে এসব খাটিয়া। পুরত্ব এবং সাইজ অনুসারে এসবের দাম কম-বেশি হয়। তবে অন্যান্য বছরের তুলনায় এ বছর খাটিয়ার দাম অনেকটাই বেশি। গত বছর যে খাটিয়ার দাম ছিল ২শ’ টাকা সেটিই এবার বিক্রি হচ্ছে ২৫০ থেকে ৩শ’ টাকা।
নওগাঁ শহরের খাটিয়া ব্যবসায়ী ফেরদৌস রহমান বাংলানিউজকে বলেন, শুধু কোরবানির ঈদেই মাংস কাটার জন্য খাটিয়া ব্যবহার করা হয়। বছরের অন্য সময়ে খাটিয়ার ব্যবহার নেই বল্লেই চলে। তবে গতবছরের তুলনায় এ বছর খাটিয়ার দাম কিছুটা বেশি, কারণ গতবছর যেদামে গাছ কিনেছিলাম এ বছর সেই দামে আর গাছ পাওয়া যায়নি। এবার গাছের দাম অনেক বেশি। আবার দিন দিন মজুরিও বাড়ছে। মূলত গাছের দাম বাড়ার কারণেই খাটিয়ার দাম বেড়েছে। সব মিলে গতবারের চেয়ে এ বছর প্রতিটি খাটিয়া ৫০ থেকে ১শ’ টাকা বেশি দামে বিক্রি হচ্ছে। দাম যাই হোক এসব খাটিয়ার বাজার সারাবছর জমজমাট না থাকলেও কোরবানির সময় কদরটা বেড়ে যায়।
তিনি আরও বলেন, ক্রেতারা তেঁতুল এবং কদবেল গাছের খাটিয়া বেশি পছন্দ করে। এসব গাছের খাটিয়া দির্ঘদিন পানিতে থাকলেও নষ্ট কম হয়। স্থানীয় বাজারে বেচাকেনার পাশাপাশি এসব খাটিয়া চলে যায় ঢাকায়। তবে এখানে যে খাটিয়া ২শ’ টাকায় বিক্রি হয় সে খাটিয়া ঢাকায় বিক্রি হয় ৪শ’ টাকায়।
নওগাঁ কাঠপট্টিতে খাটিয়া কিনতে আসা মাহাফুজুর রহমান বাংলানিউজকে জানান, কোরবানির পশুর মাংস কাটার কাজে অন্যতম অনুসঙ্গ খাটিয়া। আসলে বছরের অন্য সময়ে খাটিয়া কেনা হয় না। শুধু কোরবানির ঈদেই কেনা হয়। আবার ব্যবহার করা খাটিয়া অনেকেই সংরক্ষণ করে না পরের বছরের জন্য। ফলে পরের বছর আবারও নতুন করে খাটিয়া কিনতে হয়। এ বছর দাম একটু বেশি তারপরেও কিনতে হচ্ছে।
বাংলাদেশ সময়: ১০২০ ঘণ্টা, আগস্ট ১৮, ২০১৮
আরএ